সংলাপেই সমাধান

নতুন মন্ত্রীদের অভিন্ন কণ্ঠ
প্রথম কার্যদিবসেই সোমবার নতুন মন্ত্রিসভার প্রবীণ ও নবীন সদস্যরা বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমেই সব সংকট-সমস্যার সমাধান সম্ভব। তারা বলেছেন, বিরোধী দলের জন্য আলোচনার দরজা খোলা। তবে তাদের হরতাল-অবরোধ, সহিংসতা ও জামায়াতের সঙ্গ ছাড়তে হবে। অন্যথায় আলোচনার পরিবেশ সৃষ্টি হবে না। দু-একজন মন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, নির্বাচিত সরকার পাঁচ বছরই ক্ষমতায় থাকবে। বিরোধী দলের বর্জন, প্রতিরোধ ও সহিংসতার মধ্যে অনুষ্ঠিত ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা শপথ নিয়েছে গত রোববার। ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া, ভোটারের কম উপস্থিতিসহ নানা কারণেই 'একতরফা' নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনে করে সাধারণ মানুষ। দেশের বিশিষ্ট নাগরিক এবং বিদেশি কূটনীতিক ও উন্নয়ন সহযোগীদেরও একই মত। এ অবস্থায় সব দলের অংশগ্রহণে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বিরোধী দলের সঙ্গে দ্রুত সংলাপ ও সমঝোতায় আসতে সরকারের ওপর চাপ রয়েছে। অবশ্য প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোনো চাপের কাছে তিনি নতিস্বীকার করবেন না।
সোমবার নবনিযুক্ত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের অনেকেই সচিবালয়ে নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বভার নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির সঙ্গে সংলাপ-সমঝোতা প্রশ্নে 'ইতিবাচক' মনোভাব তুলে ধরেন। একই দিন ধানমণ্ডি বঙ্গবন্ধু ভবন
প্রাঙ্গণে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে একই বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তারা। সমকালের সঙ্গে আলাপকালেও আগামী দিনে দেশ পরিচালনা এবং জাতির কল্যাণে সরকার ও নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেছেন অনেকে।
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস-সহিংসতা মোকাবেলা করে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনাকেও সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন নতুন সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। সুশাসন প্রতিষ্ঠাকে সরকারের বড় কাজ বলেও মনে করছেন কেউ কেউ। তবে নির্বাচন ও নতুন সরকার গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে তারা বলছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা মানতে গিয়েই ওই নির্বাচন ও সরকার গঠন করতে হয়েছে।
আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে :তোফায়েল
সংকট নিরসনে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আলোচনা অবশ্যই হবে। আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান করতে হবে। বিএনপির সঙ্গে সে আলোচনার সুযোগও রয়েছে। তবে তার আগে সহিংসতা ও নৈরাজ্য বন্ধ করতে হবে তাদের। হরতাল-অবরোধের মতো ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি প্রত্যাহার করা বিরোধী দলের বোধোদয়ের পরিচয় বহন করে_ এমন মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি ভুল রাজনীতি করেছে। তবে তাদের শুভবুদ্ধির উদয়ও হয়েছে। তাই তারা অবরোধ কর্মসূচি থেকে সরে গেছে।
মধ্যবর্তী কিংবা আগাম নির্বাচন প্রশ্নে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল বলেন, এ সরকার পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত। ভালো কাজ করে তারা পাঁচ বছর মেয়াদই পূর্ণ করবে। তবে আলোচনার দরজাও খোলা আছে। সমঝোতা হলে সেটা পরে বিবেচনা করা হবে।
সংলাপ বেগবান হচ্ছে :সৈয়দ আশরাফ
এলজিআরডিমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার পাশাপাশি বিএনপির সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাবে সরকার। সংলাপ এখনও বন্ধ হয়নি, আরও বেগবান হচ্ছে। বিএনপি সংলাপে আসবে এবং এর মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক সমঝোতা সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সংলাপ-সমঝোতা প্রশ্নে নির্বাচনের আগের উদ্যোগগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, সমঝোতাকারীদের ইচ্ছাই সবকিছু নয়, বাইরের শক্তিও রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ-বিএনপি একত্র হলে আলোচনা সফল হবে।
বিএনপির নির্বাচন বর্জনের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন বর্জনের এই 'কালচার' ত্যাগ করতে হবে। এটি স্থায়ী হয়ে গেলে ভবিষ্যতে সব দল এক হয়েও আর নির্বাচন করা যাবে না। তিনি বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের জন্যই সরকার পাঁচ বছর কাজ করবে। সরকারের মেয়াদও থাকবে পাঁচ বছর। এর চেয়ে একদিনও বেশি ক্ষমতায় থাকার সুযোগ নেই।
আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পেঁৗছানো যাবে :নাসিম
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বিএনপিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দেরিতে হলেও বিএনপি বুঝতে পেরেছে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য সৃষ্টি করে ভালো কিছু অর্জন করা যায় না। এ কারণেই তারা হরতাল-অবরোধ থেকে সরে এসেছে। তিনি বলেন, এভাবে চলতে থাকলে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পেঁৗছানো যাবে। তবে বিএনপি যত তাড়াতাড়ি জামায়াত-শিবিরের সঙ্গ ত্যাগ করবে, আলোচনার পরিবেশও তত তাড়াতাড়ি সৃষ্টি হবে।
বিএনপি চাইলে আলোচনা হতে পারে :মেনন
প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচন প্রশ্নে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, এটি নির্ভর করছে বিরোধী দলের ভূমিকার ওপর। বিএনপি চাইলে আলোচনা হতে পারে, তবে তার আগে বিএনপিকে অবশ্যই জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে। জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে তারা সন্ত্রাস-সহিংসতা অব্যাহত রাখলে তো আলোচনার পরিবেশই ক্ষুণ্ন হবে।
নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনকে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার লড়াইয়ের 'জয়' হিসেবেও দেখছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি। তিনি বলেন, এখন গত সরকারের উন্নয়নমূলক কাজগুলোর ধারাবাহিকতা এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ভোটযুদ্ধে জয়ী হয়েছি, সামনে বড় যুদ্ধ।
বিএনপি আন্তরিক হলেই সংলাপ সফল হবে :ইনু
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু মনে করেন, বিএনপির সঙ্গে আলোচনার দ্বার খোলা থাকলেও এ ক্ষেত্রে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস ছেড়ে বিএনপিকেই সংকট নিরসনে আন্তরিকতার প্রমাণ দিতে হবে। সবার আগে জঙ্গিবাদমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও তার দলকে দলগত সিদ্ধান্ত পরিষ্কার করতে হবে। তা হলেই সংলাপ সফল হবে।
জাসদ সভাপতি বলেন, খালেদা জিয়া কি জঙ্গিবাদের সহযোগী হিসেবে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস অব্যাহত রেখে 'গণতন্ত্র ক্লাবের' সদস্যপদ হারাবেন? নাকি জঙ্গিবাদ ক্লাবের সদস্যপদ থেকে বেরিয়ে এসে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস ছাড়বেন? এসবের ওপরই আসলে নির্ভর করছে গণতন্ত্র কার্যকর রাখার বেলায় সংলাপ প্রশ্নে তার ইচ্ছা-অনিচ্ছার বিষয়টি।
সন্ত্রাস বন্ধ করলে সংলাপের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা যায় :ব্যারিস্টার আনিস
পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, তারা অনেক আগে থেকেই সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতা ও সংকট নিরসনের কথা বলে আসছেন। বিএনপি সন্ত্রাস-সহিংসতার রাজনীতি বন্ধ করলেই সংলাপের একটি ক্ষেত্র তৈরি করা যেতে পারে। আর তখনই বিএনপির সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা ও একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের মাধ্যমে নতুন নির্বাচনের দিকে যাওয়া যেতে পারে।
জাতীয় পার্টির এই প্রেসিডিয়াম সদস্য জানান, সরকারে থেকেই জাতীয় পার্টি সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করবে। বিশ্বের অনেক দেশেই এই ব্যবস্থা আছে। এটি নতুন কিছু নয়। যারা এর সমালোচনা করছেন তারা না জেনেই করছেন। দেশ ও জাতির কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেন তিনি।
প্রথম কার্যদিবসে মন্ত্রীদের আরও অভিমত
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৮ দলের কর্মসূচির নামে নৈরাজ্যের সমালোচনা করে বলেন, রাজনৈতিক নৈরাজ্যের কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ঠিকমতো পরিচালিত হতে পারেনি। এর বিরূপ প্রভাবে মানুষের আয়-রোজগার কমে গেছে। তবে তার বিশ্বাস চলতি মাসের মধ্যেই রাজনৈতিক নৈরাজ্য শেষ হয়ে যাবে।
এবার তার মন্ত্রী হওয়ার ব্যক্তিগত ইচ্ছা ছিল না জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধেই তিনি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
নতুন সরকারের শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, এ সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য মোকাবেলা করা। এটা করতে গিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নবনির্বাচিত সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে_ এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের এ সদস্য বলেন, সংবিধান অনুযায়ী পূর্ণ মেয়াদই দায়িত্ব পালন করবে সরকার।
সংলাপ প্রশ্নে সরকারের সর্বশেষ মনোভাব জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। সমকালকে তিনি বলেছেন, মোট কথা প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, তার সঙ্গেই আছি। এর বাইরে আর কোনো বক্তব্য নেই।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, যারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পথে পাকিস্তানিদের লেজুড়বৃত্তি করে, যারা দেশের বিষয়ে বিদেশিদের কাছে নালিশ করে তাদের সঙ্গে কিসের সমঝোতা? গণতন্ত্রের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক যারা, তাদের সঙ্গেই কেবল সমঝোতা হয়। যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে, জঙ্গি কার্যক্রম করে তারা কি জনগণের ভাষা বোঝে? আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, ইতিমধ্যে বিএনপি যেসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে আমরা শক্ত হাতে দমন করেছি। এর পরও কেউ নৈরাজ্যের চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যোগাযোগমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য ওবায়দুল কাদের সমকালকে বলেছেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠাকেই সরকার অগ্রাধিকার দেবে। আর এর মধ্যেই চলে আসবে জঙ্গিবাদ নির্মূলের কাজ।
পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, এর চেয়েও কঠিন সময় পার করে এসেছেন তিনি। সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের শাসনামলে আরও কঠিন সময়েও দায়িত্বে ছিলেন। তাই বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায় থেকে সামনের দিনে তিনি কোনো চ্যালেঞ্জই দেখছেন না। জাতীয় পার্টি (জেপি) চেয়ারম্যান বলেন, সরকার ভালোভাবে পরিচালিত হবে। রাজনৈতিক পরিবেশ নিয়েও চিন্তিত নন তিনি।
শিক্ষাক্ষেত্রে গত পাঁচ বছরের অর্জন ধরে রেখে তাকে আরও সামনে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, পুরো 'শিক্ষা পরিবার' একটি দল হিসেবে কাজ করায় গত পাঁচ বছরে শিক্ষা খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এই অগ্রগতির কারণে জনপ্রত্যাশা বেড়েছে। সে প্রত্যাশা পূরণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বলেন, মন্ত্রণালয়ের কাজগুলো স্বচ্ছতার সঙ্গে করতে চাই। এ ক্ষেত্রে কোনো কার্পণ্য ও অবহেলা করব না।
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে যারা, তাদের ওপর হামলা হচ্ছে। এ রকম একটি সংকটময় সময়ে তিনি মনে করেন, এ ধরনের অন্ধকারের শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সংস্কৃতি একটি বড় হাতিয়ার। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে থেকে এ জায়গায় কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, বর্তমান সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। এটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। যেভাবেই হোক আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করবে। যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হয়ে অনেকাংশে শেষও হয়েছে। বিচারে ইতিমধ্যে সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তবুও বিচারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসেনি সেটা তাদের ভুল বা ব্যর্থতা। জনগণ এ দলটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। কেননা তারা জনগণের পাশে থাকেনি এবং জনগণও তাদের পাশে থাকবে না।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, গত পাঁচ বছরে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার বিশাল পরিবর্তন এসেছে। এ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারলে খুশি হবেন তিনি।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, মন্ত্রী হিসেবে তাদের টার্গেট বিদ্যুৎ উৎপাদনকে আরও গতিশীল করা। এ লক্ষ্যে সরকারের টার্গেট হচ্ছে পাঁচ বছরে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা। উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন তিনি।

No comments

Powered by Blogger.