কোকোর শেষ যাত্রা- একনজর দেখতে

আরাফাত রহমান কোকোকে শেষবারের মতো একনজর দেখতে সকাল থেকে গুলশান কার্যালয়ের সামনে ৮৬ নম্বর সড়কে ভিড় জমান দলীয় নেতাকর্মী ও অগণিত মানুষ। এতে কার্যালয়ের সামনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। ৮৬ নম্বর সড়কের দুইপাশে পুলিশের তল্লাশি চৌকি বসিয়ে যান চলাচল সীমিত করা হয়। মোতায়েন করা হয় র‌্যাব, ডিবি ও সাদা পোশাকের পুলিশ। সকাল ১০টা থেকে কয়েক শতাধিক মহিলা নেতাকর্মী কার্যালয়ের সামনের সড়কে বসে তসবিহ হাতে দোয়া-দরুদ পড়েন। কার্যালয় ও সামনের সড়কে কোকোর অকাল মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বিশাল বিশাল ব্যানার টানানো হয়। বেলা ১২টার দিকে কয়েক সহস্রাধিক নেতাকর্মী জড়ো হয়ে যান। এসময় কয়েকজন মহিলা নেত্রী কার্যালয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে বাধা দেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। একপর্যায়ে নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন তারা। তবে নিরাপত্তা বাধা ঠেলে সাবেক এমপি আশিফা আশরাফী পাপিয়া, রেহেনা আক্তার রানু, নিলুফার চৌধুরী মনি, শাম্মি আক্তার, হেলেন জেরিন খান, মহিলা দলের ঢাকা মহানগর সভাপতি সুলতানা রহমান ঢুকে পড়েন। এসময় নিখোঁজ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনাকে ঢুকতে না দেয়ায় ফটকের বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। বেলা দেড়টার দিকে আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে লাশ দেখার জন্য নেতাকর্মীদের হুড়োহুড়ি লেগে যায়। এসময় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে শিমুল বিশ্বাস মাইকে শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানান এবং বায়তুল মোকাররমের জানাজায় শরিক হতে অনুরোধ জানান। বনানীর সামরিক কবরস্থানে কোকোর লাশ দাফনের অনুমতি না দেয়ায় সরকারের সমালোচনা করে শিমুল বিশ্বাস বলেন, আরাফাত রহমান কোকো সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান এবং তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান।

No comments

Powered by Blogger.