আত্মীয়তার বন্ধনে রাজনীতি-৬ by কাফি কামাল

ভারতীয় উপমহাদেশের একটি প্রভাবশালী পদবি চৌধুরী। বৃটিশ আমলেই এ চৌধুরী উপাধিধারীরা প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতিতে। পাকিস্তান আমল পার হয়ে বাংলাদেশ আমলেও রাজনীতিতে প্রভাব অটুট রেখেছে উল্লেখযোগ্য কিছু চৌধুরী পরিবার। চট্টগ্রাম, সিলেট ও ফরিদপুরের রাজনীতিতে প্রাধান্যসহ দেশের বিভিন্ন জেলার রাজনীতিতে এখনও প্রভাব ধরে রেখেছে বেশ কিছু চৌধুরী পরিবার।
ময়মনসিংহের নান্দাইলের জমিদার ও কেন্দ্রীয় মুসলিম লীগের সহসভাপতি প্রয়াত আশরাফ হোসেন খান চৌধুরী। তার বড় ছেলে ময়মনসিংহ বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ময়মনসিংহ-৯ আসনের সাবেক এমপি আনোয়ারুল হোসেন খান চৌধুরী এবং ছোট ছেলে একই আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি খুররম খান চৌধুরী। আশরাফ হোসেন চৌধুরীর কাজিন হলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, উপ-রাষ্ট্রপতি, পূর্বপাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লীগের সভাপতি নুরুল আমিন খান। আনওয়ারুল হোসেন খান চৌধুরীর স্ত্রীর বড় ভাই হলেন আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী প্রয়াত এ এস এইচ কে সাদেক। ভায়রা হলেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্পিকার প্রয়াত হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী। বোনজামাই হলেন নেত্রকোনার আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি প্রয়াত ডা. আখলাকুল হোসেন আহমেদ ও ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা সাবেক এমপি এস এ খালেক। আর বেয়াই হলেন (মেয়ের জেঠাশ্বশুর) চুয়াডাঙ্গার আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি ও হুইপ সোলায়মান জোয়ার্দার। আনওয়ারুল হোসেন চৌধুরীর কাজিন হলেন হবিগঞ্জ বিএনপির সভাপতি সৈয়দ ফয়সল ও এরশাদ সরকারের সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী বর্তমানে যুদ্ধপরাধের অভিযোগে কারাবন্দি সৈয়দ কায়ছার। আনোয়ারুলের কাজিনের ছেলের সঙ্গে মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আনওয়ারুল হোসেন খানের ছেলে ইয়াসের খান চৌধুরী বিবিসির তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগে কর্মরত এবং বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়। তার শ্বশুর হলেন শিল্পপতি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা খুরশিদ আলম। ইয়াসের চৌধুরীর মামাতো বোনের ভাসুর হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। আর ইয়াসের চৌধুরীর মায়ের আপন খালাতো ভাই হলেন কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর-বিক্রমের নেতৃত্বাধীন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এরশাদ সরকারের সাবেক মন্ত্রী মামদুদুর রহমান চৌধুরী। আবার তার বড়বোন হচ্ছেন বর্তমান সরকারের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের প্রয়াত শিক্ষামন্ত্রী এ এস এইচ কে সাদেকের সহধর্মিণী। বর্তমানে বোন হলেন মন্ত্রী এবং ভাই সক্রিয় বিরোধী জোটের রাজনীতিতে।
আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তার স্বামী আকবর হোসেন চৌধুরীর বাড়ি চট্টগ্রাম। সাজেদা চৌধুরীর ফুফাতো ভাই হলেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ। উলফাতের চাচা হলেন বিখ্যাত সাংবাদিক প্রয়াত আতাউস সামাদ। বিএনপি নেতা উলফাতের ফুফা হলেন আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রয়াত সিরাজুল হক। তার ছেলে বর্তমান সরকারের আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। ফলে উলফাৎ-আনিস পরস্পরের মামাতো-ফুফাতো ভাই এবং সাজেদা-উলফাৎ পরস্পরের মামাতো-ফুফাতো ভাই-বোন। সাজেদা চৌধুরীর ভাগনে হলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা ও ফরিদপুর জেলা বিএনপি নেতা মাহবুবুল হাসান পিংকু। আবার সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ভাগনে (মামাতো বোনের ছেলে) হলেন মাগুরা-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি প্রয়াত ডা. সিরাজুল আকবর।
চট্টগ্রামের একটি চৌধুরী পরিবার আছে যারা এ পদবি ব্যবহার করেন না। এ পরিবারের প্রধান ছিলেন প্রয়াত আহমেদ কবির চৌধুরী। তার বড় ছেলে প্রয়াত আবদুল্লাহ আল হারুন ছিলেন পূর্বপাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি, বাকশালের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও গণপরিষদ সদস্য। এ পরিবারের আরেক সন্তান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান। যিনি ছাত্রজীবনে শীর্ষস্থানীয় বাম রাজনীতিক ও পরে শ্রমিক দলের সভাপতি ছিলেন। আহমেদ কবির চৌধুরীর আরেক ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন জাতীয় পার্টির রাজনীতি করেন। নোমানের আরেক ভাই আবদুল্লাহ আল হাসানের শ্বশুর হলেন আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও এমপি প্রয়াত আবদুল মালেক উকিল।
পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রী ছিলেন চট্টগ্রামের মাহমুদুননবী চৌধুরী। তার ছেলে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি। আমীর খসরুর জেঠা নুরুল হক চৌধুরীও ছিলেন পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রী। আমীর খসরু চৌধুরীর চাচাতো বোনের জামাই হলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। আবার জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ছোট ছেলের বউ হলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিনের ভাতিজি। জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হলেন বিএনপি দলীয় সাবেক মন্ত্রী কামরুন নাহার জাফর ও জাতীয় পার্টির দলীয় চট্টগ্রামের সাবেক সিটি মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী।
আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি শিল্পপতি প্রয়াত আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বাবু। তার ছেলে বর্তমান ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি। বাবুর দুই বেয়াই হলেন ঢাকার আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি আলহাজ মকবুল হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি বোস অধ্যাপক ড. মতিন চৌধুরী। বাবুর বেয়াইন রাজিয়া মতিন ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি। আবার বাবুর নিকটাত্মীয় হলেন চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি এম এ লতিফ।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জাতীয় সংসদের স্পিকার ছিলেন প্রথিতযশা কূটনীতিক প্রয়াত হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী। তিনি প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টি থেকে। হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীর দুই ভাই ফারুক রশিদ চৌধুরী জাতীয় পার্টির এমপি ও আরেক ভাই কয়ছর রশিদ চৌধুরী বিএনপির রাজনীতি করতেন। সিলেটের বিখ্যাত ফারুক চৌধুরীরা হলেন তার কাজিন এবং শ্বশুর পক্ষীয় আত্মীয় হলেন বিএনপির সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত কর্নেল (অব.) আকবর হোসেন। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসসের প্রধান সম্পাদক ও এমডি ছিলেন সাংবাদিক জগ্‌লূল আহমেদ চৌধুরী। তার পিতা নাসিরউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন যুক্তফ্রন্ট সরকারের আইনমন্ত্রী। জগ্‌লূল আহমেদের ভাইপো আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা। তাদের আত্মীয় হলেন আওয়ামী লীগ সরকারের সমাজকল্যানমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী। আবার সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী এমপির ভায়রা হলেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহরিয়ার হোসেন। তাদের আরেক ভায়রা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত সোহেল আহমেদ চৌধুরী।
বৃহত্তর ফরিদপুরের আরেকটি চৌধুরী পরিবার হলো মঠবাড়িয়ার চরের চৌধুরী পরিবার। এ পরিবারের সন্তান শামসুল হুদা চৌধুরী ছিলেন জিয়াউর রহমান সরকারের এমপি। তার ছোট আলতাফ হোসেন চৌধুরীও বিএনপি দলীয় এমপি ছিলেন। শামসুল হুদা চৌধুরীর ছেলে নাজমুল হুদা মিঠু চৌধুরী শিবচর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। শামসুল হুদা চৌধুরীর ভাই আনোয়ার হোসেন চৌধুরী হলেন ফরিদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি জহিরুল হক শাহজাদা মিয়ার বোনজামাই। আবার শাহজাদা মিয়ার আরেক বোনজামাই হলেন এরশাদ সরকারের মন্ত্রী বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি আবুল খায়ের চৌধুরী। শাহজাদা মিয়ার স্ত্রী বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি ইয়াসমিন আরা হক। তাদের বেয়াই হলেন রংপুরের বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি রহিমউদ্দিন ভরসা। শাহজাদা মিয়ার ছেলের বউ হলেন ভরসার মেয়ে। আবার শাহজাদা চৌধুরী সম্পর্কে মামা হলেন বিএনপির সাবেক মহাসচিব ও মন্ত্রী প্রয়াত কে এম ওবায়দুর রহমান। আবার শামসুল হুদা চৌধুরীর চাচাতো ভাই বিএনপি নেতা খলিলুর রহমান ঠাণ্ডু চৌধুরী। তার বোনজামাই হলেন বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি সাংবাদিক প্রয়াত মোতাহের হোসেন সিদ্দিকী। তার মেয়ে নাভিলা চৌধুরী সাবেক এমপি ও ছেলে সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী ডিসিসির সাবেক কমিশনার। আবার গোপালগঞ্জের বিএনপি নেতা মহব্বত জান চৌধুরী ছিলেন এরশাদ সরকারের মন্ত্রী। তার বড় ভাই সারোয়ার জান চৌধুরীও বিএনপি সরকারের এমপি ছিলেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের রেজওয়ানুল হক ইদু চৌধুরী ছিলেন এরশাদ সরকারের মন্ত্রী। পরে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। তার শ্বশুর ছিলেন উত্তরাঞ্চলের প্রখ্যাত নেতা হাজী দানেশ। ইদু চৌধুরীর ছেলে জেলা জাতীয় পার্টি ও কেন্দ্রীয় কৃষক পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল ফেরদৌস নম্র চৌধুরী। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান নম্র চৌধুরী বর্তমানে জেলা বিএনপির সহসভাপতি। বগুড়ার বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি জি এম সিরাজ হলেন নম্র চৌধুরীর ভায়রা। আর চাচাতো ভাই হলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র শাহেদ কামাল ডালিম চৌধুরী। নম্র চৌধুরীর মা সুলতানা রেজওয়ান এরশাদ সরকারের সাবেক এমপি। সুলতানা রেজওয়ানের নানি ও খালেদা জিয়ার মা সম্পর্কে খালাতো বোন।
সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজুল ইসলাম চৌধুরী এমপি। তিনি এরশাদ সরকারের প্রতিমন্ত্রী, হুইপ ও বিএনপি দলীয় এমপি ছিলেন। তার পিতা প্রয়াত পনিরউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন অবিভক্ত বাংলার ও পরে পাকিস্তান সরকারের এমপি। তাজুল ইসলামের ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। গাজীপুরের বলিয়াদীর জমিদার পরিবারের সন্তান চৌধুরী লাবিব আহমেদ সিদ্দিকী। তার ছেলে চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জিয়া সরকারের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। তানভীর সিদ্দিকীর ছেলে চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তানভীর সিদ্দিকীর কাজিন হলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা আফজাল সিদ্দিকী। সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বিচারপতি প্রয়াত আবু সাঈদ চৌধুরী। তার পিতা আবদুল হামিদ চৌধুরী ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদের স্পিকার। আর ছেলে আবুল হাসান চৌধুরী ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী। তিনি এককালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধানও ছিলেন। তার শ্বশুর হলেন দক্ষিণাঞ্চলে আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মরহুম বসাত উল্লাহ চৌধুরী। অন্যদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের এমপি ও সাবেক সচিব র আ ম ওবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী হলেন ঢাকা-৩ আসনের এমপি খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের ভগ্নিপতি। বিএনপির সাবেক এমপি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির চাচাশ্বশুর হলেন ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগ নেতা ও এমপি আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। এ ছাড়া বিএনপি দলীয় সাবেক মন্ত্রী নিতাই রায় চৌধুরীর মেয়ের শ্বশুর হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এ ছাড়া কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী। তার ছোট ভাই শাহজালাল চৌধুরী জামায়াতের নেতা।

No comments

Powered by Blogger.