না না রঙের বিশ্বকাপ

টাইব্রেকার
ফুটবলের মতো ক্রিকেট বিশ্বকাপেও চলে এল টাইব্রেকার! ২০১১ বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে থাকছে সুপার ওভার। নকআউট পর্বের কোনো ম্যাচ টাই হলে আশ্রয় নেওয়া হবে সুপার ওভারের। দুই দলই সুযোগ পাবে এক ওভার করে ব্যাটিং করার। প্রতি দলের তিনজন ব্যাটসম্যান ব্যাট করার সুযোগ পাবেন, বল করবেন এক বোলার। এই বিশ্বকাপে থাকছে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমও (ডিআরএস)। সব ম্যাচেই ব্যবহার করা হবে এটা। মাঠের আম্পায়ারের কোনো সিদ্ধান্ত পছন্দ না হলে থার্ড আম্পায়ারের দ্বারস্থ হতে পারবেন ক্রিকেটাররা। দুটি রেফারেল বাতিল হয়ে গেলে অর্থাৎ থার্ড আম্পায়ার মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখলে, ওই দল আর রিভিউ চাইতে পারবে না। আবেদন সফল হলে সেটাকে এর মধ্যে ধরা হবে না। ক্রিকইনফো।

লরগাতের দুঃখ
কলকাতায় নাকি হারুন লরগাতের কুশপুতুলও পুড়েছে। ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ ইডেন থেকে সরিয়ে নেওয়ার পেছনে ষড়যন্ত্রও খুঁজেছে কেউ কেউ। তবে আইসিসির প্রধান নির্বাহী জানালেন, ইডেনের মতো মাঠে এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি হচ্ছে না দেখে তাঁরাও কম ব্যথিত নন। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের প্রধান জগমোহন ডালমিয়ার কাছে পাঠানো এক ‘আবেগময়’ ই-মেইলে লরগাত লিখেছেন, ‘ম্যাচটি না হওয়াও আমিও সবার মতোই হতাশ। কিন্তু বিশ্বাস করুন, টেকনিক্যাল কমিটির সিদ্ধান্ত পাল্টানোর ক্ষমতা আমার নেই। আমাদের মধ্যে যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে, সাক্ষাতে সেটির অবসান করতে আমি আগ্রহী।’ ওয়েবসাইট।

সমস্যার সমাধান
অবশেষে সমাধান হয়েছে ভিসা-সমস্যার। হাঁফ ছেড়ে বাঁচল কানাডার ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া তাদের তিন ক্রিকেটারকে ভিসা দিয়েছে ভারত। কানাডা এখন পুরো শক্তির দল নিয়েই বিশ্বকাপে যেতে পারছে। বর্তমানে দুবাইয়ে অবস্থান করা দলের তিন ক্রিকেটার সহ-অধিনায়ক রিজওয়ান চিমা, খুররম চোহান ও হামজা তারিকের ভিসা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া এই তিন ক্রিকেটারকে ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানায় ভারত। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে কানাডার বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে। অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে না দেখে ভারতে নির্ধারিত তাদের গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো অন্য দেশে সরিয়ে নেওয়ার আবেদনও করেছিল কানাডা। বিশ্বকাপে কানাডার চারটি ম্যাচ হবে ভারতে। প্রথমটি ২৮ ফেব্রুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। অবশ্য তাদের প্রথম ম্যাচটি শ্রীলঙ্কায়। ২০ ফেব্রুয়ারির ওই ম্যাচে নতুন ভেন্যু হাম্বানটোটায় স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে কানাডা। ক্রিকইনফো।

টেন্ডুলকারের জন্য
শচীন টেন্ডুলকারকে বিদায়ী উপহার দিতে চান মহেন্দ্র সিং ধোনি। উপহারও ঠিক হয়ে গেছে—বিশ্বকাপ ট্রফি! এটা প্রায় নিশ্চিত, এবারের বিশ্বকাপই ৩৭ বছর বয়সী টেন্ডুলকারের শেষ বিশ্বকাপ। এমনও হতে পারে, বিশ্বকাপের পরপরই ওয়ানডে ক্রিকেটকে টেন্ডুলকার বিদায় বলে দেবেন। ‘বিশ্বকাপ জয় হতে পারে দলের পক্ষ থেকে তার জন্য সবচেয়ে বড় উপহার’—শিরোপা জেতার অন্যতম প্রেরণার কথা জানিয়ে বলেছেন ধোনি। টেস্ট ও ওয়ানডে দুই ধরনের ক্রিকেটেই সবচেয়ে বেশি রান ও সেঞ্চুরির মালিক টেন্ডুলকার। ক্যারিয়ারের অর্জনের খাতাটা অনেক ভারী। শুধু একটিই অপূর্ণতা, নেই কোনো বিশ্বকাপ ট্রফি। ২০০৩ সালে ফাইনালে উঠে শিরোপা থেকে নিঃশ্বাস-দূরত্বে থেকেও ছুঁয়ে দেখতে পারেনি। ব্যক্তি টেন্ডুলকার অবশ্য বিশ্বকাপে সফল। ১৯৯৬ ও ২০০৩ বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক ছিলেন। কিন্তু দলগত ব্যর্থতায় ফিকে হয়ে গেছে ব্যক্তিগত অর্জন।

No comments

Powered by Blogger.