শহরে বেশি দরকার লতা-গুল্মের দেয়াল

শহরাঞ্চলে বড় বড় ইমরাতের ফাঁকে বা রাস্তার পাশে লতাগুল্মের দেয়ালগুলো গাছের চেয়ে ভালো দূষণ প্রতিরোধক। বিজ্ঞান সাময়িকী অ্যাটমস্ফেরিক এনভায়রনমেন্টে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, বাতাসের দূষণকারী উপাদান শুষে নিতে এই লতা-গুল্মের দেয়ালগুলো গাছের চেয়ে ভালো কাজ করে। অবশ্য উন্মুক্ত এলাকায় এক্ষেত্রে গাছের বিকল্প নেই। খবর বিবিসির। বিজ্ঞানীরা বলছেন, লতা-গুল্মের দেয়াল বাতাসে ভেসে থাকা বিষাক্ত উপাদান শোষণ করে মানুষকে সরাসরি বায়ুদূষণের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার বলেন, ফুটপাত যদি যথেষ্ট প্রশস্ত হয় তাহলে মূল রাস্তা এবং ফুটপাতের মাঝামাঝি কম উচ্চতার লতা-গুল্মের দেয়াল তৈরি করা উচিত। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগীদের সঙ্গে তিনি এ বিষয়ে আরও উচ্চতর গবেষণা করছেন। দূষণ প্রতিরোধী গাছ এবং লতা-গুল্ম দেয়ালের সর্বোত্তম উচ্চতা নির্ধারণ করার চেষ্টা করছেন তারা। অবশ্য গবেষকরা শহরে গাছ রোপণের বিরুদ্ধে কথা বলছেন না। তারা বরং বলছেন,
গাছ অবশ্যই বায়ু পরিষ্কার করে। আর যেভাবে শহরে মানুষের ঢল নামছে তাতে শহরে আরও বেশি বেশি গাছ লাগানো উচিত। কিন্তু লতা-গুল্মের দেয়ালগুলোও যে বায়ুদূষণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এ বিষয়টি এতদিন উপেক্ষিত ছিল। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে যেখানে মাটি এবং গাছ রোপণের জন্য যথেষ্ট ফাঁকা স্থানের অভাব সেখানে এ ধরনের বৃক্ষ দেয়াল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সঙ্গে বিজ্ঞানীরা এও মনে করিয়ে দেন যে, কোথায় কোন ধরনের গাছ রোপণ করলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যাবে, এর কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। এদিকে বাসা-বাড়ি থেকে সবুজ আবর্জনা অপসারণের জন্য আলাদা ফি ধার্য করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এখন মানুষ এ ফি এড়াতে যদি বাড়ির সামনের লতা-গুল্মের দেয়াল কেটে ফেলে তাহলে নিদেনপক্ষে নগরবাসীই ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।

No comments

Powered by Blogger.