তিন ফিফটির পরও আফসোস

বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান তুলেছিলেন সৌম্য সরকার ও তামিম ইকবাল। শেষতক শুরুর জুটিই হয়ে থাকল সেরা জুটি। বাংলাদেশের ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি হয়েছে তিনটি। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে ৫০ ওভারে নয় উইকেটে ২৫৭ রান তোলে বাংলাদেশ। হাফ সেঞ্চুরির পর আর বেশি দূর যেতে পারেননি সৌম্য ও মুশফিকুর রহিম। পরে মাহমুদউল্লাহর হাফ সেঞ্চুরি টেনে তুলেছে দলকে। মন্থর উইকেটে বল এসেছে কিছুটা থেমে। এরকম উইকেটে বাংলাদেশ আগেও ভালো রান করার কৃতিত্ব দেখিয়েছে। টস জিতলে বোলিং নিতেন মাশরাফি, তবে হেরেও অখুশি ছিলেন না। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে অধিনায়কের চাওয়া ছিল, দেখেশুনে খেলে শুরুটা ভালো করা। তামিম ও সৌম্যর ব্যাটে প্রত্যাশিত শুরুই পায় বাংলাদেশ। তামিম শুরু করেন সতর্কতার সঙ্গে, সৌম্য খেলেছেন শট। সাত ওভার শেষে দু’জনই খেলেন সমান ২১ বল। সৌম্যের রান তখন ২৬, তামিমের ৬। প্রথম ওভারে ব্যাটের কানায় লেগে চার পাওয়া তামিম দ্বিতীয় চার পান দশম ওভারে। সৌম্য ছিলেন ছন্দে।
এই জুটি ভাঙে ৭২ রানে। জিমি নিশামের বলে ক্যাচ দিয়ে ২৩ রানে ফেরেন তামিম। পরের ওভারেই আবার ধাক্কা। মিচেল স্যান্টনারের বলের লাইন মিস করে বোল্ড সাব্বির। ক্যারিয়ারের পঞ্চম ওডিআই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন আগের ম্যাচে রান না পাওয়া সৌম্য। প্রায় দু’বছর পর ওয়ানডেতে পঞ্চাশের দেখা পেলেন বাঁ-হাতি ওপেনার। যদিও মাঝের সময়টায় খেলেছেন মাত্র সাতটি ওয়ানডে, টি ২০-ই খেলেছেন বেশি। সৌম্য ৬৭ বলে ৬১ রানে ইশ সোধিকে সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন। প্রয়োজনের সময় কাজে লাগল না সাকিবের অভিজ্ঞতাও। সোধিকে আরেকটি উইকেট উপহার দিয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ফিরলেন নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে। বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ১৩২। ভরসা সেই মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। রানও তুলেছেন বলে বলে। দারুণ খেলতে থাকা মুশফিক উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলেন ৫৫ রানে। জুটি ৫১ বলে ৪৯ রানের। প্রায় সাত মাস পর হাফ সেঞ্চুরি তোলেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি ৫৬ বলে ৫১ করে ফেরেন। মোসাদ্দেক ৪১ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন। ৪৮ ও ৫০তম ওভারে মাত্র আট রান নিয়েছে টাইগাররা।

No comments

Powered by Blogger.