এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের তৃতীয় সমাবর্তনে
স্নাতক ডিগ্রিধারী ছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটছেন অতিথিরা।
ঘড়ির কাঁটায় সকাল ১০টা। মিলনায়তনে বেজে ওঠে যন্ত্রসংগীতের সুরমূর্ছনা। উঠে দাঁড়ালেন আমন্ত্রিত অতিথি আর দর্শকসারির সবাই। শিক্ষকদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একে একে আসন গ্রহণ করেন সমাবর্তনের পোশাক পরিহিত দেশি-বিদেশি ১১৫ স্নাতক ডিগ্রিধারী ছাত্রী।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের (এইউডব্লিউ) তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সূচনা হয়েছিল এভাবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন হল টুয়েন্টিফোর মিলনায়তনে এই সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফাহিমা আজিজের পরিচালনায় সমাবর্তন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন এইউডব্লিউর ট্রাস্টি ইয়ুং জুন কিম। সমাবর্তনে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। অনুষ্ঠানে মূল বক্তা ছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন ব্লুম বার্নিকাট। বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য শেরি ব্লেয়ার।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা (স্নাতক ডিগ্রিধারীরা) হচ্ছেন আগামী যুদ্ধের সৈনিক। আপনারা যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে যাওয়ার মানুষ নন। যে পেশায় থাকুন না কেন সবার মধ্যে দেশপ্রেম থাকা জরুরি। এই শতকে পৃথিবীকে দরিদ্রমুক্ত করা হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ এবং আপনাদের সে চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।’
সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মূল বক্তা মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট বলেন, ‘আপনারা প্রত্যেকে নিজ দেশের অনন্য সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এসেছেন। আমাদের ক্রমেই ছোট হয়ে আসা পৃথিবীতে অবদান রাখার জন্য অন্যদের তুলনায় আপনারা অনেক বেশি প্রস্তুত। এই মাইলফলকে পৌঁছানোর জন্য আপনাদের অধ্যবসায় ও সাফল্যকে সম্মান জানাই।’
শেরি ব্লেয়ার বলেন, ‘আপনারা পাঁচ বছরের জন্য যে শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, তা নিজ নিজ দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাবেন। আপনাদের এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা গর্বিত হব। আপনারা কখনো হাল ছাড়বেন না।’
উপাচার্য ফাহিমা আজিজ স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘আজকের স্নাতকেরা টেকসই উন্নয়ন, গণতন্ত্র সমুন্নতকরণ ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে নেতৃত্ব দেবেন। আজ আপনাদের সে যাত্রা শুরু হয়েছে।’
আলোচনা পর্ব শেষে ১২টি দেশের ১১৫ জন ছাত্রীর হাতে সনদ তুলে দেওয়া হয়। আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, কম্বোডিয়া, কানাডা, চীন, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামের শিক্ষার্থীরা সনদ পেয়েছেন। ছাত্রীদের পক্ষে বক্তব্য দেন জাহরা জামিলা ইকরা।

No comments

Powered by Blogger.