জাপানে আবারও ভূমিকম্প

জাপানের উত্তরাঞ্চলে গতকাল সোমবার আবারও তীব্র ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে দেশটির পুরো উত্তরাঞ্চল কেঁপে ওঠে। ভূকম্পনের তীব্রতা ছিল ৬ দশমিক ৫। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ভূকম্পনের পরপরই কর্তৃপক্ষ সুনামি-সতর্কতা জারি করে। পরে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
জাপানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম এনএইচকে জানায়, ভূমিকম্পের কারণে মিয়াগি এলাকায় ৫০ সেন্টিমিটার ঢেউয়ের সুনামির আশঙ্কা করা হয়েছিল। এ এলাকা ভূমিকম্প ও সুনামিতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
জাপানে ভূমিকম্পে নিহত ও নিখোঁজ ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ২৮ হাজারে দাঁড়িয়েছে। গতকাল ন্যাশনাল পুলিশ এজেন্সি এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছে। এতে বলা হয়, স্থানীয় সময় সোমবার বেলা তিনটা পর্যন্ত ১০ হাজার ৯০১ জনের প্রাণহানি নিশ্চিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনো ১৭ হাজার ৬৪৯ জন নিখোঁজ রয়েছে। আহতের সংখ্যা দুই হাজার ৭৭৬ জন।
১১ মার্চের ভূমিকম্প ও সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত জাপানের ফুকুশিমা পরমাণু প্রকল্পের ৫ ও ৬ নম্বর চুল্লি থেকে ৩০ মিটার দূরের পানিতে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে এক হাজার ১৫০ গুণ তেজস্ক্রিয় আয়োডিনের অস্তিত্ব চিহ্নিত করা হয়েছে। পরমাণু নিরাপত্তা সংস্থা গতকাল এ কথা জানায়।এ ছাড়া ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২ নম্বর চুল্লির ভেতরের পানিতে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় এক কোটি গুণ বেড়েছে। গত রোববার ওই চুল্লিতে কর্মরত সব কর্মীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ওই কেন্দ্রের পাশের সাগরের পানিতেও অস্বাভাবিক মাত্রার তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত করা হয়েছে।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক ইয়োকিয়া আমানো সতর্ক করে দিয়েছেন, জাপানের পারমাণবিক সংকট আরও কয়েক সপ্তাহ এমনকি কয়েক মাস প্রলম্বিত হতে পারে। তিনি বলেন, ‘সব দিকে বিবেচনায় এটি একটি মারাত্মক দুর্ঘটনা এবং শিগগির এর সুরাহা হচ্ছে না।’

No comments

Powered by Blogger.