এগিয়ে থেকেও হার মামুনুলদের

প্রীতি ম্যাচে প্রীত হতে পারেননি বাংলাদেশের দর্শকরা। এগিয়ে থেকেও ২-১ গোলের হার নিয়ে মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ দল। শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচটি নিজেদের করে নিল সিঙ্গাপুর। আহামরি নৈপুণ্য দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ দল। দর্শক সংখ্যা ছিল হাজার দুই। তাদের মন ভরেনি। নিদেনপক্ষে ড্র করা উচিত ছিল মামুনুলদের। ম্যাচের শুরুতেই গোল পায় বাংলাদেশ। মাত্র চার মিনিটে অধিনায়ক মামুনুলের ফ্রিকিকে দর্শনীয় হেডে সিঙ্গাপুরের জালে বল পাঠান ডিফেন্ডার নাসির উদ্দিন (১-০)।
মিনিট সাতেক পর ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। বক্সের বাইরে থেকে হেমন্তের গড়ানো শট আটকে দেন সিঙ্গাপুরের গোলকিপার আবদুল্লাহ সানি। সুযোগ পেয়েছিল সিঙ্গাপুরও। ডিফেন্ডার ইসা বিন নায়েনের চমৎকার ফ্রিকিক যখন নিশ্চিত গোলে পরিণত হচ্ছিল, ঠিক তখনই বাংলাদেশকে রক্ষা করেন গোলকিপার মাজহারুল ইসলাম হিমেল। দুর্দান্তভাবে ফিস্ট করে বল থামিয়ে দেন হিমেল। ২৪ মিনিটে মামুনুলের কর্নার থেকে সোহেল রানার শট সিঙ্গাপুরের গোলকিপার ক্লিয়ার করেন। তার মিনিট ছয়েক পর ম্যাচে ফেরে সিঙ্গাপুর। ডিফেন্ডার হাফিজ বিন আবু সাজিদের ক্রস থেকে ফরোয়ার্ড নাহিদ নওয়াজের হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বল ক্লিয়ার করতে পারেননি বাংলাদেশের ডিফেন্ডার ইয়ামিন মুন্না। আবারও বল পান নওয়াজ। জোরালো শটে মাজহারকে হার মানান এই ফরোয়ার্ড (১-১)। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল বাংলাদেশের।
৫১ মিনিটে মামুনুলের কর্নারে ডিফেন্ডার ইয়াসিন খানের হেড অল্পের জন্য নিশানা খুঁজে পায়নি। ৬৩ মিনিটে হেমন্তের শট গোলকিপার আবদুল্লাহ সানির তৎপরতায় জালে জড়ায়নি। এর মিনিট দশেক পর বাংলাদেশের কপালে হারের তিলক লেপ্টে দেয় সিঙ্গাপুর। কর্নার থেকে দর্শনীয় হেডে বাংলাদেশের জালে বল জড়িয়ে দেন সিঙ্গাপুরের ফরোয়ার্ড কামাল (২-১)। হেরেও আশিভাগ তৃপ্ত বাংলাদেশ দলের কোচ ডি ক্রুইফ। তার কথা, ‘আমার ছেলেরা যা খেলেছে, তাতে আমি খুশি। তারপরও খেলায় ভুলভ্রান্তি ছিল। আশা করছি, পরবর্তী ম্যাচে ছেলেরা তা কাটিয়ে ওঠতে পারবে।’ অন্যদিকে সিঙ্গাপুরের কোচ বলেন, ‘বিশ্বমানের পৌঁছাতে হলে সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশ দু’দলকেই অনেক পথ পারি দিতে হবে। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মামুনুল, জামাল ভূঁইয়ার খেলা আমার মনে দাগ কেটেছে।’

No comments

Powered by Blogger.