ব্রিটেনে বাংলাদেশীদের জন্য বিজনেস ভিসা সহজ হচ্ছে

বাংলাদেশ থেকে ব্রিটেনে ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে আসতে ভিসা পদ্ধতি আরও সহজ করা হবে। ঢাকা থেকে দিল্লিতে শুধু ব্রিটিশ ভিসা অফিস স্থানান্তর করা হয়েছে অর্থ সাশ্রয়ের জন্য। তবে আগের মতোই তা দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছে। সোমবার লন্ডনে কারি অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেরিসা মে এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ব্রিটেনে আমরা আরও দক্ষ প্রফেশনাল ইমিগ্রেন্ট চাই। বর্তমানে যে হারে আনস্কিলড (অদক্ষ) লোক প্রবেশ করছে এ ধারা অচিরেই বন্ধ করে দেশে কাজে লাগে এমন ইমিগ্রেন্টদের প্রবেশাধিকার সহজ করা হবে।
সেন্ট্রাল লন্ডনের বাটারসি ইভেলুয়েশনে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেরিসা মে রেস্টুরেন্টগুলোর কর্মচারী সংকট নিরসনে বাংলাদেশ থেকে লোক আনার বিষয়ে কোনো অনুমতি প্রদানের আশ্বাস দেননি। অনেকটা দৃঢ়ভাবেই উপস্থিত সবাইকে হতাশ করে ইমিগ্রেন্ট কমানোর বিষয়টি আবারও তুলে ধরেন তিনি।
বাংলাদেশী এনাম আলী এই ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডের প্রবক্তা, ২০০৫ সালে এটি শুরু হয়। প্রতিবছর ব্রিটেনের কারি রেস্টুরেন্টগুলোর মধ্য থেকে সেরা ১০টিকে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে এনাম আলী ব্রিটেনের কারি রেস্টুরেন্টের নানা সমস্যার কথা উল্লেখ করে বলেন, ব্রিটিশ অর্থনীতিতে এই কারি শিল্প ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন পাউন্ডের ব্যবসা করছে। তবে রেস্টুরেন্টগুলো ২০ হাজার দক্ষ কর্মচারী সংকটে ভুগছে। ইমিগ্রেশন নিয়ন্ত্রণের নামে এমন অবস্থার সৃষ্টি করা হয়েছে রেস্টুরেন্টগুলো কর্মচারী সংকটে বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এ অবস্থার নিরসন না হলে বাংলাদেশী রেস্টুরেন্টগুলোর বিশাল বাজার বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, লর্ড, হাউস অব কমন্সের সদস্য এবং বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে ব্রিটেনে ১২ হাজার বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এতে কর্মরত আছেন কয়েক লাখ লোক, এদের প্রায় সবাই বাংলাদেশী।
কর্মচারী সংকট বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেরিসা মে বলেন, কারি রান্না বিষয়ে বিভিন্ন কলেজে কোর্স চালু করা হয়েছে। তারা কয়েকটি কারি কলেজ প্রতিষ্ঠার কথাও জানান।

No comments

Powered by Blogger.