ধর্ষণ মামলায় পিতা-পুত্রের জেল

পিরোজপুরে আসামি তসলিম হাসান বাপ্পি (২৩) ও তার বন্ধু ইমরান হোসেনকে (২০) যাবজ্জীবন এবং তসলিম হাসান বাপ্পির বাবা শহিদুল ইসলাম ফরিদ মহাজনকে ৭ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এসএম জিল্লুর রহমান রোবরাব দুপুরে এই রায় দিয়েছেন। এ রায়ে বিচারক মামলার অপর দুই আসামি তাছলিমা বেগম ও আঃ জলিল মহাজনকে খালাস দিয়েছেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামি তসলিম হাসান বাপ্পি ও তার বাবাসহ প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছেলেকে আরো ১ বছর ও পিতাকে আরো ৬ মাসের কারাদন্ড ভোগ করতে হবে। ইমরানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। আসামিরা সবাই পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়নের কালিকাঠী গ্রামের বাসিন্দা।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২ জানুয়ারি রাতে শহিদুল ইসলাম ফরিদ মহাজনের ছেলে তসলিম হাসান বাপ্পি নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইমরানের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। তাকে বিয়ে করবে এমন লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করায় অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ঢাকায় গিয়ে তাদের বিবাহ দেয়া হবে বলে বাপ্পির বাবা শহিদুল ইসলাম ফরিদ মেয়ের বাবাসহ তাদেরকে ঢাকা যায়। বিয়ে না দিয়ে সে বছরের ১৯ মে একটি ক্লিনিকে মেয়েটির গর্ভপাত করায়। পরে বিভিন্ন বাহানা করে তাদের মধ্যে বিবাহ না পড়িয়ে মেয়েটিকে ছেলের বাবা শহিদুল ইসলাম ফরিদ তাড়িয়ে দেন। মেয়ের বাবা নিরূপায় হয়ে ওই বছরের ৩ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পিরোজপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে সদর থানার এসআই মনিরুজ্জামান ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। ধর্ষিতা মেয়েকে ছেলের সাথে বিয়ে না দিয়ে কৌশলে গর্ভপাত করানোর অপরাধে বাপ্পির বাবা শহিদুল ইসলাম ফরিদ মহাজনের ৭ বছরের কারাদন্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.