চীনে দুর্যোগ থেকে বাঁচাতে পাঁচ লাখ মানুষ স্থানান্তরিত

চীনের পূর্বাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় সুলিকের প্রভাবে ভারী বর্ষণজনিত দুর্যোগের কবল থেকে রক্ষার জন্য গতকাল রোববার পর্যন্ত পাঁচ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই দুর্যোগে তাইওয়ানে দুজন প্রাণ হারিয়েছে। চীনের ফুজিয়ান প্রদেশের উপকূলে সুলিকের প্রভাবে বাতাসের বেগ ঘণ্টায় ১১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছায়। ফুজিয়ান ও ঝেজিয়াং প্রদেশে বহু মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার সেনা ওই এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পূর্বাঞ্চলজুড়ে প্রায় ৩১ হাজার জাহাজ বন্দরে ফিরিয়ে আনা হয় এবং উড়োজাহাজের ২০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়।সুলিকের প্রভাবে চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নিংদে নগরে সমুদ্রতীরের বাঁধে ৩৩ ফুট পর্যন্ত উঁচু ঢেউ আঘাত হানছে।
সরকারি সূত্র জানায়, এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেশটির কৃষি খাতে সম্ভাব্য ক্ষতির পরিমাণ ৮৫ লাখ মার্কিন ডলার। দুর্যোগকবলিত এলাকায় জরুরি উদ্ধার তৎপরতা চলছে। প্রবল বর্ষণে অন্তত ২০০ মানুষের মৃত্যু অথবা নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঝোড়ো হাওয়া ও বর্ষণের কারণে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া বর্ষণজনিত বন্যায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। কয়েকটি স্থানে গাছপালা উপড়ে গিয়ে সড়ক যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়। এই ঘূর্ণিঝড় প্রথমে তাইওয়ানে আঘাত হানে। এতে ভারী বর্ষণের ফলে সেখানে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধস হয়। দুর্যোগ মোকাবিলায় সেখানে প্রায় ৫০ হাজার সেনাসদস্যকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে গ্রীষ্মকালে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত বিরল নয়। উষ্ণ জলীয় বাষ্প ও নিম্নচাপের প্রভাবে প্রায় প্রতিবছরই এ অঞ্চলে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় হয়। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.