ভিনদেশে আজ ‘স্বাগতিক’ শ্রীলঙ্কা

বাদ পড়ার টেনশন নেই। তবে পয়েন্ট তালিকার ওপরের দিকে থাকার তীব্র আকাঙ্ক্ষা আছে। আছে কোয়ার্টার ফাইনালের আগে মনোবল চাঙা রাখার তাড়না। দুই দলেরই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে আগেই। আজ তাই মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে যখন মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড, দুই দলের লক্ষ্যই থাকবে এক বিন্দুতে—‘জয় চাই’।
লক্ষ্য এক হলেও দুই শিবিরে দুই রকম আক্ষেপ। শ্রীলঙ্কার আক্ষেপ, টুর্নামেন্টের অন্যতম স্বাগতিক হয়েও আজ গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি তাদের খেলতে হচ্ছে ভারতে গিয়ে। নিউজিল্যান্ডের হতাশা—চোটের কারণে আজ খেলতে পারছেন না অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেট্টোরি ও কাইল মিলস। দলের প্রধান দুই বোলিং অস্ত্রকে হারিয়ে নিউজিল্যান্ড স্বভাবতই হতাশ। যদিও ভেট্টোরির অনুপস্থিতিতে দলের নেতৃত্বভার কাঁধে ওঠা রস টেলর এই দুজনের চোটকে দেখছেন অন্যদের প্রমাণের সুযোগ হিসেবে।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই শ্রীলঙ্কার গায়ে ফেবারিটের তকমা। অন্যদিকে ক্রিকেটে বাজে সময়ের মুখোমুখি নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে টুর্নামেন্টের শুরুতেও কারও তেমন কৌতূহল ছিল না। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারলেও কেনিয়া, কানাডা, জিম্বাবুয়ের পর পাকিস্তানকে হারিয়ে কিউইরা বাধ্য করেছে তাদের দিকে নজর ফেরাতে। তবুও আজ ফেবারিট শ্রীলঙ্কাই। যদিও ম্যাচটি তারা খেলতে পারছে না নিজেদের মাঠে।
শ্রীলঙ্কা শুরুর দিকে এ নিয়ে প্রশ্নও তুলেছিল। সাঙ্গাকারা বলেছিলেন, ম্যাচটি ভারতে গিয়ে খেলতে হবে কেন? অবশ্য এখন তাদের কণ্ঠে অন্য সুর। ‘শ্রীলঙ্কার বাইরে গেলে আমরা আরও বেশি সময় একসঙ্গে থাকব। এটা দলের জন্য ভালো’—বলেছেন সাবেক অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে।
ভেট্টোরি-মিলসের চোট কিউইদের বোলিং আক্রমণ দুর্বল করে দিয়েছে অবশ্যই। তবে জয়াবর্ধনে বলছেন, ‘ওই দুজন সম্ভবত তাদের বোলিং লাইনআপের সবচেয়ে সিনিয়র। কিন্তু তার পরও ওদের আমরা হালকাভাবে নিচ্ছি না। নিউজিল্যান্ড কিন্তু সব সময়ই একটা দল হয়ে খেলে।’
বোলিং নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে শ্রীলঙ্কারও। লাসিথ মালিঙ্গা আর মুরালিধরন ছাড়া বাকিরা সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে পারছেন না। হাসিমুখে ভারতের আতিথ্য নিলেও ওয়াংখেড়ের উইকেট পছন্দ হচ্ছে না শ্রীলঙ্কার। জয়াবর্ধনে বলছেন, ‘উইকেট কিছুটা আলাদা। এটা মরা উইকেট। দেশে যেমনটায় খেলে এসেছি তার চেয়ে মাঠটাও কিছুটা ছোট। তবে আমরা মানিয়ে নেব।’

No comments

Powered by Blogger.