‘পুরো ঘটনাটাই দুঃখজনক’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন নাজমুল হাসান পাপন
আইসিসি সভাপতির পদ থেকে আ হ ম মুস্তফা কামালের পদত্যাগকে দুর্ভাগ্যজনক বলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ২৮শে মার্চ হঠাৎ ডাকা আইসিসি’র জরুরি সভায় ছিলেন না বিসিবি সভাপতি।  যেখানে আ হ ম মুস্তফা কামালকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছিল। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ফাইনালের আগে একটা মিটিং হয়েছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমি মিটিংয়ে ছিলাম না। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় চেয়ারম্যান ট্রফি দিবে। এটা ব্যতিক্রম আইসিসিতে। এটা দুর্ভাগ্যজনকও বটে। আমি কয়েক ঘণ্টা আগেই জেনেছি কামাল সাহেব পদত্যাগ করেছেন। পুরো ঘটনাই অনাকাঙ্ক্ষিত। এটা না হলেই ভাল হতো।’ বিশ্বকাপ শেষে ঢাকায় ফিরে বুধবার রাতে সাংবাদিকদের তিনি বাংলাদেশ-ভারত কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে আম্পায়ারিং বিতর্ক থেকে শুরু করে মুস্তফা কামালের পদত্যাগ নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন বিসিবি সভাপতি। শুধু তাই নয়, এই সব ঘটনা ভারত-বাংলাদেশের ক্রিকেট সম্পর্কে কোন প্রভাব ফেলবে না বলেও বিশ্বাস তার। এর মধ্যে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে যে, শ্রীনিবাসন ভারতের বাংলাদেশ সফর রুখতে উঠে-পড়ে লেগেছেন। তার পক্ষের ভারত ক্রিকেট বোর্ডে থাকা কর্মকতারা এরই মধ্যে জরুরি সভা ডেকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলেও ভারতের পত্র-পত্রিকাতে প্রকাশিত হয়েছে। এই বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দুদেশের সম্পর্কে কোন প্রভাব ফেলবে না। আমি  কোন কারণ খুঁজে পাই না বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অবনতি হওয়ার। এটা দুদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছুই না। আমরা কোন নির্দিষ্ট দেশ সম্পর্কে অভিযোগ করিনি। আমরা আম্পায়ারিং নিয়ে কথা বলেছি। আমরা বলেছি, প্রযুক্তি থাকতেও তা ব্যবহার হয়নি। এটা কয়েকবার হয়েছে।’
অন্যদিকে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ নিয়ে আইসিসি বল বাই বল তদন্ত করবে বলেই জানান বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেন ‘আইসিসি’র সিইও  ডেভ রিচার্ডসন তাকে বলেছেন কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের বল বাই বল তদন্ত করা হবে। এছাড়াও আ হ ম মুস্তফা কামালের পরিবর্তে কে হচ্ছেন আইসিসি সভাপতি তা নিয়ে ১৫ ও ১৬ই এপ্রিল সভায় আলোচনা হবে। এমনও হতে পারে তার মেয়াদের বাকি তিন মাস বাংলাদেশ থেকেই কেউ সভাপতি থাকতে পারেন। তেমন কিছু হলে পাপন আগের মতোই সরকারের মতামত নিয়েই সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান। তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনও নেয়া হবে।’ এছাড়াও এই পদ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আইসিসি’র সভাপতি পদটা আলঙ্কারিক। এটা আগামী তিন মাস কে সভাপতি থাকবেন তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। সভাপতির একটাই সম্মান ছিল ট্রফি  দেয়া। যেটা দিতে দেয়া হয়নি।’ এরই মধ্যে পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি আইসিসি’র সভাপতি হচ্ছেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.