বিচার এবার পাকিস্তানে

বিপদ যখন আসে চারদিক থেকে আসে। সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমেরের বিপদ পিছু ছাড়ছেই না। স্পট ফিক্সিংয়ের অপরাধে আইসিসি কর্তৃক ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন গত ফেব্রুয়ারিতে। সে শাস্তি মোটেও যথেষ্ট মনে হয়নি, যখন লন্ডনের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্টে অবৈধ অর্থ লেনদেন ও প্রতারণার দায়ে মামলা এবং তার শুনানি শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে সে কেলেঙ্কারির অবসান হলো_ ভেবেছিলেন সবাই; কিন্তু বিপদ পিছু ছাড়েনি তিন পাকিস্তানি ক্রিকেটারের।


লন্ডনের কারাগারে থাকাকালেই হয়তো তাদের লড়তে হতে পারে আরও একটি মামলায় এবং সেটি নিজ দেশেই, লাহোরে। লাহোরের অতিরিক্ত জেলা জজ ও সেশন কোর্ট ওই তিন ক্রিকেটারের বিপক্ষে ক্রিমিনাল কেস দায়ের করতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আইনজীবী মোহাম্মদ জোবায়ের বুলকানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন লাহোর অতিরিক্ত জেলা জজ কোর্টের ওই বিচারক। আইনজীবী বুলকান তার আবেদনে স্পট ফিক্সিংয়ের জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য বিচারককে তার ক্ষমতা প্রয়োগের আহ্বান জানান। বিচারপতি তার এ আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। তবে একই সঙ্গে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ থানার প্রধান কর্মকর্তাকে ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে বুলকানের মামলাটি বিধিবদ্ধভাবে আমলে নিতে এবং ক্রিকেটারদের অপরাধের ধরন অনুযায়ী সে ধারায় মামলা লিপিবদ্ধ করার নির্দেশ দেন। বুলকান তার আবেদনে উল্লেখ করেন, 'অবৈধভাবে অর্থ নিয়ে ক্রিকেটাররা স্পট ফিক্সিং করে বহির্বিশ্বে পাকিস্তানের ভাবমর্যাদায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এ জন্য তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক। তারা যে অপরাধ করেছে তা দেশ কিছুতেই মেনে নিতে পারে না।' এর আগেও মামলা করতে থানায় গিয়েছিলেন আইনজীবী বুলকান; কিন্তু তখন পুলিশ তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে বলে আদালতে করা আবেদনে উল্লেখ করেন তিনি। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, 'স্থানীয় ইসলামপুরা থানায় মামলা করতে গেলে কর্মকর্তারা তখন তাকে ফিরিয়ে দেন।' আদালতের নির্দেশ পেয়ে স্থানীয় থানা বুলকানের মামলাটি লিপিবদ্ধ করে।
লাহোরের আদালতে যখন মামলার আবেদন করা হয়, এর কিছুক্ষণ আগেই লন্ডনের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্টে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের শাস্তি ঘোষণা করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.