দাবদাহে তপ্ত দেশ, হাঁসফাঁস জীবন

গরমে অতিষ্ঠ নগরবাসী। একটুখানি স্বস্তি পেতে
পথশিশু ও কিশোরেরা ঝাঁপাঝাঁপি করছে রাজধানীর
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জলাধারে। ছবি: হাসান রাজা
ঝাঁজাল রোদ থেকে রক্ষা পেতে ছাতার ছাউনিতে আশ্রয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে তোলা। ছবি: ফোকাস বাংলা
তীব্র নয়, মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে এখন। সঙ্গে যোগ হয়েছে বৃষ্টিশূন্যতা। দুইয়ে মিলে বেশ উত্তপ্ত সারা দেশ। গরমের মাত্রাটা খানিকটা বেশি যেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলজুড়ে। আজকালের মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের মধ্যাঞ্চলে তাপপ্রবাহের বিস্তার হতে পারে।
আজ সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পূর্বাভাসে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়, বৃহস্পতিবার দেশের প্রায় সব এলাকায় তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ছিল। বৃষ্টিও বেশ কম হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে সৈয়দপুরে, ২৫ মিলিমিটার। রাজধানী ঢাকায় ১১, রংপুরের ২০ ও ময়মনসিংহে ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
তাপপ্রবাহের জন্য দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোর ও রাজশাহী জেলায়, ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
খুলনায় ৩৭ দশমিক ৫, বরিশালে ৩৬ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ৩৪ দশমিক ৬ ও রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গরম পড়লেও আজ রংপুর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে বজ্র বৃষ্টি হতে পারে।
তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃষ্টির সুখবর দিয়ে রেখেছে। মৌসুমি বায়ু প্রতিবেশী মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহর পর্যন্ত চলে এসেছে।
অবশ্য জ্যেষ্ঠের এই দহন খুব একটা স্থায়ী হবে বলে মনে করছেন না আবহাওয়াবিদেরা। তাঁদের মতে, খানিকটা ঝড়-বৃষ্টি, এর সঙ্গে মৌসুমি বায়ু যোগ হলে গরমের দাপট কমে যাবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শাহ আলম প্রথম আলোকে জানান, ১০ জুনের মধ্যে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের আকাশে চলে আসতে পারে। তাই বৃষ্টি হলে এবার গরমের মাত্রা অন্যান্য বছরের মতো বাড়বে না।

No comments

Powered by Blogger.