মিসরে গণভোটবিরোধীদের ব্যাপক ধরপাকড়

নতুন সংবিধান প্রশ্নে আজ সোমবার মিসরে গণভোট শুরু হয়েছে। দু'দিনব্যাপী এ গণভোট চলবে কাল পর্যন্ত। এ নির্বাচন নতুন সংবিধান পাসসহ সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের ও সামরিক বাহিনী সমর্থিত সরকারের বৈধতার পরীক্ষা বলেও মনে করছে দেশটির সেনাসমর্থিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দু'দিন আগেই জনগণ চাইলে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন সিসি। খবর এপি ও আলজাজিরা অনলাইনের। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতনের পর এ নিয়ে দেশটিতে সংবিধান প্রশ্নে দ্বিতীয় দফা গণভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মিসরের পাঁচ কোটি ২০ লাখ মানুষ ভোট দেবে। এ সংবিধানের পক্ষে কত শতাংশ জনসমর্থন রয়েছে তার ওপর বর্তমান সেনানিয়ন্ত্রিত সরকারের বৈধতার বিষয়টি জড়িত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইসলামপন্থি প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর মিসরে নির্বাচিত সরকার গঠনের ক্ষেত্রে এই গণভোটই হবে প্রথম বড় পদক্ষেপ। গণভোটে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ভোট পেয়ে পাস হলেই এটি আইনে পরিণত হবে। দেশটির সামরিক সূত্র জানিয়েছে, কত শতাংশ জনগণ হ্যাঁ ভোট দিচ্ছে, তার ওপর নির্ভর করছে সিসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেবেন কি-না। এদিকে দেশটিতে সংবিধানবিরোধীদের ওপর ব্যাপক ধরপাকড় চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি দেশব্যাপী প্রায় এক ডজন লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে, যারা সংবিধানবিরোধী প্রচার চালাচ্ছেন এবং জনগণকে 'না' ভোট দিতে কিংবা ভোট না দিতে উৎসাহিত করছেন। এ গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, 'না' ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানো ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক। 'না' ভোট দেওয়ার জন্য কেউ আহ্বান জানাতেই পারেন। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ারই অংশ।

No comments

Powered by Blogger.