ইবি শিক্ষক অপহরণ : এক ঘণ্টা পর উদ্ধার

অপহরণের এক ঘন্টা পর উদ্ধার হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসির উদ্দিন খান। শুক্রবার কুষ্টিয়া শহর থেকে অপহরণ করে কুমারখালী নিয়ে মারধরের একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বুঝতে পেরে তাকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। উদ্ধার হওয়ার পর অপহরণকৃত শিক্ষক কুষ্টিয়া সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। অপহরনণকৃত শিক্ষক নাসির উদ্দিন খান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থ ইলেক্ট্রনিক্স এ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তার ভাষ্য মতে, শুক্রবার রাত পৌনে আটটায় কুষ্টিয়া শহরের নিশান মোড় থেকে কটাইখানা যাচ্ছিলেন তিনি। এসময় একটি মটরসাইকেল তার গতি রোধ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পেছন থেকে আরো তিনজন এসে তাকে জোরপূর্বক মটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। কথা বললে সমস্যা হবে বলে নাসির উদ্দিনকে শাসায় অপহরণকারীরা। এর কিছুক্ষণ পর মটরসাইকেল থেকে নামিয়ে পায়ে হেঁটে তারপর সিএনজিতে করে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার ডাকবাংলা পুকুর পাড়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সুযোগ বুঝে নাসির উদ্দিন তার স্ত্রীকে ফোন করেন। ফোন রিসিভ করে কিছু বলার আগেই অপহরণকারীরা গালাগাল করতে করতে ফোনটি কেড়ে নেয়। এর কিছুক্ষণ পর ফোন খুলে লাউস্পিকার দিয়ে নাসির উদ্দিনের সামনে ধরে।
নাসির উদ্দিন ‘আামর সাথে তিনজন আছে’ এই কথা বলতেই অপহরণকারীরা ফোন কেটে দেয়। সাথে সাথে বিষয়টি আশপাশের পরিচিত শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানান অধ্যাপক নাসির উদ্দিনের স্ত্রী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষক অপহরণের বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানালে তারা সাথে সাথে তাদের তৎপরতা শুরু করে। এদিকে অপহরণকারীরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বুঝতে পেরে নাসির উদ্দিনকে মারধর করে ‘তোর বিভিন্ন লিংক আছে’ বলে ছেড়ে দেয়। নাসির উদ্দিন কুমারখালীর ডাকবাংলার পুকুর পাড় থেকে দৌড় দিয়ে রাস্তায় এসে একটি সিএনজি নিয়ে দ্রুত কুষ্টিয়া চলে আসেন। নাসির উদ্দিন কুষ্টিয়া পৌছে কুষ্টিয়া সদর থানায় গিয়ে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ঘটনা জানার সাথে সাথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রোভিসি এবং ট্রেজারার নাসির উদ্দিনের সাথে সাক্ষ্যাতের জন্য তাৎক্ষণিক কুষ্টিয়ায় যান। নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমি অপহরণকারীদের কাউকে চিনতে পারি নাই। বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন আসার পর তারা আমাকে মারধর করে ছেড়ে দেয়। পরে আমি সিএনজি করে কুষ্টিয়া আসি। আমি নিজে বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছি।’ কুষ্টিয়া সদর থানার ওসি শাহাবুদ্দিন চৌধুরী বলেন, আহরণের পর উদ্ধার হওয়া শিক্ষক নাসির উদ্দিন নিজে বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চার জনের বিরুদ্ধে একিট অপহরণ মামলা দায়ের করেছে (মামলা নং- ৪৬)। মামলার কার্যক্রম যথারীতি পরিচালিত হবে।’

No comments

Powered by Blogger.