গাজীর কারখানায় আগুন: ড্রোন দিয়ে খোঁজা হচ্ছে নিখোঁজ মরদেহ, তদন্ত শুরু
ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুর রহমান বলেছেন, আমরা তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছি। ফায়ার সার্ভিস তাদের ড্রোন টিম দিয়ে মরদেহের অনুসন্ধান করে কোনো মরদেহ পায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ২১ঘণ্টা কেমিক্যালের আগুনে মরদেহ আর আগের মতো পাওয়া সম্ভব না। তারপরও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান চলমান আছে। নিখোঁজ পরিবারের যারা আসছেন আমরা নিখোঁজদের তালিকা লিপিবদ্ধ করছি। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আমরা তদন্ত কমিটি সেই লক্ষ্যে প্রতিটি বিষয় চুলচেরা বিশ্লেষণ করে তদন্তের কাজ শুরু করেছি।
উল্লেখ্য, গত রোববার রাত ৯টায় রূপগঞ্জের খাদুন এলাকার কারখানাটির ছয়তলা একটি ভবনে লুটপাট চলাকালে নিচতলায় সিঁড়ির মুখে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে ভবনটির ভেতরে থাকা অনেকেই আটকা পড়েন বলে দাবি করেছেন স্বজনেরা। গাজী টায়ার্স কারখানার মালিক নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। রোববার ভোররাতে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত প্রশাসনের তরফ থেকে নিখোঁজদের কোনো আনুষ্ঠানিক তালিকা না পেয়ে রূপগঞ্জের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তালিকা তৈরি শুরু করেছেন। সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত তারা অন্তত ১২৬ জনের নাম তালিকাভুক্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন সরকারি মুড়াপাড়া কলেজের স্নাতক শিক্ষার্থী মাহিমা মীর। তিনি বলেন, ‘রোববার রাতে আগুন লাগলেও মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো তালিকা করা হচ্ছিল না। নিখোঁজদের স্বজনেরা হাতে ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। গণমাধ্যমে দেখেছি, ফায়ার সার্ভিস একটি নিখোঁজ তালিকা করেছে। কিন্তু আমরা তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা অস্বীকার করে। ফলে আমরা দুর্ঘটনায় কতজন নিখোঁজ আছে, তা জানার জন্য দুপুর থেকে তালিকা করা শুরু করি। আমরা নিখোঁজদের নামের পাশাপাশি ভোটার আইডি ও ছবি সংগ্রহ করছি।’
No comments