রাজশাহীতে শিবির-পুলিশ সংঘর্ষ

(রাজশাহী নগরের সপুরা এলাকায় আজ মঙ্গলবার শিবিরকর্মীরা পুলিশের বন্দুক কেড়ে নিয়ে পুলিশকে পেটায়। ছবি: প্রথম আলো) ২০ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধ কর্মসূচিতে রাজশাহীতে পুলিশের সঙ্গে শিবির কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশের দুই সদস্য গুরুত্বর আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ কনস্টেবল আমজাদ ও শফিকুলকে উদ্ধার করে বিজিবি। পরে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকাল সোয়া দশটার দিকে মহানগরীর শালবাগান এলাকার পাশে আলিফ-লাম-মিম ভাটার সামনে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। অবরোধের সমর্থনে ছাত্রশিবির কর্মীরা মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ও রাস্তায় পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় পুলিশ বাধা দিলে শিবির কর্মীরা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। গাড়িতে থাকা পুলিশ কনস্টেবল আমজাদ ও শফিকুল গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে শিবির কর্মীরা তাদের ঘিরে ধরে ইট ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। শিবির কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে থাকা অস্ত্রও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। >>মানবজমিন
বন্দুক কেড়ে পুলিশকে পেটাল শিবির -
রাজশাহীতে আবার গাড়িতে হামলা করে বন্দুক কেড়ে নিয়ে পুলিশকে পেটালেন ছাত্রশিবিরের কর্মীরা। আজ মঙ্গলবার সকালে নগরের সপুরা এলাকায় আলিফ লাম মিম ইটভাটার সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে এই এলাকার পার্শ্ববর্তী শালবাগান এলাকায় একইভাবে পুলিশকে পিটিয়েছিল শিবির। হামলায় আহত পুলিশ সদস্যরা হচ্ছেন শাহ মখদুম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর হোসেন এবং কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন ও জামাল উদ্দিন। এঁদের মধ্যে গুরুতর আহত শফিকুল ও আমজাদকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। অপর দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, আজ সকাল ১০টার দিকে শিবিরের কর্মীরা রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের সপুরা এলাকায় আলিফ লাম মিম ইটভাটার পাশে রাস্তায় আগুন দিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন। এ সময় নগরের শাহ মখদুম থানার একটি পুলিশ ভ্যান সেদিকে যাচ্ছিল। শিবিরের অবরোধ দেখে পুলিশ গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করে। তার আগেই শিবিরের কর্মীরা পুলিশ ভ্যানটিকে ধাওয়া করে ঘিরে ফেলেন ও ভাঙচুর করেন। এ সময় কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম ও আমজাদ হোসেন গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে শিবির-কর্মীরা তাঁদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁরা শফিকুল ইসলামের বন্দুক কেড়ে নিয়ে তাঁকে পিটিয়ে রাস্তার ধারে ফেলে দেন। তাঁরা আমজাদ হোসেনকেও পেটান। যাওয়ার সময় তাঁরা খানিকটা দূরে বন্দুকটি ফেলে চলে যান। এ সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ধাওয়া করলে শিবির-কর্মীরা পালিয়ে যান। কনস্টেবল শফিকুলের মাথা দিয়ে রক্ত ঝরছিল এ সময়।
রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার ইফতেখায়ের আলম প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, ‘শিবির-কর্মীরা রাস্তায় পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে অবরোধ করছিলেন। পুলিশ প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে শিবিরের কর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে দুজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
এর আগে ২০১২ সালের ৬ নভেম্বর নগরের সাহেববাজার এলাকায় বন্দুক কেড়ে নিয়ে শিবির-কর্মীরা পুলিশকে পিটিয়ে বন্দুক ভেঙে ফেলেন। এরপর ২০১৩ সালের ১ এপ্রিল নগরের শালবাগান এলাকায় অস্ত্র কেড়ে নিয়ে পুলিশের এসআই জাহাঙ্গীর হোসেনকে পিটিয়ে জখম করেন শিবির-কর্মীরা। >>প্রথম আলো

No comments

Powered by Blogger.