ইউনিস নয় ‘ইউনিক’ খান

পাকিস্তানের মিডল-অর্ডারের ভরসার অন্যতম প্রতীক ইউনিস খানের প্রশংসা করে তার নাম পরিবর্তন করে ‘ইউনিক’ খান রাখা উচিত বলে মনে করেন দেশটির সাবেক স্পিডস্টার পেসার শোয়েব আখতার। সদ্যই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেয়া ইউনিসের ক্যারিয়ারের প্রশংসা করতে গিয়ে নিজের টুইটারে আখতার বলেন, ‘আমার মতে, পাকিস্তান ক্রিকেটের নিঃস্বার্থ প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ও তার সততার কারণে ইউনিস খানের নাম বদলে রাখা উচিত ‘ইউনিক খান’। তোমায় সালাম। সত্যিই তুমি একজন চ্যাম্পিয়ন।’ ২০০০ সালে ক্যারিয়ার শুরু করে আগামী মাসে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে বিদায় নিচ্ছেন ইউনিস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষেই অবসর নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তবে ইউনিসের এই অবসরকে শেষ দেখছেন না তারই এক সময়কার সতীর্থ আখতার। এটিকে ইউনিসের জন্য নতুন কিছু মনে করেন তিনি, ‘ইউনিসের অবসর মানে এটি শেষ নয়। বরং এটি নতুন কিছু শুরু হওয়া। চলুন পিসিবিতে তাকে এবং তার অভিজ্ঞতার ভান্ডার আমরা কাজে লাগাই।
ইউনিস পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে চওড়া ব্যাটটা দিয়েই খেলেছে। যে ব্যাটের কোনো সীমা ছিল না। তাকে এবং তার ৭৫ নম্বর জার্সিটা সম্মান জানিয়ে তুলে রাখা উচিত।’ ১১৫টি টেস্ট ম্যাচে ৯৯৭৭ রান করেছেন ইউনিস। আর মাত্র ২৩ রান করলেই প্রথম পাকিস্তানী খেলোয়াড় হিসেবে ১০ হাজার রান ক্লাবে প্রবেশ করবেন তিনি। এমন অর্জন ইউনিসকেই মানায় জানিয়ে আখতার বলেন, ‘সবক্ষেত্রেই ইউনিস হলো ইউনিক। দলের জন্য বড় স্কোর করা, সততা, দায়িত্বশীল- সবক্ষেত্রেই অদ্বিতীয় ইউনিস। তাই টেস্ট ক্রিকেটে ১০’হাজার রান তার নামের পাশেই মানাবে।’ অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হকের অবসরের ঘোষণার দুই দিন পরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দেন ৩৯ বছর বয়সী ইউনিস। পাকিস্তানের ওয়ানডে দলেও, ভরসার অন্যতম নাম ছিলেন তিনি। ২৬৫ ম্যাচে ৭টি সেঞ্চুরিতে ৭২৪৯ রান করেছেন তিনি। তবে টেস্ট ফরম্যাটে পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৩৪টি সেঞ্চুরির মালিক ইউনিস। টুয়েন্টি টুয়েন্টি ক্রিকেটে ২৫ ম্যাচ খেলেছেন এই ডান-হাতি ব্যাটসম্যান। এরমধ্যে অধিনায়ক হিসেবেই ২০০৯ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ জয় করেছেন ইউনিস।

No comments

Powered by Blogger.