ইরান ২০১৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে পারে

ইরান ২০১৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে পারে। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা নীতিবিষয়ক প্রিন্সিপাল ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি জেমস মিলার তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র-সক্ষমতা সম্পর্কে সিনেটের শুনানিতে এ কথা বলেছেন।
জেমস মিলার বলেন, তেহরানের বর্তমান ক্ষেপণাস্ত্র-সক্ষমতার বিবেচনায় আভাস পাওয়া যাচ্ছে, ২০১৫ সালের মধ্যে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ওই পর্যায়ে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ক্ষেপণাস্ত্র-প্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে ওই সক্ষমতা অর্জনে ইরানকে ‘বিদেশি সহযোগিতা’ নিতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারফোর্সের ন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস ইন্টেলিজেন্স সেন্টার গত বছর এক প্রতিবেদনে বলেছে, বিদেশি সাহায্য নিয়ে ইরান আন্তমহাদেশীয় ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে পারবে এবং ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আঘাত হানার সক্ষমতা অর্জন করবে।
এদিকে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আহমেদ বাহিদি গতকাল বলেছেন, তার দেশ যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম এমন কোনো ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কোনো পরিকল্পনা করছে না।
বাহিদি ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনাকে বলেন, আমাদের এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা নেই।
ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রশাসনের অভিযোগ, তেহরান গোপনে পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ইরান অবশ্য বরাবর এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

নতুন পরমাণুকেন্দ্রের জায়গা চূড়ান্ত হয়নি
ইরানের নতুন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের জন্য নির্ধারিত জায়গা অনুমোদন করেছেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ—গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ ধরনের খবর নাকচ করে দিয়েছেন দেশটির পরমাণু সংস্থার প্রধান আলী আকবর সালেহি। গতকাল তিনি বলেন, নতুন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের জন্য জায়গা এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।
আলী আকবর সালেহি বার্তা সংস্থা আইএলএনএকে বলেন, প্রথম নতুন পরমাণুকেন্দ্রের নকশা চলতি বছরের মধ্যে প্রস্তুত করা হবে। তিনি বলেন, ওই পরমাণু স্থাপনার জায়গা এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। প্রেসিডেন্টের অনুমোদনের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে সালেহি বলেছিলেন, আকাশপথে সম্ভাব্য হামলা থেকে রক্ষা করার জন্য নতুন সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রগুলো পাহাড়ের ভেতরে নির্মাণ করা হবে।
গত সোমবার প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মোজতবা সামারেহ হাশেমি বলেছিলেন, নতুন পরমাণু স্থাপনার জন্য নির্ধারিত জায়গা অনুমোদন করেছেন প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ এবং তাঁর নির্দেশে ওই জায়গায় নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।
কোম শহরের কাছে দ্বিতীয় পরমাণুকেন্দ্র নির্মাণের জন্য জাতিসংঘের পরমাণু তদারকি সংস্থা তেহরানকে তিরস্কার করে। এরপর ২০০৯ সালের নভেম্বরে আহমাদিনেজাদ নতুন ১০টি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নির্মাণের ঘোষণা দেন।
চলতি মাসে আলী আকবর সালেহি বলেছিলেন, নতুন দুটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদের কাছে উপাস্থাপন করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.