শাঁখারিবাজার ও বাবুবাজারে ২ গাড়িতে অগ্নিসংযোগ

১৮দলীয় জোটের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে পুরান ঢাকায় বিভিন্ন পয়েন্টে হরতাল সমর্থকরা সকাল থেকেই সক্রিয় ছিল। পিকেটাররা শাঁখারিবাজার ও বাবুবাজারে ২টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে।
পুলিশ এসব এলাকায় অন্তত ১৫ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। কমপক্ষে ৬ জন আটক করেছে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শাঁখারিবাজারে হরতাল সমর্থকদের একটি ঝটিকা মিছিল থেকে একটি প্রাইভেট কারে আগুন দেয় পিকেটাররা। এ সময় তাদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২ জনকে আটক করেছে বলে জানান কোতোয়ালি থানার ডিউটি অফিসার মনজুর মোরশেদ। এর আগে বংশাল এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক দল মিছিল বের করলে পুলিশ মিছিলকারীদের ছত্রবঙ্গ করে দেয়। সাড়ে ১০টার দিকে ধোলাইখালে যুবদল হরতাল সমর্থনে মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ ৪ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। দুপুর ১টার দিকে হরতালের পক্ষে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা জজকোর্ট এলাকায় মিছিল বের করে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বারের আইনজীবী ও বিএনপি নেতা এডভোকেট সানা উল্লা মিয়া ও মাসুদ আহমেদ তালুকদারের নেতৃত্বে জজকোর্ট থেকে একটি মিছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে গেলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এ সময় ৭৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শাহাবউদ্দিন সাবুর নেতৃত্বাধীন হরতালবিরোধী মিছিল থেকে আইনজীবীদের মিছিলের ওপর হামলা চালায়। পরে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলার কারণে আইনজীবীরা জজকোর্ট ভবনে আশ্রয় নেন। আইনজীবীদের অভিযোগ, পুলিশ ও যুবলীগ একসঙ্গে তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালিয়ে লাঠিচার্জ করেছে। এতে কয়েকজন আইনজীবী আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ ১০/১২ রাউন্ড টিয়ার শেল ও গুলি নিক্ষেপ করে বলেও জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এর আগে ১১টা ৫৫ মিনিটে ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি এফ এম শরিফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক এমএম সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে হরতালবিরোধী মিছিলটি ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে বাহাদুর শাহ পার্ক ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে সমাবেশ করে। এদিকে দুপুর সাড়ে ১২টায় বাবুবাজারের দুম্বা মসজিদ এলাকায় হরতাল সমর্থনে ঝটিকা মিছিল হয়। এখানে পিকেটাররা একটি মাইক্রোবাসে আগুন দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় কয়েকটি হাত বোমা ফাটানো হয় এবং কভার্ড ভ্যান ভাঙচুর করে তারা। পরে পুলিশ এলে মিছিলকারীরা পালিয়ে যায়। ঘটনা  স্থল থেকে পুলিশ ৩/৪ জনকে আটক করেছে বলে জানান কোতোয়ালি থানার ডিউটি অফিসার মনজুর মোরশেদ। এদিকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ১১টার দিকে গিয়ে দেখা যায় ফাঁকা। দূরপাল্লার ৩৭টি লঞ্চ এলেও যাত্রীর অভাবে মাত্র ১০টি লঞ্চ ঘাট ছেড়েছে। আসার কথা ৫৬টি। বিআইডব্লিউটিএ’র পরিদর্শক মো. সোলেমান জানান, যাত্রী কম। কুয়াশার জন্য লঞ্চ দেরিতে আসে। সকাল থেকেই এই এলাকায় দোকানপাট বন্ধ ছিল। যানচলাচল ছিল খুবই কম।

No comments

Powered by Blogger.