বার্সেলোনার প্রতিপক্ষ ম্যান ইউ

প্রতিপক্ষ সহজই ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। জার্মানির ক্লাব শালকে ০৪-কে ৪-১ গোলে সহজেই হারিয়ে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের দল এখন আরও একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ গৌরবের অপেক্ষায়। তবে সেই গৌরব হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখতে তাদের পার হতে হবে মেসি-ইনিয়েস্তাদের বার্সেলোনা বাধা। সব মিলিয়ে এ বছরের চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল নিয়ে দুই ধরনের ইউরোপীয় ফুটবলের ধ্রুপদী লড়াই-ই প্রত্যাশা করতে পারেন ফুটবলামোদীরা।
গতকাল অনুষ্ঠিত ম্যাচে নিজেদের মাঠে শালকের বিপক্ষে প্রথমার্ধে ম্যান ইউ এগিয়ে ছিল ২-০ গোলের ব্যবধানে। ফাইনাল মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে থাকায় দ্বিতীয় লেগের এই ম্যাচে একেবারে দ্বিতীয় সারির দল নামিয়েছিলেন কোচ ফার্গুসন। এই দ্বিতীয় সারির দল কোচকে একেবারেই নিরাশ করেননি। ম্যাচের ২৬ মিনিটেই প্রথম গোল করে এগিয়ে যায় ম্যানচেস্টারের ক্লাবটি। গোল করেন অ্যান্তোনিও ভ্যালেন্সিয়া। আইরিশ ফুটবলার ড্যারন গিবসন প্রায় মধ্যমাঠ থেকে চমত্কার এক থ্রু বাড়ালে একটু পেছন থেকে দৌড়ে গিয়ে সেই বল ধরে দুর্দান্ত গোলটি করেন ভ্যালেন্সিয়া।
দ্বিতীয় গোলটি আসে ৩১ মিনিটে। শালকের সীমানায় প্রাপ্ত থ্রো-ইন থেকে রাফায়েল বল ফেলেন একেবারে বক্সের মধ্যে সেখান থেকে এক পা-দুই পা করে বল আসে বক্সের মাথায় দাঁড়ানো গিবসনের পায়ে। সেখান থেকেই তীব্র শটে তিনি জড়িয়ে দেন শালকের জালে।
২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর একটু জ্বলে ওঠার চেষ্টায় ছিল শালকে। এ সময় একটি গোলও পরিশোধ করে দেয় তারা। গোলটি করেন জুরাডো।
দ্বিতীয়ার্ধের ৭২ ও ৭৬ মিনিটের সময় পরপর দুটি গোল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে এগিয়ে নিয়ে যায় ৪-১ গোলে। সব মিলিয়ে সেমিফাইনালে শালকের বিপক্ষে ম্যান ইউর অগ্রগামিতা পরিণত হয় ৬-১-এ।
এবার নিয়ে চতুর্থবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠে গেল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ২০০৯ সালে বার্সেলোনার কাছে ফাইনালে পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার নতুন মওকা এবার তাদের। দেখা যাক, এবার ভাগ্য তাদের সঙ্গে কেমন আচরণ করে!

No comments

Powered by Blogger.