পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অভিযান, মসজিদে লুকানো পাঁচ ফিলিস্তিনি যোদ্ধা নিহত
গতকাল বুধবার ভোর থেকে পশ্চিম তীরে অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, অভিযান এখনো চলছে। হেলিকপ্টার, ড্রোন ও সাঁজোয়া যান ব্যবহার করে তুলকারেম, জেনিন ও জর্ডান ভ্যালির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছেন শত শত ইসরায়েলি সেনা।
ইসরায়েল বলেছে, তুলকারেম মসজিদে নিহত পাঁচ ফিলিস্তিনি যোদ্ধার একজন মুহাম্মদ জাবের। তিনি আবু সুজা নামে পরিচিত। তুলকারেম শহরের কাছে নুর শামস শরণার্থীশিবিরে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের একটি নেটওয়ার্কের প্রধান ছিলেন জাবের।
রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছে, টেলিযোগাযোগ কোম্পানি জাওয়ালের নেটওয়ার্কে পুরোপুরি বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীরের দুটি প্রধান টেলিযোগাযোগ কোম্পানির একটি জাওয়াল।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুসারে, গতকালের অভিযানে কমপক্ষে ১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
আজ জেনিনে ফাঁকা সড়কের ওপর বুলডোজার দেখা গেছে। আকাশে ড্রোন ওড়ার শব্দ শোনা যাচ্ছে। শহরের প্রধান হাসপাতালের সামনে ইসরায়েলি সেনাদের উপস্থিতি দেখা গেছে। তাঁরা অ্যাম্বুলেন্সে তল্লাশি চালাচ্ছেন।
গতকাল ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী মাটির ঢিবি দিয়ে হাসপাতালের প্রবেশপথ বন্ধ করে দিয়েছে। সেখানে যেন ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা আশ্রয় নিতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে হাসপাতালে ঢোকার সময় অ্যাম্বুলেন্সগুলোতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
হামাসের সশস্ত্র শাখা, ইসলামিক জিহাদ ও ফাতাহর বিভিন্ন অংশ গতকাল আলাদা আলাদা বিবৃতি দিয়েছে। এসব বিবৃতিতে তারা বলেছে, তাদের বন্দুকধারীরা জেনিন, তুলকারেম ও জর্ডান ভ্যালির শহর ফারায় ইসরায়েলি সামরিক যানের ওপর বোমা হামলা চালাচ্ছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলের দাবি, ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছেন। জিম্মি করা হয়েছে ২৫০ জনকে। জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, হামলায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরেও সহিংসতা বেড়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে অভিযান চালিয়ে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৬৬০ জনের বেশি যোদ্ধা ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
No comments