জাপানের নাগরিকদের আসতে নিষেধ করা হয়েছে

জাপানের নাগরিকদের প্রয়োজন ছাড়া বাংলাদেশে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। ঢাকায় অবস্থিত জাপান দূতাবাস থেকে তাদের ফেসবুক পাতায় দেয়া বৈদেশিক নিরাপত্তা তথ্যে এ কথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ভ্রমণসংক্রান্ত ঝুঁকির মাত্রা স্তর-১ থেকে স্তর-২ এ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাংলাদেশে অবস্থানরত জাপানের সব নাগরিককে সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি সম্পর্কে পূর্ণ সজাগ থাকতে হবে। পরিস্থিতি সম্পর্কে বিভিন্ন রিপোর্টের ওপর নজর রেখে জাপানের নাগরিকদের নিজেদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের যথাসম্ভব নিরাপদ থাকার চেষ্টা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ দিকে রংপুরে কোনিও হোসিকে গুলি করে হত্যার পর বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকা জাপানের বৈদেশিক সহায়তা স্বেচ্ছাসেবকদের (জেওসিভি) নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে দূতাবাস। জেওসিভির ৬১ জন স্বেচ্ছাসেবক দেশের বিভিন্ন স্থানে কৃষি, পল্লী উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ নানা ক্ষেত্রে কাজ করছেন।
স্বেচ্ছাসেবকদের নিরাপত্তায় কোনো সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে জাপান দূতাবাসের মিনিস্টার তাকাশি মাৎসুনাগা গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেন, বিষয়টি স্পর্শকাতর, তাই এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য সংবাদমাধ্যমকে দেয়া যাচ্ছে না।
ফেসবুক পাতায় জাপানি ভাষায় দেয়া বৈদেশিক নিরাপত্তা তথ্যের পূর্ণ বিবরণীর ইংরেজি সংস্করণ পাওয়া যাবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি জাপানের নাগরিকদের সতর্ক করার জন্য দেয়া হয়েছে, সংবাদমাধ্যমের জন্য নয়।
এ দিকে সরকারের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, কোনিও হোসি খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাপান সরকারের কর্মকাণ্ডে গোপনীয়তা রক্ষা করতে চাইছে দূতাবাস। জাপান দূতাবাস থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে, কোনিও’র পরিবার এ ঘটনা নিয়ে প্রচার চায় না। তাই কোনিওর লাশের ছবি বা তদন্তে আসা জাপানের সরকারি কর্মকর্তাদের ছবি যাতে সংবাদমাধ্যমে প্রচার করা না হয়, তার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কোনিও’র লাশ রংপুরে দাফন করা সম্ভব কি না তা গতকাল রংপুরের মেয়রের কাছে জানতে চেয়েছে জাপান দূতাবাস। কোনিও যে মুসলমান তার কাগজপত্র প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন রংপুরের মেয়র সরফুদ্দীন আহম্মেদ ঝন্টু।
গত মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জাপান দূতাবাস জানতে চেয়েছিল কোনিও মুসলমান কি না। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কোনো দালিলিক প্রমাণ পায়নি বলে দূতাবাসকে জানাতে পারেনি।
এ দিকে বিদেশীদের ওপর আরো আক্রমণের আশঙ্কায় রয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। এ কারণে তাদের নাগরিকদের জন্য দেয়া সতর্কবার্তায় ঝুঁকির মাত্রা এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। ঝুঁকি হ্রাসের ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত নাগরিকদের দেয়া সতর্কবার্তায় পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানা গেছে।

No comments

Powered by Blogger.