নাইকো মামলায় মওদুদের স্থগিতাদেশ বাড়ল

এক সপ্তাহ বেড়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রমের স্থগিতাদেশের মেয়াদ। রোববার প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। পাশাপাশি এই সময়ের মধ্য আবেদনকারীকে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলা হয়েছে। এর আগে গত ১৩ এপ্রিল চেম্বার বিচারপতি এই মামলায় মওদুদের বিচার কার্যক্রম ৭ মে পর্যন্ত স্থগিত করে শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। এরই ধারাবাহিকতায় আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। আদালত শুনানি এক সপ্তাহের জন্য মুলতবি করে আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে নিজেই শুনানি করেন মওদুদ আহমদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। গত বছরের ১ ডিসেম্বর মওদুদের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ রুলসহ মামলার কার্যক্রম আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছিলেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে। শুনানি নিয়ে ওইবছরের ১১ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ হাইকোর্টে রুল শুনানি করতে পক্ষগুলোকে নির্দেশ দেন।
এই রুল খারিজ করে রায় দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি মামলার কার্যক্রমের ওপর আগে দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। ফলে মামলা সচলের পথ খুলে যায়। এই রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন মওদুদ। মামলার নথি থেকে জানা যায়, কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে 'অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতি'র অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এই মামলা করে দুদক। ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম। ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। চার্জশিটে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্স'র সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

No comments

Powered by Blogger.