চট্টগ্রামে উপভোগ্য অনুশীলন

একটা প্রস্তুতি ম্যাচ ছাড়াও চট্টগ্রামে বিশ্বকাপের দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের অনুশীলন পর্বটা এই ম্যাচগুলোর কথা মাথায় রেখেই। ক্রিকেটারদের বিশ্বাস, বিশ্বকাপের আগে চট্টগ্রাম সফরটা ভালোই কাজে দেবে তাঁদের।
কাল জুনায়েদ সিদ্দিক যেমন বললেন, ‘সেন্ট্রাল উইকেটে প্র্যাকটিসটা গুরুত্বপূর্ণ। এতে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী অনুশীলন করা যায়। আউট হলে আউট। ব্যাটসম্যানরাও সেভাবে মনোযোগী হতে পারে।’ চট্টগ্রামের অনুশীলন পর্বের পর আজ ঢাকায় ফিরে যাবে বাংলাদেশ দল। এরপর অপেক্ষা বিশ্বকাপ শুরুর। ‘বিশ্বকাপ অনেক বড় ইভেন্ট। আমাদের প্রস্তুতিও ভালো। সবাই কঠোর পরিশ্রম করছে। দেখা যাক, কী হয়’—বলেছেন জুনায়েদ।
চট্টগ্রামে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে এসে সবচেয়ে বেশি চনমনে ছিলেন তামিম ইকবাল। নিজের শহর বলে কথা! ওয়ানডেতে তামিমের তিনটি সেঞ্চুরি থাকলেও তার একটাও চট্টগ্রামে নয়। ঘরের মাঠের প্রথম সেঞ্চুরিটা বিশ্বকাপেই করতে চান তিনি, ‘চট্টগ্রামে প্রথম সেঞ্চুরিটা বিশ্বকাপ দিয়ে শুরু করতে চাই।’ অনুশীলনে নামার আগে জানিয়ে দিয়েছেন আরেকটি সুপ্ত বাসনাও, ‘যেকোনো টুর্নামেন্টেই আমার লক্ষ্য থাকে সর্বোচ্চ রান করার। বিশ্বকাপেও সেটা চাইব।’
বিশ্বকাপের মেজাজ আস্তে আস্তে ছড়িয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ দলের মধ্যে। সবার ভাবনায় কেবলই বিশ্বকাপ। গতকাল মাঝ উইকেট ছাড়াও পাশের দুটি প্র্যাকটিস উইকেটে ব্যাটিং-বোলিং প্র্যাকটিস করেছেন জুনায়েদ, রকিবুল, তামিম, আশরাফুল, শফিউলরা। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং অর্ডারে কিছু পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে। তবে এখন পর্যন্ত সেটা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানালেন জুনায়েদ, ‘ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে কোনো কথা হয়নি। প্র্যাকটিস ম্যাচে হয়তো বোঝা যাবে, কী হবে।’ অনুশীলনে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংও করছেন জুনায়েদ। দলের প্রয়োজনে ম্যাচে নাকি সেটা করতে প্রস্তুত আছেন।

No comments

Powered by Blogger.