আর কোনো দিন যেন এমন কিছু করতে না হয়

প্রশ্ন : আপনাদের আন্দোলনে তো সব কিছু উলটপালট...মামুনুর রহমান চয়ন : কী বলব বলেন, আমি তো তিন-চারটা দলবদল দেখলাম। প্রতিবার একই কাহিনী। আন্দোলন না করলে, প্রতিবাদ না জানালে ফেডারেশনের হেলদোল হয় না। আমরা অপেক্ষা করতে করতে শেষ পর্যন্ত তিক্ত-বিরক্ত হয়ে যখন চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করি, তখনই সবার দলবদলের কথা মনে হয়।প্রশ্ন : কিন্তু এবার জুনিয়রদের একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল পণ্ড করাটাকে অনেকেই সমালোচনার দৃষ্টিতে দেখছেন।


চয়ন : আমাদের আসলে পূর্ব কোনো পরিকল্পনা ছিল না। হকি হলে ভালোভাবেই হবে না হলে এই লোক দেখানো খেলার প্রয়োজন নেই বলে সবার মধ্যেই একটা জেদ কাজ করছিল তখন। তারপর কখন কিভাবে আমরা মাঠে ঢুকে গেছি, এটা অবশ্যই উত্তেজনার বশে হয়েছে।
প্রশ্ন : এখন কী তাহলে অনুশোচনা হচ্ছে?
চয়ন : না, কোনো অনুশোচনা নেই। খেলাটাই যেখানে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, সেখানে জুনিয়রদের সামনে আমরা কী দৃষ্টান্ত রাখলাম না রাখলাম সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। এখন শুধু এটাই ভাবছি যে আর কোনো দিন যাতে আমাদের এমন পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়। তাহলে জুনিয়র খেলোয়াড়দেরও এ দৃষ্টান্ত গ্রহণ করার প্রয়োজন পড়বে না।
প্রশ্ন : এখন হয়তো অ্যাডহক কমিটি আসবে, আপনারা কেমন কমিটি আশা করছেন?
চয়ন : এটা আসলে আমাদের মাথাব্যথার বিষয় না। আমরা শুধু বুঝতে পারছি এখন নতুন একটা কমিটি হবে, যারা এসে দলবদল দেবে।
প্রশ্ন : সেই নতুন কমিটিও যে পরের বছর নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে না নিশ্চয়তা কী?
চয়ন : ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে খেলোয়াড়রা এসব বিষয় নিয়েই আলোচনা করেছে। আশা করি, হকির জন্য যা ভালো হয়, তিনি তা-ই করবেন।
প্রশ্ন : আপনি তো ইউরোপের কয়েকটা দেশেই খেলে এসেছেন। ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমাদের সঙ্গে তাদের মূল পার্থক্যটা কোথায়?
চয়ন : ধরুন, জার্মানিতে একটা টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার কথা ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের ১২ তারিখ। টুর্নামেন্টা কিন্তু শুধু ওই মাসেই না, ওই তারিখেই শুরু হবে। ওদের একসঙ্গে তিন-চার বছরের ক্যালেন্ডার তৈরি করা আছে। সেটাই ওরা কাঁটায় কাঁটায় অনুসরণ করে। আমাদের এখানে এই ক্যালেন্ডারটা নেই বলেই ফেডারেশন আর ক্লাবে এত সমন্বয়হীনতা, অব্যবস্থাপনা।

No comments

Powered by Blogger.