রাসুলের (সা.) ব্যঙ্গচিত্র চায় না ফ্রান্স

শার্লি এবদোর দপ্তরে প্রাণঘাতী আক্রমণের পর আলোচনা শুরু ফ্রান্সে৷ বিষয়, সংবাদপত্র বা অন্যান্য পত্রিকায় এমন সংবেদনশীল ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের যৌক্তিকতা৷ এই নিয়ে সমীক্ষাও শুরু করেছে এক সংস্থা৷ সমীক্ষায় পাওয়া ফরাসি নাগরিকদের মানসিকতা কিন্তু একেবারেই মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে যায়নি৷ প্রায় অর্ধেক ফরাসিই মনে করেছেন, ধর্মশ্বিাসে আঘাত দেওয়া এমন ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ অর্থহীন৷ রাসুলের (সা.) ব্যঙ্গচিত্র ছাপলে যদি ইসলামি আদর্শে বিশ্বাসী মানুষদের ধর্মীয় চেতনায় আঘাত লাগে, তবে তা না ছাপাই ভালো- এমনই মত প্রকাশ করেছেন সমীক্ষা নেওয়া ফরাসিরদের ৪২ শতাংশই৷ ৫০ শতাংশের মত, ইন্টারনেটে 'যেমন তেমন' মন্তব্য প্রকাশের ওপর লাগাম দেওয়া হোক৷ তবে, ধর্মীয় সংবেদনশীলতায় আঘাত দেওয়ার বিরোধিতা করলেও ফ্রান্সের মানুষ কিন্তু মোটেই ধর্মের নামে নাশকতা চালানোর পক্ষে মত দেননি৷ যাদের ওপর সমীক্ষা নেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে ৮১ শতাংশই জানিয়েছেন, ফ্রান্সে বসবাসকারীদের মধ্যে যারা পশ্চিম এশিয়ার জিহাদে অংশ নিতে সিরিয়া বা ইরাকে গিয়েছেন তাদের ফরাসি নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হোক৷ ৫৭ শতাংশ জানিয়েছেন, উত্তর আফ্রিকা ও পশ্চিম এশিয়ায় ফরাসি হস্তক্ষেপ বন্ধ হোক৷ শার্লি এবদোর দপ্তরে হামলার পরের সপ্তাহে প্রকাশিত পত্রিকার প্রচ্ছদে নতুন করে নবি মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করা নিয়ে ওই পত্রিকার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন এক সৌদি ধর্মীয় নেতা৷ অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন নামে এক সংগঠনের প্রধান ও সৌদি আরবের প্রাক্তন সংস্কৃতিমন্ত্রী আইয়াদ মদানি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই পত্রিতার বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য তিনি আইনজীবী নিয়োগ করেছেন৷ মদানি নিযুক্ত আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই ফরাসি আইন সম্পর্কে পড়াশোনা করে সই বিষয়ে বিশেষ ধারণা তৈরি করে নিচ্ছেন৷ তাদের প্রস্তুতি শেষ হলেই এই ব্যঙ্গপত্রিকার বিরুদ্ধে ফ্রান্সের আদালতে মামলা দায়ের করবে অর্গানাইন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন৷ -সংবাদসংস্থা

No comments

Powered by Blogger.