আওয়ামী লীগের র‌্যালি- ‘খালেদা জিয়া ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন’

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন। যতই দিন যাবে তিনি শেষ হয়ে যাবেন। গতকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় র‌্যালি পূর্ব সমাবেশে একথা বলেন তিনি। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন, ৩ সিটিতে দল সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর জয়লাভ, বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ সিদ্দিকীর বৃটিশ পার্লামেন্টের সদস্যপদ লাভ’ উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির শেষ দিনে এ বিজয় র‌্যালির আয়োজন করা হয়। সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে মতিয়া বলেন, পিতার হাতে যা রচিত, কন্যার হাতে তা বাস্তবায়িত, এর চাইতে সফলতা আর কি হতে পারে। পৃথিবীতে এ ধরনের পরম্পরা সফলতা বিরল। খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই নেত্রী বলেন, সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য আপনি নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাননি। তাতে শেখ হাসিনা বা বাংলার মানুষের কিছু যায় আসে না। আপনার কাছে, আপনার স্বামীর কাছে বাংলার মানুষ সামরিকতন্ত্র, জেল, জুলুম, নির্যাতন, সামপ্রদায়িকতা ছাড়া আর কিছুই পায়নি। আর শেখ হাসিনা মানে গণতন্ত্র, শেখ হাসিনা মানে অর্জন। তিনি বলেন, মুজিব-ইন্দিরা চুক্তিকে আপনারা গোলামির চুক্তি বলেছিলেন। শান্তিচুক্তির সময়ে বলেছিলেন ফেনী পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে। কিন্তু সেই ফেনী থেকেই খালেদা জিয়া নির্বাচন করেছেন। তিনি বলেন, আপনার ছেলে হাওয়া ভবন খুলে দেশকে শাসন করেছে। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার জন্য আপনি, আপনার পুত্র, বিএনপি দায়ী। যে কারণে ২০০৮ এর নির্বাচনে দেশের জনগণ শেখ হাসিনাকে সংবিধান সংশোধনের রায় দেয়। সংবিধান সংশোধনের জন্য পার্লামেন্টের ভেতরে বাইরে সবাই মত দিয়েছে। কিন্তু আপনারা আসেননি। কাজেই ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে আপনি ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন।
সমাবেশে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, শেখ হাসিনা থাকলে বাংলাদেশ থাকবে, শেখ হাসিনা থাকলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। আগামী ২৯শে মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শেখ হাসিনাকে দেয়া নাগরিক কমিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সবাইকে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ। বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতউল্লাহ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজউদ্দিন মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সেলিম, আওলাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল প্রমুখ। সমাবেশ শেষে নেতাকর্মী পরিবেষ্টিত বিজয় র‌্যালি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটক থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় পার হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

No comments

Powered by Blogger.