মান্দায় রাস্তা দখল করে বারান্দা নির্মাণ করলেন সিপিবি নেতা

নওগাঁর মান্দায় নওগঁ-রাজশাহী মহাসড়কের ফেরিঘাটের মান্দা সেতুর পাদদেশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা প্রায় শতাধিক দোকানপাট, ফেরিঘাট থেকে প্রসাদপুর হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত রাস্তার উভয় পার্শ্বে গজিয়ে ওঠা শতাধিক দোকানপাট, বাসাবাড়ি ও স্থাপনা,প্রসাদপুর বাজার চারমাথা (গোলচত্বর) থেকে উপজেলা গেট পর্যন্ত রাস্তার দু’পার্শ্বের অবৈধভাবে গড়ে ওঠা সব স্থাপনা,দোকানপাট উচ্ছেদ,প্রসাদপুর বাজারে পানি নিষ্কাশনের নালা ভেঙ্গে ফেলা বন্ধসহ কেন্দ্রীয় কমিউনিষ্ট নেতা ফজলুর রহমানের বাসার সামনের রাস্তা দখল করে নির্মিত বারান্দা/ব্যারিকেট ভেঙ্গে ফেলার জন্য এলাকার সচেতন মহল দাবী করেছেন। এ সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য সোচ্চার মনোভাব ব্যক্ত করেছেন এলাকাবাসী। এছাড়া প্রসাদপুর বাজারের পানি নিষ্কাশনের জন্য জিগাতলার মোড় থেকে বাসনপট্রি,সোনার পট্টি হয়ে হার্ডওয়্যার দোকান হয়ে আত্রাই নদী পর্যন্ত একটি নালা সরকারি খরচে মজবুতভাবে নির্মিত হয়েছিল। কিন্তু কামারকুড়ি গ্রামের মৃত জগদীশ চন্দ্রের ছেলে হার্ডওয়্যার ও বালু ব্যবসায়ী অরুণ চন্দ্র মন্ডল তার বালু ব্যবসায়ের জন্য ট্রাক,ট্রলি ও ভটভটির আঘাতে ২০-২৫ বর্গফুট নালা এবং ১২-১৫টি ঢাকনা ইতোমধ্যে ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশে একাকার হয়ে গেছে। ফলে পানি নিষ্কাশনে আর কোন বিকল্প কোন পথ না থাকায় বর্ষা মওসুমে পানি নিষ্কাশন বাঁধাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলেও পানি জমে রাস্তায় লোকজনের চলাচল দায় হয়ে পড়েছে। রাস্তার পার্শ্বে এসব স্থপনা ও দোকানপাট থাকায় রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন ও ছাত্র-ছাত্রী, অফিসগামী কর্মকর্তা-কর্মচারী, লোকজনের চলাচলে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এবং শান্তিপূর্ণ চলাচলে বিঘœ ঘটছে। ফলে প্রায়ই সময় র্দুঘটনায় পড়ে মানুষের সময়,সম্পদ ও অর্থের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।
এসব উচ্ছেদ করতে উপজেলা প্রশাসন থেকে নানা সময়ে নোটিশ প্রদান করলেও সময় মতো অবৈধ দখলদাররা দখল ছাড়তে নারাজ। সব শেষে বুধবার আবারো সাত দিনের নোটিশ দেয়া হয়েছে এসব অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসব অবৈধ দখলদাররা জারি হওয়া নোটিশের প্রতি কোন কর্নপাত করছে না বলে অভিযোগ। অপর দিকে নওগাঁর মান্দার প্রসাদপুর ইউনিয়নের প্রসাদপুর গ্রামের বাসিন্দা ও সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডাঃ এসএম ফজলুর রহমান তার ক্রয়কৃত নতুন বাসার সামনে চার বর্গফুট রাস্তা দখল করে নিজস্ব বারান্দা নির্মাণ শুরু করেছেন। ঘটনায় স্থানীয়রা অভিযোগ দিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান খান ঘটনাস্থলে গিয়ে ঐ বারান্দা ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মাকর্তাকে বাঁধা দিয়ে ডাঃ এসএম ফজলুর রহমান বলেন, আপনি কি ছাত্রলীগ করতেন? এতো তোড়জোড় কেন? আগে বাজারের অন্যান্যদের অবৈধ স্থাপনা ভাঙ্গুন। তারপরে আসেন আমারটাই বলে নানা বাক-বিতন্ডা শুরু করে দেন। এদিকে নিজের বাসার সামনের বারান্দা রক্ষার্থে গত শনিবার নানা দাবীতে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন ধুরন্ধর ঐ নেতা বলে অভিযোগ সচেতন এলাকাবাসীর।

No comments

Powered by Blogger.