ছাত্র নিহতের পর সাভারে সিটি ইউনিভার্সিটি বন্ধ ঘোষণা

সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খাগান এলাকায় বহিরাগত সন্ত্রাসীদের গুলিতে সিটি ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র সিফাত হোসেন নিহত হওয়ার ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সিটি ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ পক্ষ আজ মঙ্গলবার থেকে আগামী ১৫ এপ্রিল শনিবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে বন্ধের নোটিশ টাঙ্গিয়ে দেন কর্তৃপক্ষ। এ দিকে সকাল ১০টার মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা আবাসিক হল ছাড়তে শুরু করেছে। সিটি ইউনিভার্সিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার ফারুক আহম্মদ জানান, দুপুর নাগাদ ইউনিভার্সিটির ৪টি হল খালি হয়ে গেছে। গতকাল রোববার সিটি ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র শাহেদের সাথে একই ইউনিভার্সিটির অপর ছাত্র সাকিল মামুন বাপ্পির সাথে ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্কের জেরধরে তুমুল ঝগড়া হয়। গতকাল সোমবার দুপুরে সিটি ইউনিভার্সিটির সামনে বাপ্পির ভাড়াটে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর এলোপাথাড়িভাবে গুলিবর্ষণ করে। গোলাগুলির সময় পাশের সাহেব আলীর মালিকানাধীন একটি হোটেল থেকে সিটি ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র সিফাত হোসেন ও তার আরেক বন্ধু বাসুদেব দুপুরের ভাত খেয়ে ওই স্থান দিয়ে আসার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার পর গুলিবিদ্ধ ২ ছাত্রকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর সিফাতকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। বাসুদেবকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ দিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত সিটি ইউনিভার্সিটির ছাত্র সাকিল মামুন বাপ্পিকে প্রধান আসামি ও জাহিদুল ইসলাম শাওনসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ইউনিভার্সিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার ফারুক আহম্মদ বাদি হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানা ও বিরুলিয়া ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই মো: তরিকুল ইসলাম। এ দিকে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত বিরুলিয়ার খাগান এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে সিটি ইউনিভার্সিটির সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নিহত সিফাত হোসেন ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার নতুন বাজার এলাকার মাদরাসাশিক্ষক মাহফুজুর রহমান বাচ্চুর একমাত্র ছেলে।

No comments

Powered by Blogger.