পুলিশের আচরণ-মানবিক ও সহনশীল হতে হবে
পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে একটা নেতিবাচক ধারণা আছে। যে কারণে পুলিশের পক্ষে যতই বলা হোক না কেন, বাহিনীটি মানুষের বন্ধু- সাধারণ মানুষ পুলিশকে বন্ধু ভাবতে পারে না।
যেখানে বিদেশে পুলিশকে নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে ধরা হয়, সেখানে আমাদের দেশে পুলিশকে এড়িয়ে চলার প্রবণতাই প্রবল। কিন্তু দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত এই প্রাচীন বাহিনীটি এখনো সক্রিয়।
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। তরল পদার্থ যখন যে পাত্রে রাখা হয়, তখন সেই পাত্রের আকার ধারণ করে- এটাই তরলের ধর্ম। ঠিক একই ধরনের কথা চালু আছে পুলিশ সম্পর্কেও। যখন যে দলের সরকার ক্ষমতায় থাকে, তখন সেই দলের বাহিনী হিসেবে নাকি পুলিশ কাজ করে। দলীয় সরকার ও পুলিশের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ সব সময় অস্বীকার করা হয়ে থাকে। এ অভিযোগ কি একেবারেই ভিত্তিহীন? অতীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পণ্ড করতে পুলিশকে নানাভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। ছাত্রদের মিছিলের ওপর পুলিশের গাড়ি উঠে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। বিশেষ করে সরকারবিরোধী কর্মসূচিতে বাধা দিতে সব সরকারের পুলিশকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। আমাদের দেশে 'পুলিশি নির্যাতন' বলে একটা কথা চালু আছে। ভুক্তভোগীরা বিষয়টি জানেন। এমনকি সাংবাদিকদেরও পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হতে হয়।
রাজনৈতিক কর্মসূচি পণ্ড করার ব্যাপারে পুলিশের আগ্রহ সব সময় বেশি। কোনো উস্কানি ছাড়াই মিছিল-সভা ভেঙে দিতে পুলিশের আগ্রহও লক্ষণীয়। এসব কাজে এর আগে ব্যবহার করা হতো টিয়ার গ্যাস। অতি সম্প্রতি রাজনৈতিক কর্মসূচি বা মিছিল-জমায়েত ছত্রভঙ্গ করতে ব্যবহৃত হচ্ছে পিপার স্প্রে। পুলিশের পক্ষ থেকে সব সময় এসব ব্যবহারের যৌক্তিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়েছে। আত্মরক্ষা কিংবা রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই পুলিশকে গুলি চালাতে বা টিয়ার গ্যাস ছুড়তে হয়েছে- এর বাইরে কোনো ব্যাখ্যা পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যাবে না।
এটাও ঠিক যে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে সব রাজনৈতিক দল সব সময় দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয় না। অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা বিঘি্নত হয়। বিশেষ করে হরতালের মতো কর্মসূচিতে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে থাকে। এসব ক্ষেত্রে পুলিশকে মারমুখী হতেই হয়। নাশকতা যাতে না ঘটে, সেদিকে দৃষ্টি দিতেই হয়।
কিন্তু সাধারণভাবে পুলিশ কতটা মানবিক আচরণ করছে, সেটাই দেখার বিষয়। পুলিশের আচরণ মানবাধিকারের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিচ্ছে কি না, সেটাও ভেবে দেখার সময় এসেছে। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এখন পুলিশ আরো আধুনিক হয়েছে। পুলিশকে এখন উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আধুনিকতার পাশাপাশি আচরণেও যত্নবান হতে হবে। সাধারণ মানুষ যেন পুলিশের মধ্যে আস্থা খুঁজে পায়, পুলিশের আচরণ সে রকম হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। তরল পদার্থ যখন যে পাত্রে রাখা হয়, তখন সেই পাত্রের আকার ধারণ করে- এটাই তরলের ধর্ম। ঠিক একই ধরনের কথা চালু আছে পুলিশ সম্পর্কেও। যখন যে দলের সরকার ক্ষমতায় থাকে, তখন সেই দলের বাহিনী হিসেবে নাকি পুলিশ কাজ করে। দলীয় সরকার ও পুলিশের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ সব সময় অস্বীকার করা হয়ে থাকে। এ অভিযোগ কি একেবারেই ভিত্তিহীন? অতীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পণ্ড করতে পুলিশকে নানাভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। ছাত্রদের মিছিলের ওপর পুলিশের গাড়ি উঠে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। বিশেষ করে সরকারবিরোধী কর্মসূচিতে বাধা দিতে সব সরকারের পুলিশকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। আমাদের দেশে 'পুলিশি নির্যাতন' বলে একটা কথা চালু আছে। ভুক্তভোগীরা বিষয়টি জানেন। এমনকি সাংবাদিকদেরও পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হতে হয়।
রাজনৈতিক কর্মসূচি পণ্ড করার ব্যাপারে পুলিশের আগ্রহ সব সময় বেশি। কোনো উস্কানি ছাড়াই মিছিল-সভা ভেঙে দিতে পুলিশের আগ্রহও লক্ষণীয়। এসব কাজে এর আগে ব্যবহার করা হতো টিয়ার গ্যাস। অতি সম্প্রতি রাজনৈতিক কর্মসূচি বা মিছিল-জমায়েত ছত্রভঙ্গ করতে ব্যবহৃত হচ্ছে পিপার স্প্রে। পুলিশের পক্ষ থেকে সব সময় এসব ব্যবহারের যৌক্তিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়েছে। আত্মরক্ষা কিংবা রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই পুলিশকে গুলি চালাতে বা টিয়ার গ্যাস ছুড়তে হয়েছে- এর বাইরে কোনো ব্যাখ্যা পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যাবে না।
এটাও ঠিক যে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে সব রাজনৈতিক দল সব সময় দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয় না। অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা বিঘি্নত হয়। বিশেষ করে হরতালের মতো কর্মসূচিতে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে থাকে। এসব ক্ষেত্রে পুলিশকে মারমুখী হতেই হয়। নাশকতা যাতে না ঘটে, সেদিকে দৃষ্টি দিতেই হয়।
কিন্তু সাধারণভাবে পুলিশ কতটা মানবিক আচরণ করছে, সেটাই দেখার বিষয়। পুলিশের আচরণ মানবাধিকারের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিচ্ছে কি না, সেটাও ভেবে দেখার সময় এসেছে। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এখন পুলিশ আরো আধুনিক হয়েছে। পুলিশকে এখন উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আধুনিকতার পাশাপাশি আচরণেও যত্নবান হতে হবে। সাধারণ মানুষ যেন পুলিশের মধ্যে আস্থা খুঁজে পায়, পুলিশের আচরণ সে রকম হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।
No comments