ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে সামষ্টিক অর্থনীতি ভয়াবহ সামাজিক বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা by সৈয়দ মিজানুর রহমান

দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি বিপজ্জনক পর্যায়ে চলে যাচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা। ভবিষ্যতে অর্থনীতিতে বড় ঝুঁকি অপেক্ষা করছে জানিয়ে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকারের এখনই সতর্ক হওয়া উচিত। তা না হলে দেশে ভয়াবহ আর্থিক বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি দেখা দিতে পারে সামাজিক অস্থিরতা।দ্বিতীয় দফায় বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা এবং স্থানীয়ভাবে একদিকে সরকারের সম্প্রসারিত রাজস্ব নীতি; অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংকুচিত মুদ্রানীতিকেই মূলত অর্থনীতির জন্য অশনি সঙ্কেত হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।


বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান মনে করেন, দেশের অর্থনীতিতে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
দিন যতই যাচ্ছে এই অস্থিরতা বাড়ছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সরকার যে হারে ভর্তুকি বাড়াচ্ছে এবং রাজস্ব খাতে ব্যয় বাড়াচ্ছে, তাতে দেশে বড় ধরনের আর্থিক বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে। এই আশঙ্কা থেকে সরকার সভরেন লোন বা সার্বভৌম ঋণ করতে যাচ্ছে, এটা আরও বিপদ ডেকে আনবে।
এ বিষয়ে সাবেক অর্থ উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ ড. মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘সার্বিক অর্থনীতি নাজুক অবস্থায় পড়েছে। সরকারের ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার প্রবণতা বাড়ছে। ভর্তুকির মাত্রাও অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। ব্যাংকে চলছে ভয়াবহ তারল্য সঙ্কট। এতে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারাও ঋণ পাচ্ছেন না। অন্যদিকে রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধিও কমে যাচ্ছে। এসব সমস্যার সবগুলো একসঙ্গে যোগ হওয়ায় অর্থনীতি বেকায়দায় পড়েছে। এক্ষেত্রে সরকারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হচ্ছে বৈদেশিক সাহায্যের অবমুক্তিতে পিছিয়ে পড়া।’ তিনি পরামর্শ দেন, বিদেশি সহায়তা ও বৈদেশিক ঋণের যে ১৩ বিলিয়ন ডলার পাইপলাইনে পড়ে রয়েছে, তা কীভাবে ছাড় করা যাবে সে ব্যবস্থা করা দরকার।
ব্যবসায়ী নেতা ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, সরকারের অর্থনীতি দ্বৈত শাসনের কবলে পড়েছে। একদিকে সরকার বলছে তারা সম্প্রসারিত রাজস্ব নীতি বাস্তবায়ন করবে; অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংকুচিত মুদ্রানীতি হাতে নিয়েছে। আর একসঙ্গে এই দুই নীতিই দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে বিপদ ডেকে এনেছে। তিনি বলেন, দ্বৈত নীতির কারণে উচ্চ মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। কমে যাবে টাকার মান। মানুষের প্রকৃত আয়ও কমে যাবে। এতে সামাজিক বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির নাজুক অবস্থা আঁচ করতে পেরে দাতা সংস্থাগুলো মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। তারা ঋণ ও আর্থিক সহায়তা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। এতে রিজার্ভের ওপর চাপ পড়ছে।
দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে রফতানি খাতই বড় ভূমিকা পালন করছে। তবে রফতানি খাতে এরই মধ্যে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি শুরু হয়েছে। সামনে এই খাতে বিপদ আরও বাড়বে উল্লেখ করে রফতানি খাতের সংগঠন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)’র সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী আমার দেশকে বলেন, আমাদের রফতানি আয়ের প্রধান দুই বাজার ইউরোপ ও আমেরিকার অবস্থা এখন খারাপ। প্রথম দফায় বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা থেকে ইউরোপ-আমেরিকা বের হতে না হতেই দ্বিতীয় দফায় বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। আর এতে এই দুই বাজারের পণ্য ক্রেতারা ক্রয়ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছেন। বাড়ছে বেকারত্ব। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ইউরোপের দেশ গ্রিস, স্পেন, পর্তুগাল ও ইতালি নিজেদের অর্থনীতি সামাল দিতে পারছে না। এতে গোটা ইউরোপে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আগামী ৬-৭ মাসে ইউরোপ-আমেরিকায় বাংলাদেশের রফতানি আয় ৪৫ থেকে ৬০ ভাগ কমে যেতে পারে, যা আমাদের জন্য বড় বিপদ।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) দেশের অর্থনীতি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছে। সিপিডি জানিয়েছে, দেশের অর্থনীতি এখন একটি সঙ্কটকাল পার করছে। এ অবস্থা মোকাবিলায় সরকারকে একটি কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতেও পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি। সংস্থাটির ডিস্টিংগুইশড ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ভর্তুকি বাবদ সরকার এ অর্থবছরে ৪৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করবে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এ অর্থের পরিমাণ আমাদের মোট রাজস্ব আয়ের অর্ধেক। ব্যাংক ঋণের দ্বিগুণের বেশি। চলতি অর্থবছরে রাজস্ব খাত থেকে সরকারের আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৯২ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংক ঋণ ধরা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকির পরিমাণ ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। তবে সিপিডি মনে করছে, এ অঙ্ক আরও বাড়বে। বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকলে এ বছরের কাঙ্ক্ষিত সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন কঠিন হবে বলেও মনে করেন তিনি।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. মাহ্বুবউল্লাহ্ আমার দেশকে বলেন, দেশের অর্থনীতি এখন গভীর সঙ্কটে আছে। সামনে এই সঙ্কট আরও প্রকট হতে পারে। কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বড় ধরনের ভর্তুকির চাপে পড়েছে সরকার। বিদ্যুত্ খাতেই ভর্তুকির বিরাট অংশ চলে যাচ্ছে। বিদ্যুত্ খাতে বর্তমানে দুই দফায় সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। দুর্নীতির অভিযোগে দাতারা এরই মধ্যে বৈদেশিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়ে অর্থনীতির সঙ্কট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি জানান, প্রত্যাশিত হারে রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। তাছাড়া সরকারের আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের কোনো সঙ্গতি নেই। সরকার যে হারে এখন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে চলছে, এটা অব্যাহত থাকলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। তিনি জানান, বিদ্যুত্ খাতে ভর্তুকি বাড়লেও এর সুফল শুরু হয়নি। শিল্প খাতে বিনিয়োগ বন্ধ আছে গ্যাস-বিদ্যুতের অভাবে। ফলে দেশে শিল্পায়ন নেই। এতে বেকারত্ব আরও বাড়ছে।
মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি : দেশে মূল্যস্ফীতি এখন বড় চ্যালেঞ্জ। লাগামহীনভাবে বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। জিনিসপত্রের দাম এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, দেশে পয়েন্ট টু পয়েন্ট অর্থাত্ আগের বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে গড় মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৯৭ শতাংশ। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, এ সময় খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। খাদ্যে মূল্যস্ফীতি শহরাঞ্চলে ১৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ। বিবিএসের হিসাবে, বাংলাদেশের একজন মানুষ আয়ের প্রায় ৫৯ শতাংশ ব্যয় করে খাদ্য কিনতে। খাদ্যের দাম বেড়ে গেলে মূল্যস্ফীতিতে বড় ধরনের চাপ তৈরি হয়।
এদিকে মূল্যস্ফীতিতে বর্তমান সরকারের আমলেই ঝুঁকিসীমা অতিক্রম করেছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ।
মূল্যস্ফীতিতে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ চারে এখন বাংলাদেশের অবস্থান, যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে তৃতীয়। তবে কয়েক বছর আগেও শীর্ষ ১০-এর নিচে ছিল বাংলাদেশ।
রফতানি আয় পরিস্থিতি : রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্র জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রফতানি আয় বেড়েছে ২২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। তবে শুধু সেপ্টেম্বরের হিসাবে রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি মাত্র ২ শতাংশ। অন্যদিকে রফতানি আয়ের ৭৮ শতাংশ আসে পোশাক খাত থেকে। সেপ্টেম্বরে পোশাক খাতে ঋণাত্বক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। পোশাক খাতের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ জানিয়েছে, সামনে পোশাক রফতানির আয় আরও কমবে। কারণ হিসেবে এ দুটি সংগঠনের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গত তিন-চার মাসে রফতানি আদেশ প্রায় অর্ধেক কমে গেছে। মূলত ইউরোপ-আমেরিকায় দ্বিতীয় দফা মন্দাই এজন্য দায়ী বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ধারদেনায় চলছে ব্যাংকিং খাত : ভয়াবহ তারল্য সঙ্কটের মুখে বিদেশি ব্যাংকগুলো থেকে ধারদেনা করে চলছে স্থানীয় সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। আগে যেসব ব্যাংক অর্থের অন্যতম জোগানদাতা হিসেবে পরিচিত ছিল, এসব ব্যাংকও এখন দৈনিক হাজার কোটি টাকার বেশি ধারদেনা করে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তারল্য সঙ্কটের মুখে গ্রাহকদের বড় অঙ্কের ঋণ দেয়া বন্ধ করে দিয়েও সঙ্কট মোকাবিলা করতে পারছে না এসব ব্যাংক। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সরকারের বেপরোয়া ব্যাংক ঋণ গ্রহণের কারণেও ব্যাংকের টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে। সরকার অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ব্যাংক থেকে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এছাড়া একই সময়ে বিভিন্ন মেয়াদি বন্ড প্রাইমারি ডিলারদের মাধ্যমে নিলাম করে সরকার আরও প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। গত অর্থবছরে বন্ডের মাধ্যমে সরকার ঋণ নিয়েছিল ১৪ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে নগদায়ন হয়েছে মাত্র ৪৮৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার বন্ড। সরকারের ঋণ গ্রহণের পাশাপাশি রাজনৈতিক বিবেচনায় ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ দেয়াও ব্যাংকগুলোর তারল্যে চাপ সৃষ্টি করেছে। রাজনৈতিক তদবিরের কারণে ব্যাংকগুলোকে অনেক দ্রুত বেশকিছু ঋণ দিতে হয়েছে। ফলে সাধারণ উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে এখন তাদের বেশ হিসাব-নিকাশ করতে হচ্ছে।
কমে যাচ্ছে রেমিট্যান্স : প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ বা রেমিট্যান্স অস্বাভাবিক হারে কমে যাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে অস্থিরতা ও ইউরোপ-আমেরিকায় মন্দার কারণে আগামীতে রেমিট্যান্স আরও কমে যেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়াকে দুশ্চিন্তার বিষয় উল্লেখ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সরকারকে কার্যকর নীতি (প্রো-অ্যাকটিভ পলিসি) গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে জনশক্তি রফতানি বৃদ্ধির বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়ার তাগিদ দেন সাবেক এ উপদেষ্টা। এছাড়া তিনি দাতা সংস্থাসহ বৈদেশিক সহায়তা ছাড় করানোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, এটি না করা গেলে রিজার্ভ আরও চাপের মুখে পড়বে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স আয় কমে গেছে আগের মাসের চেয়ে। গত মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৮৪ কোটি ৩৩ লাখ মার্কিন ডলার। গত আগস্টে এ খাতে এসেছিল ১১০ কোটি ১৭ লাখ ডলার। সে হিসাবে রেমিট্যান্স এ মাসে কম এসেছে ২৫ কোটি ৮৪ লাখ ডলার। অর্থাত্ এ মাসে রেমিট্যান্স কম এসেছে ২৩ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১০-১১ অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স আয়ের পরিমাণ ছিল ৮৩ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। সে হিসাবে এ বছরের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে ৬৫ লাখ ডলার। এতে মাত্র দশমিক ৭৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অথচ চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি ছিল ১৫ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স কমে যাওয়ায় প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধির হার ১০ শতাংশে নেমে গেছে।
চাপ বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ পড়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ এসে দাঁড়িয়েছে ৯৮৮ কোটি ডলার বা ৭৪ হাজার কোটি টাকায়। গত ২৪ মাসের মধ্যে এই প্রথম রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার কোটি ডলারের নিচে নেমে এলো। বিশ্লেষকরা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম ও খাদ্য আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে গিয়ে অতিরিক্ত ডলার খরচ করতে হয় সরকারকে। যে হারে আমদানি ব্যয় মেটাতে পরিশোধ করতে হচ্ছে, সে হারে রেমিট্যান্স আসছে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রিজার্ভের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। আবার আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় চলতি হিসাবের ভারসাম্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা বলেছেন, অর্থনীতির সব সূচকই এখন খারাপ। আগামীদিনের জন্য অর্থনীতিতে আরও বিপদ অপেক্ষা করছে বলেও মনে করেন তারা।

No comments

Powered by Blogger.