সিপিডি’র উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন বাণিজ্যমন্ত্রীর

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণায় বিশেষ উদ্দেশ্য আছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, তাদের গবেষণায় উদ্দেশ্য আছে এজন্য যে, বিশ্বের সবাই যখন বলছে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল, তখন এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি নেগেটিভ কথা বলছে। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, সিপিডি কি বিশ্বব্যাংকের গবেষণার চেয়েও চেতা? গতকাল সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। গত ২৭শে নভেম্বর প্রকাশিত সিপিডির এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের বের হয়ে আসা সম্ভব নয়। এজন্য এখন থেকে আগামী এক দশকেরও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে।
বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব বিদেশে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি তুলে ধরা। আমরা যখন তা তুলে ধরছি, তখন কতকগুলো সংগঠন নেগেটিভ তথ্য তুলে ধরছে। সিপিডির বক্তব্যে অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘উদ্দেশ্য তো আছেই। তবে কি উদ্দেশ্য জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, তা আমি বলবো না। তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে যখন বিদেশী পত্র-পত্রিকা লিখছে তা সিপিডির চোখে পড়ে না। এরপর বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সিপিডির বক্তব্য দুঃজনক।
এদিকে গতকাল বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়ানের রাষ্ট্রদূত পিয়ারি মেয়াওডন-এর সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেন, ইরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশ থেকে তৈরী পোশাকের পাশাপাশি ঔষধ, জাহাজ এবং আইসিটি আমদানি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশী পণ্য আমদানি ও সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশস্থ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ভুক্ত দেশসমূহের রাষ্ট্রদূত এবং সংশ্লিষ্ট চেম্বার অব কমার্সসমূহের ব্যবসায়িক নেতাদের সমন্বয়ে ‘ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বিজনেস কাউন্সিল’ গঠন করবে। এতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে  বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে এবং বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করা সহজ হবে। মন্ত্রী বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশের বিশ্বস্ত  বন্ধু। বাংলাদেশের বর্তমান মোট রপ্তানি ৩০.১৯ বিলিয়ন ডলার। এর অর্ধেকের বেশি রপ্তানি হয় ইরোপিয়ান ইউনিয়নে। ভবিষ্যতে সেখানে রপ্তানি আরও বাড়বে। এজন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও)-এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশকে ডিউটি ফ্রি ও কোটা ফ্রি সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে  ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং বাণিজ্য ক্ষেত্রে যে কোন বিষয়ে সহযোগিতা  প্রদান এবং অর্থনৈতিক কর্মকা- বৃদ্ধিতে আগ্রহী। তোফায়েল আহমেদ বলেন, রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি ও নতুন নতুন বাজার সৃষ্টির উদ্যোগকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন স্বাগত জানিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.