বন্দরে নববর্ষে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে স্ত্রীকে হত্যা

বৃহস্পতিবার বন্দরের ত্রিবেণী এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত অর্ধ গলিত লাশের পরিচয় এবং হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। পহেলা বৈশাখ নববর্ষের দিন ঘুরাতে নিয়ে গিয়ে স্বামী আকাশ ওরফে আব্বাস স্ত্রী তানিয়াকে খুন করে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আকাশ পুলিশের কাছে এমন কথাই স্বীকার করেছে। প্রায় আড়াই বছর আগে বেদে সম্প্রদায়ভুক্ত তানিয়াকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে আকাশ। শুক্রবার নবীগঞ্জ কবরস্থানে তানিয়ার লাশ দাফন করেন তার বাবা আলম সওদাগর। তানিয়ার মা শাহনাজ জানান, তারা বেদে সম্প্রদায়। তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে বন্দরের কদমরসুল দরগাহ’র পাশে মিঠু মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তার মেয়ে তানিয়া শহরের একটি গার্মেন্টে কাজ করার সময় পরিচয় হয় ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানার ওমরাবাহু গ্রামের মহিউদ্দিন মিয়ার ছেলে আকাশের সঙ্গে। পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেম করে নিজেদের ইচ্ছায় বিয়ে করে তারা। তানিয়াকে নিয়ে আকাশ বন্দরের একরাপুর এলাকার আলম মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকত।
পহেলা বৈশাখ থেকে তানিয়া নিখোঁজ হয়। কিন্তু তানিয়ার স্বামী আকাশ তাদের বলে তানিয়া অন্য কারও হাত ধরে চলে গেছে। তানিয়ার বাবা আলম সওদাগর জানান, তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগিবাড়ি থানার আবদুল্লাহপুরে। তারা প্রথমে নৌকায় থাকতেন পরে তারা কদম রসুল এলাকায় র্দীঘদিন ধরে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। কিন্তু তার মেয়ে তানিয়া প্রেম করে নিজ ইচ্ছায় বিয়ে করার পর জানতে পারে আকাশের স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। এ নিয়ে তানিয়ার সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল। এই সূত্র ধরেই আকাশ তানিয়াকে খুন করেছে।

No comments

Powered by Blogger.