কে ঠেকাবে গুগলকে?

গুগলের চেয়ারম্যান এরিক স্মিড
অনুসন্ধান বা সার্চের ক্ষেত্রে এখন অপ্রতিদ্বন্দ্বী গুগল। কিন্তু গুগল কর্তৃপক্ষের মনেও ভয় কাজ করছে। হয়তো কোথাও কেউ না কেউ তৈরি করছে গুগলকে টেক্কা দেওয়ার মতো কোনো প্রযুক্তি। অনুসন্ধান বা সার্চের ক্ষেত্রে গুগলের প্রতিদ্বন্দ্বী তো ইয়াহু কিংবা বিং হওয়ারই কথা! কিন্তু গুগল কর্তাব্যক্তিরা তা মনে করেন না। তাঁরা মনে করেন, সার্চের ক্ষেত্রে তাঁদের আসল প্রতিদ্বন্দ্বী ই-কমার্স ক্ষেত্রের প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান আমাজন। গুগলের চেয়ারম্যান এরিক স্মিড ১৩ অক্টোবর বার্লিনে এই মন্তব্য করেছেন। এক খবরে এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে। এরিক স্মিড বলেন, সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে বাজারে গুগল একচ্ছত্র আধিপত্য উপভোগ করলেও আমাজনকে নিয়েই তাঁদের যত দুশ্চিন্তা। অনেকে ইয়াহু ও বিংকে গুগলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করলেও আসলে আমাজনই মূল প্রতিদ্বন্দ্বী।’
স্মিড বলেন, ‘অনেকেই আমাজনকে সার্চ বা অনুসন্ধান সেবাদাতা হিসেবে মনে করেন না কিন্তু আপনি যখন কোনো কিছু কেনার জন্য যান তখন আমাজনে সার্চ করেন। গুগল যেভাবে আপনার কাঙ্ক্ষিত বিভিন্ন তথ্য হাজির করে, আমাজনও তা-ই করে।’
গুগল চেয়ারম্যান গুগলের প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘গুগলের বর্তমান অবস্থান নতুন উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বরাবরই হুমকির মুখে রয়েছে। কোথাও কেউ না কেউ কোনো গ্যারেজে বসে হয়তো গুগলকে হটানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। কারণ, আমরা জানি এই তো কিছুদিন আগেই আমরাও এ রকমই একটি গ্যারেজে ছিলাম।’
স্মিড আরও বলেন, ‘এমন জায়গা থেকে পরিবর্তন আসবে, যা আপনি প্রত্যাশাও করতে পারবেন না। পরবর্তী গুগল হিসেবে যার আবির্ভাব হবে তা হয়তো গুগলের চেয়ে আলাদা কিছু নিয়েই হাজির হবে, যেমন এক সময় এওএল যা করত, গুগল তার চেয়ে ভিন্ন উদ্ভাবনী প্রযুক্তি নিয়ে এখন হাজির হয়েছে।’
স্মিডের মতে, যারা গুগলের দিকে একচ্ছত্র আধিপত্যের অভিযোগ তোলে, ‘তারা এ ক্ষেত্রটি ঠিকমতো বুঝতে পারেনি বলেই এই অভিযোগ তোলে। বাস্তবতা হচ্ছে, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো নজরদারি বা ধরাবাঁধা কাজকর্মের পদ্ধতির চেয়ে গুগল সম্পূর্ণ আলাদা পন্থায় কাজ করে। আমরা কোনো ফেরি বা রেললাইন কিংবা টেলিকম নেটওয়ার্ক বা বৈদ্যুতিক গ্রিড নই যে আপনার বাড়িতে একটি লাইন হিসেবে গিয়ে অন্য কোনো লাইন ঢুকতে দেব না। এখন কেউ আর শুধু গুগল ব্যবহার করেই সীমাবদ্ধ থাকে না।’
প্রসঙ্গত, গুগলকে বর্তমানে ইউরোপীয় নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে সার্চ ইঞ্জিন নিয়ে মামলা লড়তে হচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.