নানা আয়োজনের ই-কমার্স সপ্তাহ
নির্দিষ্ট পরিসরে বসে আছেন একজন। আগ্রহী ব্যক্তিরা আসছেন আর ওই বিষয়ে জেনে নিচ্ছেন প্রয়োজনীয় তথ্যাদি। তবে সাধারণত মেলায় যা হয়, এখানে সেটি হচ্ছে না। আগ্রহী ব্যক্তিরা এখানে জেনে নিচ্ছেন অনলাইনে কেনাকাটার তথ্যাদি।
পণ্য কেনার পদ্ধতি, অর্থ পরিশোধ পদ্ধতিসহ ঘরে বসে প্রয়োজনীয় সবকিছু কেনার বিষয়গুলো বিস্তারিত জেনে নিচ্ছিলেন অনেকেই। আর আগ্রহীদের প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে যাচ্ছেন নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তি। এমনই দেখা গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তন ও বসুন্ধরা সিটিতে অনুষ্ঠিত বিশেষ ই-কমার্স প্রদর্শনীতে। এতে দেশের বিভিন্ন ই-কমার্স সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এসবই হয়েছিল প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত ‘ই-কমার্স সপ্তাহ ২০১৩’ (www.ecommerceweek.org) আয়োজনে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) যৌথ আয়োজনে সপ্তাহব্যাপী এ আয়োজনে ছিল ই-কমার্সবিষয়ক নানা আয়োজন। ছিল গোলটেবিল বৈঠক, সেমিনার ও কারিগরি সম্মেলন। এসবের পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ ই-কমার্স কনসার্টও।
প্রথমবারের মতো এ ধরনের আয়োজন বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক নাজনীন সুলতানা বলেন, ‘লেনদেন পদ্ধতিকে সহজ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ (এনপিএস) চালু করেছে। আর এর মাধ্যমে যাতে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হয়, সে জন্যই আমরা ই-কমার্স সপ্তাহ আয়োজনে যৌথ আয়োজক হয়েছি। কারণ, ই-কামর্সের জন্য জরুরি একটি বিষয় হচ্ছে লেনদেন পদ্ধতি।’ এনপিএস চালুর ফলে এক ব্যাংকের এটিএম কার্ড দিয়ে অন্য ব্যাংক থেকে টাকা তোলার পাশাপাশি এটিএম, পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস), মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম একই প্ল্যাটফর্মে চলে আসবে বলেও জানান তিনি।
‘অনলাইনে কেনাকাটা করুন, যা কিছু যেকোনো সময়ে’ স্লোগানে ৫ থেকে ১১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে গুগল বিজনেস গ্রুপ ইন কমার্স বিষয়ে যেমন আয়োজন ছিল, তেমনি ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে সফলতা ও চ্যালেঞ্জের ক্ষেত্রটি কেমন ছিল, সে বিষয়েও ছিল গোলটেবিল বৈঠক। এ ছাড়া বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তার ক্ষেত্রে অনলাইন ব্যবসা কেমন, সে বিষয়েও ছিল আলোচনা। এসব আয়োজনে তথ্যপ্রযুক্তি-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে জড়িত ব্যক্তিরা অংশ নেন।
এ আয়োজনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বেসিস সভাপতি এ কে এম ফাহিম মাশরুর জানান, এ আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল দুটি। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ই-কমার্স সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে ই-কমার্সের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করা এবং এ সংশ্লিষ্ট সবাইকে একই প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এ আয়োজন প্রতিবছর করা হবে বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক চালু করেছে ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ (এনপিএস), ই-কমার্সের লেনদেনের ক্ষেত্রে যা দারুণ সহায়ক। ই-কমার্স সপ্তাহে এনপিএস নিয়েও ছিল বিশেষ আয়োজন।
পুরো আয়োজন সম্পর্কে ই-কমার্স সপ্তাহ ২০১৩-এর আহ্বায়ক শামীম আহসান বলেন, ‘আমরা যে লক্ষ্যগুলো সামনে রেখে এ আয়োজন করেছি, তা সফল হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে যে সমস্যাগুলো উঠে এসেছে, সেগুলো সমাধানের ক্ষেত্রে আমরা বিশেষ টাস্কফোর্স করার ব্যাপারে কাজ করব। যাতে করে খুব শিগগির এ সমস্যাগুলো সমাধান হয়ে যায়।’ তিনি বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের পাশাপাশি বছরব্যাপী ই-কমার্সবিষয়ক নানা আয়োজন করা হবে। আর ঢাকার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলাতেও ই-কমার্স নিয়ে আয়োজন থাকবে।
এ আয়োজনে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান রকমারি ডট কমের প্রধান নির্বাহী মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রথমবারের মতো এ আয়োজনে ছিল বেশ কিছু গোলটেবিল বৈঠক, যেখানে বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন, যা বেশ কাজে লেগেছে। এ ছাড়া যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংক এ আয়োজনের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাই বিষয়টা বেশ ভালো হয়েছে।
এ ধরনের আয়োজন ই-কমার্স সম্পর্কে সাধারণ মানুষের জানানোর ক্ষেত্রে বেশ সহায়ক। ঢাকার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাই এ ধরনের আয়োজন হলে এ খাত বেশ এগিয়ে যাবে বলেও মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রথমবারের মতো এ ধরনের আয়োজন বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক নাজনীন সুলতানা বলেন, ‘লেনদেন পদ্ধতিকে সহজ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ (এনপিএস) চালু করেছে। আর এর মাধ্যমে যাতে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হয়, সে জন্যই আমরা ই-কমার্স সপ্তাহ আয়োজনে যৌথ আয়োজক হয়েছি। কারণ, ই-কামর্সের জন্য জরুরি একটি বিষয় হচ্ছে লেনদেন পদ্ধতি।’ এনপিএস চালুর ফলে এক ব্যাংকের এটিএম কার্ড দিয়ে অন্য ব্যাংক থেকে টাকা তোলার পাশাপাশি এটিএম, পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস), মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম একই প্ল্যাটফর্মে চলে আসবে বলেও জানান তিনি।
‘অনলাইনে কেনাকাটা করুন, যা কিছু যেকোনো সময়ে’ স্লোগানে ৫ থেকে ১১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে গুগল বিজনেস গ্রুপ ইন কমার্স বিষয়ে যেমন আয়োজন ছিল, তেমনি ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে সফলতা ও চ্যালেঞ্জের ক্ষেত্রটি কেমন ছিল, সে বিষয়েও ছিল গোলটেবিল বৈঠক। এ ছাড়া বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তার ক্ষেত্রে অনলাইন ব্যবসা কেমন, সে বিষয়েও ছিল আলোচনা। এসব আয়োজনে তথ্যপ্রযুক্তি-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে জড়িত ব্যক্তিরা অংশ নেন।
এ আয়োজনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বেসিস সভাপতি এ কে এম ফাহিম মাশরুর জানান, এ আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল দুটি। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ই-কমার্স সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে ই-কমার্সের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করা এবং এ সংশ্লিষ্ট সবাইকে একই প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এ আয়োজন প্রতিবছর করা হবে বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক চালু করেছে ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ (এনপিএস), ই-কমার্সের লেনদেনের ক্ষেত্রে যা দারুণ সহায়ক। ই-কমার্স সপ্তাহে এনপিএস নিয়েও ছিল বিশেষ আয়োজন।
পুরো আয়োজন সম্পর্কে ই-কমার্স সপ্তাহ ২০১৩-এর আহ্বায়ক শামীম আহসান বলেন, ‘আমরা যে লক্ষ্যগুলো সামনে রেখে এ আয়োজন করেছি, তা সফল হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে যে সমস্যাগুলো উঠে এসেছে, সেগুলো সমাধানের ক্ষেত্রে আমরা বিশেষ টাস্কফোর্স করার ব্যাপারে কাজ করব। যাতে করে খুব শিগগির এ সমস্যাগুলো সমাধান হয়ে যায়।’ তিনি বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের পাশাপাশি বছরব্যাপী ই-কমার্সবিষয়ক নানা আয়োজন করা হবে। আর ঢাকার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলাতেও ই-কমার্স নিয়ে আয়োজন থাকবে।
এ আয়োজনে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান রকমারি ডট কমের প্রধান নির্বাহী মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রথমবারের মতো এ আয়োজনে ছিল বেশ কিছু গোলটেবিল বৈঠক, যেখানে বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন, যা বেশ কাজে লেগেছে। এ ছাড়া যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংক এ আয়োজনের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাই বিষয়টা বেশ ভালো হয়েছে।
এ ধরনের আয়োজন ই-কমার্স সম্পর্কে সাধারণ মানুষের জানানোর ক্ষেত্রে বেশ সহায়ক। ঢাকার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাই এ ধরনের আয়োজন হলে এ খাত বেশ এগিয়ে যাবে বলেও মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
No comments