মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে হবে শুনে চমকে গিয়েছিলেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে হবে তাকে, শুনে নিজেই চমকে গিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হিসাবে ক্ষমতায় বসার ১০০ দিন উদযাপনের আগে এক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করলেন নিজেই। বললেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগের জীবন তার অনেক সহজ ছিল। জীবনে অনেক সুখের ছিল। এখন তো গাড়িও চালানোর সুযোগ নেই। সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে বললেন, তাঁর আগের জীবনই অনেক ভালো ছিল। এখন হোয়াইট হাউজের বাইরে পা দিলেই সামনে হাজির লিমুজিন কিংবা অত্যাধুনিক এসইউভি। এদিকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেয়ার ১০০ দিনেই জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে একেবারে তলানিতে পৌঁছেছেন ট্রাম্প। সিএনএন/ওআরসি’র নতুন এক সমীক্ষায় এমনটিই দেখা গিয়েছে। ট্রাম্প যেভাবে কাজ চালাচ্ছেন, তা সমর্থন করেছেন মাত্র ৪৪ শতাংশ মানুষ। আর ৫৪ শতাংশই এর বিপক্ষে মত দিয়েছেন।
ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পরপরই সিএনএন/ওআরসি পরিচালিত দু’টি জনমত সমীক্ষায় যে ফল এসেছিল এখনকার সমীক্ষা দু’টিও প্রায় একই। এর আগের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জনপ্রিয়তা ছিল ৬৩ শতাংশ, জর্জ ডব্লু বুশের ছিল ৬২ শতাংশ এবং বিল ক্লিনটনের ছিল ৫৫ শতাংশ। ট্রাম্পের জনপ্রিয়তায় ধসের কারণ হিসাবে দুটো বিষয় সমীক্ষায় উঠে এসেছে। আর তা হলো স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং অভিবাসন। ট্রাম্প এ দু’টি বিষয় যেভাবে সামাল দেয়ার চেষ্টা করেছেন তা সমর্থন করেনি ১০ জনের মধ্যে ৬ জন আমেরিকান। অনেকেই বলেছে, দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলোর দিকে যথেষ্ট মনোযোগ দেননি ট্রাম্প। এমন বলছেন, ৫৫ শতাংশ মার্কিনি। তিনি কঠোর পরিশ্রম করছেন না বলে মত দিয়েছেন ৫১ শতাংশ মার্কিনি। হোয়াইট হাউজে শীর্ষ উপদেষ্টাদের নিয়োগের বিষয়টি ট্রাম্প ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারেননি বলে মত দিয়েছেন ৫৬ শতাংশ মানুষ। প্রতিশ্রুতিও ট্রাম্প ঠিকমত পালন করতে পারেননি বলে মত দিয়েছেন ৫২ শতাংশ মানুষ। ৬১ শতাংশ মানুষ বলেছেন, বিশ্ব নেতারা ট্রাম্পকে বেশি শ্রদ্ধা করেন না। আর ৫২ শতাংশ মানুষ বলেছেন, ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি দেশকে অযথাই বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.