সালাহউদ্দিনকে নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পুলিশের প্রতিবেদন

নিখোঁজ সালাহউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। গত ২৩শে মার্চ এ প্রতিবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠিয়েছেন পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইজি (রাজনৈতিক/ছাত্র-শ্রম) মাহবুব হোসেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৬ই জানুয়ারি থেকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট নেত্রী খালেদা জিয়া সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি আহ্বান করেন। এরপর থেকে তা অব্যাহত রয়েছে। রুহুল কবির রিজভী গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ দলের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। সালাহউদ্দিন আহমেদ বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে আত্মগোপনে অজ্ঞাত স্থান থেকে বিএনপি এবং ২০ দলীয় জোটের পক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা ও বিবৃতি দিয়ে আসছিলেন। গত ১১ই মার্চ রাত পৌনে ১১টায় সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ উত্তরা পশ্চিম থানায় হাজির হয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানান, ১০ই মার্চ আনুমানিক নয়টা থেকে ১০টার মধ্যে উত্তরা ৩নং সেক্টরস্থ ১৩বি রোডের ৪৯/বি বাড়ির ২য় তলা থেকে তার স্বামী সালাহউদ্দিন আহমেদকে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।
ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে: উত্তরা পশ্চিম থানায় ১১ই মার্চ রাতে হাসিনা আহমেদের কাছ থেকে গত ১০ই মার্চ তার স্বামী বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ উত্তরা থেকে নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়। হাসিনা আহমেদ ওসি উত্তর পশ্চিম থানাকে জানান, দুবাই থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি তাকে ফোনে জানিয়েছে, উত্তরা ৩নং সেক্টরস্থ ১৩বি রোডের ৪৯/বি বাড়ির ২য় তলা থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদকে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে গিয়েছে। হাসিনা আহমেদ উত্তরার ওই ঠিকানার বাড়িতে বসবাস করেন না এবং ঘটনার সময়ে তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাধারণ ডাইরি নং-৬৩৪ তারিখ ১১-০৩-১৫ মোতাবেক হাসিনা আহমেদের মৌখিক বক্তব্য নোট করে সালাহউদ্দিন আহমেদের নিখোঁজ সংক্রান্তে তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হন। তথ্য সংগ্রহকালে প্রাথমিকভাবে জানা যায়, উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ৩নং সেক্টরস্থ ১৩ বি রোডের ৪৯/বি ৩ তলা বাড়ির প্রকৃত মালিক মৃত ড. সিরাজ-উদ্দৌলা। বর্তমানে তার মেয়ের পক্ষে ধানমন্ডি নিবাসী জনৈক রেজা (০১৭১৫০৪৪৮৫৫) তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে বাসাটির ভাড়া প্রদানসহ দেখাশুনা করেন। ওই বাসার নিচতলার পশ্চিম পার্শ্বে গ্যারেজ, পূর্ব পাশের ফ্ল্যাটে ভাড়াটিয়া জনৈক আহসানের গোডাউন এবং সেখানে ডেলিভারিম্যান সাইফুল (০১৮৪০৭৩৭৭৩০) বসবাস করেন। ২য় তলার পূর্ব পার্শ্বে ভাড়াটিয়া ড. সুকান্ত করিম বসবাস করেন। ২য় তলার পশ্চিম পার্শ্বে ভাড়াটিয়া ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ডিএমডি হাবিব হাসনাত (০১৭১৩০৪২৪৮২) এবং তার স্ত্রী সুমনা (০১৭১১৫২২৫৮২) বসবাস করেন। ৩য় তলার পূর্ব পার্শ্বে ভাড়াটিয়া জনৈক খসরু (০১৬৭৮০৩০৬৩৩) এবং পশ্চিম পার্শ্বের ফ্ল্যাটে মেজর (অব.) হাসিব (০১৭৩০৩৫২৭৬৫) বসবাস করেন। বাড়ির নিচতলায় আশরাফুল ও আক্তার নামে ২ জন দারোয়ান আছে। বাসার ২য় তলার পশ্চিম পার্শ্বে ফ্ল্যাটের দরজা তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। ঘটনাস্থল বাড়ির দারোয়ান আক্তার জানান, পশ্চিম পার্শ্বের ভাড়াটিয়া হাবিব হাসনাত ৪ দিন আগে সস্ত্রীক বাসা ছেড়ে চলে যান এবং যাওয়ার সময় রায়হান নামে একজন মেহমানকে বাসায় রেখে যান। দারোয়ান আক্তার আরও জানান, বিভিন্ন সময়ে ২য় তলায় পশ্চিম ফ্ল্যাটে থাকা মেহমানের কাছে গাড়ি নিয়ে অন্য মেহমানদের আসা যাওয়া ছিল। গত ১০ই মার্চ রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ৪/৫ জন মেহমান হাসনাত সাহেবের বাসায় আসেন। অনুমান আধাঘণ্টা পর রায়হান নামীয় মেহমান বাসায় আসা লোকদের সঙ্গে নিচে নেমে গাড়িতে করে চলে যান। বাসায় আগত লোকদের মধ্যে কেউ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক পরিহিত ছিল না। বাসা থেকে কাউকে জোর করে বা হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যেতে সে দেখেনি বলে জানায়। অন্য ভাড়াটিয়ারা ঘটনার বিষয়ে কিছু জানে না বলে জানায়। এমনকি পাশের ফ্ল্যাটে বসবাসরত ড. সুকাস্তা করিম উল্লিখিত সময়ে বাসায় অবস্থান করলেও তার পাশের ফ্ল্যাটে জোরপূর্বক দরজা খোলার শব্দ বা কোন ব্যক্তির আগমন বা প্রত্যাগমনের কোন আভাস পাননি বলে জানান। সালাহউদ্দিন আহমেদ উত্তরার বর্ণিত বাড়িতে অবস্থান করছিলেন এবং তাকে সেখান থেকে কেউ গ্রেপ্তার বা অপহরণ করেছে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে না পারায় উত্তরা পশ্চম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনার বিষয়ে উত্তর পশ্চিম থানার জিডি নম্বর-৬৮৭ তারিখ ১২-০৩-১৫ লিপিবদ্ধ করেন। তথ্যানুসন্ধান কালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সালাহউদ্দিন আহমেদকে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর কোন সদস্য কর্তৃক গ্রেপ্তার করার তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদনে ‘প্রতিক্রিয়া’ হিসেবে যা বলা হয়েছে: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচার হওয়ার পর তা সারা দেশে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাতের আঁধারে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদকে তুলে নেয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি এ ঘটনায় ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাকে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এক বিজ্ঞপ্তিতে সালাহউদ্দিন আহমেদকে আদালতে হজির না করা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক তাকে গ্রেপ্তারের কথা প্রকাশ না করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বিএনপির বর্তমান মুখপাত্র ও যুগ্ম মহাসচিব বরকতউল্লাহ বুলু এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, সরকারের নিষ্ঠুরতার সর্বশেষ শিকার সালাহউদ্দিন আহমেদ। তাকে নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নিষ্ঠুর পরিহাসমূলক বক্তব্য দেয়া হচ্ছে। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে অভিযোগ করেছেন যে, সালাহউদ্দিনকে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে গেছে। এ ছাড়া অধ্যাপক ডা. এমএ মাজেদসহ ১১০১ চিকিৎসক সালাহউদ্দিন আহমেদের নিখোঁজের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন।
সালাহউদ্দিনকে নিয়ে হাইকোর্টে মিস কেস সংক্রান্ত বিএনপির যুগ্ম মহাসচিবের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ গত ১২ই মার্চ সালাহউদ্দিন আহমেদকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি গোবিন্দা চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুল দেন। আদালত জানতে চান সালাহউদ্দিনকে কেন খুঁজে বের করে ১৫ই মার্চ সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে আদালতে হাজির করা হবে না। এ সংক্রান্তে সুপ্রিম কোর্ট বিভাগের ক্রিমিন্যাল মিসসিলেনিয়াস কেস নম্বর ৯৯৩২ অব ২০১৫ তারিখ ১২-০৩-১৫ দায়ের করা হয়েছে। আবেদনকারী হাসিনা আহমেদ এবং রেসপনডেন্ট হিসেবে রয়েছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র সচিবসহ মোট ৮ জন। গত ১৫ই মার্চ যথাসময়ে সকল রেসপনডেন্টগণ হাইকোর্টে জবাব দাখিল করেছেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে রুজুকৃত মামলার বিবরণ: পুলিশের প্রতিবেদনে সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ১৭টি মামলার বিবরণ দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, অনুসন্ধানকালে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে ১. তেজগাঁও থানার মামলা নং ১৮(২)১৩ তারিখ ১০-০২-১৩, ২. মতিঝিল থানার মামলা নং-৩৫(৩)১৫ তারিখ ২৫-০৩-১৩, ৩. পল্টন থানার মামলা নং-০২(৪) ১৩, তারিখ ০২-০৪-১৩, ৪. সবুজবাগ থানার মামলা নং ৭(৪)১৩ তারিখ ০২-৪-১৩, ৫. মতিঝিল থানার মামলা নং ০৬(৪)১৩ তারিখ ০১-০৪-১৩, ৬. তেজগাঁও শেরে বাংলা নগর থানার মামলা নং-০৯(১২)১২, তারিখ ০৩-১২-১২, ৭. গুলশান থানার মামলা নং-৩৫(৬)০৭ তারিখ ১৪-০৬-০৭, ৮. চকোরিয়া থানার মামলা নং-০৯(৫)০৭ তারিখ ০১-০৫-০৭, ৯. গুলশান থানার মামলা নং-০২(৪)০৭, তারিখ ০১-০৪-০৭, ১০. চকোরিয়া থানার মামলা নং ১৯(৪)০৭ তারিখ ০৪-০১-০৭, ১১. চকোরিয়া থানার মামলা নং-১৩(২)০৭, তারিখ ০১-০২-০৭, ১২. চকোরিয়া থানার মামলা নং-১৭(২)০৭, ১৩. চকোরিয়া থানার মামলা নং-১৮(০২)০৭, ১৪. চকোরিয়া থানার মামলা নং-২৩(০২)০৭, ১৫. শাহবাগ থানার মামলা নং-৬০(৫)০৭, ১৬. গুলশান থানার মামলা নং-২৫(২)১৫, তারিখ ১৬-০২-১৫ এবং ১৭. ভাটারা থানার মামলা নং-১১(২)১৫ মামলাগুলোর তথ্য পাওয়া গেছে।
সালাহউদ্দিনের নিখোঁজ নিয়ে পর্যালোচনা: সালাহউদ্দিনের নিখোঁজ নিয়ে একটি পর্যালোচনা দেয়া হয়েছে পুলিশের প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় অজ্ঞাত স্থান থেকে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের বিভিন্ন কর্মসূচি এবং বিবৃতি দিয়ে আসছিলেন। তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক। হাসিনা আহমেদ তার স্বামী নিখোঁজ হওয়ার যে সময় বলেছেন তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেও থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেননি। উত্তরার যে বাসা থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদকে অপহরণ করা হয় বলে হাসিনা আহমেদ উল্লেখ করেছেন সেখানে হাসিনা আহমেদ কোন দিন যাননি। এমনকি ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পরও তিনি ঘটনা জানতে উত্তরার বাসায় যাননি। ওই বাসার কোন ভাড়াটিয়া অপহরণের ঘটনার বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি। তবে কথিত ঘটনাস্থল বাড়ির দারোয়ান আক্তার জানিয়েছে, ওই বাসার ভাড়াটিয়া হাবিব হাসনাত ৪ দিন পূর্বে তার বাসায় রায়হান নামীয় একজন মেহমানকে রেখে সস্ত্রীক অন্যত্র চলে যান এবং ১০ই মার্চ বর্ণিত ফ্ল্যাটে ০৪/০৫ জন ব্যক্তি এলে ওই ফ্ল্যাটে আগে থেকে অবস্থানরত মেহমানটি তাদের সঙ্গে গাড়িযোগে চলে যান যা রহস্যজনক। দারোয়ান আক্তার আরও জানান, সালাহউদ্দিন আহমেদ নামে কাউকে সে চিনে না। এমন অবস্থায় সালাহউদ্দিন আহমেদের উত্তরায় হাবিব হাসনাতের বাসা থেকে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি রহস্যময় বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে ‘নিখোঁজ’ নিয়ে মতামত বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদের নিখোঁজ নিয়ে প্রতিবেদনে নিজেদের মতামত তুলে ধরেছে পুলিশ। এতে বলা হয়, সালাহউদ্দিন আহমেদ বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী হাসিনা আহমদ গত ১১ই মার্চ রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় হাজির হয়ে জানান, তার স্বামীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে উত্তরার এক বাসা থেকে গত ১০ই মার্চ রাতে তুলে নিয়ে গেছে। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সালাহউদ্দিন আহমদের কথিত অপহরণের বিষয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারকে চাপের মধ্যে ফেলতে এবং সরকারবিরোধী আন্দোলনকে বেগবান করতে কোন স্বার্থান্বেষী মহল দেশে-বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর নাম দিয়ে এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে অনেকের ধারণা। আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নিখোঁজ সালাহউদ্দিন আহমদের সন্ধানে তৎপরতা আছে। তবে এই ধূম্রজাল ভেদ করে ঘটনর প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করা প্রয়োজন। উল্লেখ্য, পুলিশ প্রতিবেদনের সঙ্গে দুইটি জিডির কপি এবং আইন কর্মকর্তার প্রতিবেদন যুক্ত করে দেয়া হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.