ক্রিকেটার হোক মেয়েরাও

‘খেলাধুলায় মেয়েদের অংশগ্রহণ এখন চোখে পড়ার মতো বাড়ছে। এবার তো অনেক অভিভাবককে দেখলাম, নিজেরাই উৎসাহী হয়ে মেয়েকে ক্রিকেটার বানাতে চান।’ বলছিলেন বিকেএসপির ক্রিকেট কোচ ডলি দে। হবে না-ই বা কেন, ছেলেদের পাশাপাশি ক্রিকেটে মেয়েদের সাফল্য যে আসতে শুরু করেছে। আমাদের ছেলেদের ক্রিকেটের ইতিহাসের


তুলনায় মেয়েদের ক্রিকেট খেলার সময়টা আঁতুড়ঘরই বলা চলে। এই তো কয়েক বছর আগে যাত্রা শুরু। এরই মধ্যে সেই প্রমিলা ক্রিকেটাররা আন্তর্জাতিক ‘ওয়ানডে’ মর্যাদা পেয়ে গেছে। আর একটু হলে তো বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতাই অর্জন করে ফেলত। বাংলাদেশ প্রমিলা জাতীয় ক্রিকেট দলে খেলছে বিকেএসপির তিন শিক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে শারমিন আক্তার ওয়ানডে স্বীকৃতি পাওয়ার পর প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই হাঁকালেন অর্ধশত। সেই সঙ্গে ওয়ানডে মর্যাদা পাওয়ার পর দেশের প্রথম নারী হিসেবে অর্ধশত রান করার রেকর্ড গড়লেন। শারমিন ছাড়াও বিকেএসপির ফারজানা হক ও সানজিদা ইসলাম জাতীয় দলে খেলছেন।
বিকেএসপিতে মেয়েদের ক্রিকেট বিভাগ চালু হয় ২০০৮ সালে। বর্তমানে এখানে পড়ুয়া ১৭ জন মেয়েই জাতীয় লিগ খেলছেন খুলনায়। কথা হয় রংপুর বিভাগের হয়ে খেলা শারমিন আক্তারের সঙ্গে। তাঁর মতে, ‘যারা ক্রিকেটার হতে চায়, তাদের অবশ্যই প্রশিক্ষণ নিয়ে খেলতে আসা উচিত। আর তাহলেই ছেলেদের মতো আমাদের দলটিও হবে শক্তিশালী। আর প্রশিক্ষণের জন্য বিকেএসপি অবশ্যই শেখার বড় একটি ক্ষেত্র।’
প্রধান কোচ মাসুদ হাসান মনে করেন, ‘ক্রিকেট খেলা এখন একটি সম্মানজনক পেশা। তাই এর প্রতি দিন দিন নারী শিক্ষার্থীদের ঝোঁক বাড়ছে। পরিবারের সহায়তাও এখন সহজ হচ্ছে। দেশের নারীদের ক্রিকেট এগিয়ে নিতে হলে আরও বেশি করে নতুন মেয়েদের ক্রিকেট খেলায় আসা উচিত।’
মেয়েদের ক্রিকেটে এখন বসন্তের হাওয়া লাগতে শুরু করেছে। ছেলেদের মতো এখন নিয়মিত জাতীয় বা বিভাগীয় লিগ খেলছে মেয়েরাও। আর তাই এখন শেখার ও জানার পরিধি অনেক বেড়েছে বলে মনে করেন ক্রিকেটার পিংকি, সানজিদা, সোমা বা তৃপ্তিরা।
প্রতিবছর ছেলেদের পাশাপাশি বিকেএসপিতে মেয়েদের ভর্তি করা হয়। প্রশিক্ষণ চলে একই নিয়মে। তবে সম্ভাবনাময় খেলোয়াড় হলে ভর্তিতে মেয়েদের বয়সের শর্ত কিছুটা শিথিল করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.