প্রথম আলোর ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন মঞ্জুর

আদালত অবমাননার মামলায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং পত্রিকাটির যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানের ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন মঞ্জুর করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আপিল বিভাগের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আদালত জেনে বুঝে ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে লেখার জন্যও সংবাদ মাধ্যমকে পরামর্শ দেয়। গতকাল সকালে প্রথম আলো সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদক আদালতে হাজির হন। তাদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ড. কামাল হোসেন। প্রথম আলোর পক্ষে দাখিল করা ব্যাখ্যার ব্যাপারে আদালত বলেন, বিবাদীরা হয় ক্ষমা প্রার্থনা করবেন, না হয় কনটেস্ট করবেন। ক্ষমা প্রার্থনা করলে কোন ব্যাখ্যার সুযোগ নেই। এসময় আদালত ড. কামাল হোসেনকে বিবাদীদের সঙ্গে পরামর্শ করতে বলেন। প্রথম আলো সম্পাদকের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি ক্ষমা চাওয়ার কথা জানান। তখন আদালত বলেন, তাহলে আগের জবাব প্রত্যাহার করতে হবে। লিখিত আবেদন দিতে হবে। প্রথম আলোর অপর আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম বলেন, বিচারপতিরাও আইনের ঊর্ধ্বে নন। সুপ্রিম কোর্ট রুলস অনুযায়ী যে কোন পর্যায়ে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ আছে। এ পর্যায়ে আদালত লিখিতভাবে জানানোর কথা বলে বিরতিতে যায়। বিরতির পর ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন দাখিল করা হয়। তবে তখনও ড. কামাল হোসেন সুপ্রিম কোর্টের রুলসের কথা উল্লেখ করে বলেন, আদালত অবমাননার শাস্তি কার্যকরের পূর্বে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ রয়েছে। গত ১৫ই ডিসেম্বর মতিউর রহমান ও মিজানুর রহমান খানের প্রতি আদালত অবমাননার রুল জারি করে আপিল বিভাগ। ওই দিন প্রথম আলোতে প্রকাশিত মিজানুর রহমান খানের লেখা ‘প্রধান বিচারপতি বেছে নেওয়া’ শীর্ষক লেখাটি আদালত অবমাননাকর দাবি করে আইনজীবী সিরাজুম মনীরের আবেদনে আপিল বিভাগ ওই রুল জারি করে।

No comments

Powered by Blogger.