মুক্তিযুদ্ধ- নতুন প্রজন্ম ও আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা by ডা. এম এ করীম

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। ডিসেম্বর এলেই বা মার্চ এলেই আমাদের তর্ক জমে ওঠে কে স্বাধীনতার ঘোষক আর কেই বা জাতির পিতা। প্রত্যেকেই প্রত্যেকের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে লেখেন এবং লেখার সময় বাটখাড়াটা তার দিকেই ভারী করে দেন। তাই লেখাটা বস্তুনিষ্ঠ না হয়ে একতরফা হয়ে ওঠে। আবার যে দল ক্ষমতায় আসে সে দল তার হয়ে লিখতে বসে।
সত্যিটা কেউ স্বীকার করতে চায় না। ফলে স্কুল-কলেজের কোমলমতি ছাত্রছাত্রী একেক সময় একেক ইতিহাস পড়ে এবং বিভ্রান্ত হয়। বুঝে উঠতে পারে না কোনটা সত্যি। এ বাংলাদেশ হঠাৎ করেই বাংলাদেশ হয়নি। এ জাতি দীর্ঘদিন ধরে আত্মপরিচয়ের সংগ্রামে লিপ্ত ছিল। সুখে-দুঃখে একসঙ্গে বেঁচে থাকার তাগিদেই বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্র গঠনে তাঁদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল এবং সেই অনুপ্রেরণা ধরেই আসে ১৯৫২, ১৯৬৬, ১৯৬৯, ১৯৭০ এবং সর্বোপরি ১৯৭১। ১৯৬৪ সালে আইয়ুব খানের নির্বাচন ছিল কনভেশন নির্বাচন। সে সময় তাঁর নির্বাচনী প্রতীক ছিল 'গোলাপ ফুল'। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর বোন ফাতেমা জিন্নাহ। ফাতেমা জিন্নাহর নির্বাচনী প্রতীক ছিল 'হ্যারিকেন'। আইয়ুব খান টাকা দিয়ে সব ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কিনে ফেলেন। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধ শুরু হয়। সে সময় তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান (পূর্ব বাংলা) অরক্ষিত থাকে। যদি ভারত সেই পূর্ব পাকিস্তান আক্রমণ করত তবে তা রক্ষা করার জন্য শক্তিশালী কোনো সামরিক বাহিনী বা অস্ত্র-সরঞ্জাম কিছুই ছিল না। ঠিক সেই সময় বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালে ৬ দফা দাবি ঘোষণার মাধ্যমে সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র গণ-আন্দোলন গড়ে তোলেন। ৬ দফা মূলত স্বাধীনতারই নামান্তর। সেই সময় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ছাত্রদের আন্দোলনে পাকিস্তানের সামরিক শাসকরা জনবিছিন্ন হয়ে পড়েছিল। আগরতলা মামলা নামে ষড়যন্ত্রমূলক একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তার করে। তখন সারা বাংলায় জনগণের মুখে স্লোগান ছিল 'জয় বাংলা', 'তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা'।
তীব্র আন্দোলনের মুখে সারা দেশ যখন অচল তখন ১৯৬৯ সালের মার্চ মাসে প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ক্ষমতায় আসেন ইয়াহিয়া খান। ফলে আন্দোলনের মুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে জেল থেকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হন এবং পরবর্তী সময়ে ইয়াহিয়া খান এলএফের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দিতে বাধ্য হলেন। ১৯৭০ সালে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল। পাকিস্তানে সামরিক গোষ্ঠী নির্বাচনের ফলাফলে হতবাক হয়ে গেল। তারা চিন্তাই করতে পারেনি শেখ মুজিবের দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। তাদের ধারণা ছিল, জুলফিকার আলী ভুট্টোর দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে এবং জেনারেল ইয়াহিয়া শেখ মুজিবের হাতে ক্ষমতা ছাড়তে টালবাহানা শুরু করে। কারণ, শেখ মুজিব ক্ষমতায় গেলে ৬ দফা বাস্তবায়ন হবে, আর ৬ দফা বাস্তবায়ন হলে তো বাংলাদেশ প্রায় স্বাধীন হয়ে গেল এবং পরবর্তী যেকোনো সময় তাঁরা (শেখ মুজিব) দেশকে স্বাধীন বলে দাবি করবেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেসকোর্স ময়দানের জনসভা থেকে ডাক দেন, 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।' আমার মনে হয় এই ভাষণেই স্বাধীনতার ঘোষণা শেখ মুজিব দিয়ে গেছেন। 'আমি যদি নাও থাকি তাহলে যার যা আছে তা নিয়ে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো।' সেই ডাকই যথেষ্ট ছিল। অন্য কারো ঘোষণা শুনে হঠাৎ করে স্বাধীনতার জন্য এ দেশের জনগণ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েননি। 'জয় বাংলা' স্লোগান ছিল প্রতিটি জনগণের মুখের স্লোগান। এ স্লোগান অন্য কারো মুখ থেকে বের হয়নি। বের হয়েছে 'ছাত্রলীগের' মুখ থেকে। এসব লিখে কলেবর বৃদ্ধি করতে চাই না। যে কথা বলতে চাই, 'এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনল যারা, আমরা তোমাদের ভুলব না'_এই কলি কি এখনো আমাদের হৃদয়ে নাড়া দেয়? না সময়ের বিবর্তনে, সময়ের স্রোতে তা আমরা হারিয়ে ফেলতে বসেছি। আমরা কি এখনো (বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধারা) প্রকৃত সম্মান পেয়েছি? বাংলাদেশ নামের আমাদের এ শ্যামল-সবুজ বাংলার অভ্যুদয়ের পেছনে রয়েছে অজস্র ধারাবাহিক রাজনৈতিক সংগ্রামের ইতিহাস। আছে অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা, শোষণ আর বঞ্চনা। হঠাৎ করে কোনো জেনারেল বা মেজরের ডাকে ইতিহাস সৃষ্টি হয় না তা আমরা সবাই জানি। এসব জানা সত্ত্বেও আমরা জ্ঞানপাপী হিসেবে অযথা তর্কে লিপ্ত হই এবং নতুন প্রজন্মকে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ফেলে দিই। ইতিহাসের একজনই নায়ক থাকেন। খলনায়কও থাকে। গানের কলি আগেই উচ্চারিত হয়েছে। এক সাগর রক্তে...। রক্ত সাগর পেরিয়ে বাংলার মানুষ উপনীত হয়েছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে। রক্ত সমুদ্র মন্থন করে সেই লড়াইয়ে অর্জিত হয়েছিল বিজয়। কী নিবিড় ও কঠিন তার কষ্ট ভোগ, আর কী বিশাল তার আত্মদান। অকাতারে উৎসর্গিত হয়েছে কত প্রাণ, ফুৎকারে নিভে গেছে কত অগণন মানুষের জীবনের সব আলো। কত পরিবার হয়ে গেছে ছারখার, সব মিলিয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। এই যুদ্ধে ধর্মান্ধ বিভ্রান্ত মানবতাবর্জিত রাজনীতির মুষ্টিমেয় কিছু অনুসারী ছাড়া আর সব মানুষই ছিল একাট্টা। এক অভিন্ন চেতনায় সংহত। যে চেতনা বলতে পারি জাতীয় মুক্তির চেতনা, ঐক্যবদ্ধ জীবন প্রচেষ্টা, মিলন-বিরহ, আশা-নিরাশার বাস্তব অনুভূতির সংকলিত এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী অপরাজেয় এ চেতনার (জাতীয় মুক্তির চেতনার সঙ্গে) প্রতিনিয়ত নতুন করে পরিচয় হচ্ছে নতুন প্রজন্মের। এই নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের বই (যা নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে) পড়ে, আবার কেউ বাবা, মা, দাদা, দাদির অথবা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে ইদানীং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ঔপন্যাসিক ড. জাফর ইকবালের প্রচেষ্টার কথা অনেকেই স্মরণ করবেন। একটা কথা এখানে না বললে লেখার অপূর্ণতা থেকে যাবে। তা হলো, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ব্যবস্থাপক সভায় পূর্ব পাকিস্তানের ১৬২টি আসনের মধ্যে ১৬০টিই জয়লাভ করে। বিশ্বের গণতান্ত্রিক ইতিহাসেও এমন নজির আছে বলে আমার জানা নেই। এই নির্বাচন বাঙালির অধিকার অর্জনের রাজনৈতিক আন্দোলনকে গণতান্ত্রিক ও শাসনতান্ত্রিক বৈধতা প্রদান করেছিল, যার ফলে বাঙালির মুক্তি আন্দোলন কখনোই বিছিন্নতাবাদী আন্দোলন হিসেবে কেউই চিহ্নিত করতে পারেনি। ১৭ এপ্রিল ১৯৭১-এ মুজিবনগরে গঠিত হয় স্বাধীন বাংলার নতুন সরকার। সে সরকারের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছিলেন অধ্যাপক ইউসুফ। গঠিত স্বাধীনতার ঘোষণায় যেখানে লেখা ছিল, 'সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পক্ষে যে রায় দিয়েছেন সে মোতাবেক আমরা নির্বাচিত প্রতিনিধিরা, আমাদের সমবায় গণপরিষদ গঠন করে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা আমাদের পবিত্র কর্তব্য বিবেচনা করে বাংলাদেশকে সার্বভৌম গণপ্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি এবং এতদ্দ্বারা পূর্বাহ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা অনুমোদন করছি।' এ সত্য কথাগুলো নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে। আরো জানতে হবে কারা আমাদের মুক্তি সংগ্রামের বিরোধিতা করেছিল। সে দিনের সেই দিনগুলোর কথা, কী করে আমাদের মাথা চিরতরের জন্য নুইয়ে দিতে এ দেশীয় রাজাকার, আলবদর, আলশামসরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত নষ্ট করেছিল এবং হত্যা করেছিল। কিভাবে এ দেশের দামাল ছেলেদের সঙ্গে আমাদের মেয়েরাও যোগ দিয়েছিল মুক্তি সংগ্রামে। স্বাধীনতার পর পেরিয়ে গেছে তিন দশকের বেশি। ফলে প্রায় ভুলতে বসেছে আমাদের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস।
সঠিক চর্চার অভাবে আজ ক্রমে অতীত হচ্ছে আমাদের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস। তবে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার ফলে একটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে। সুশীল সমাজ, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও সরকারের চেষ্টা এখানে দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হতে হবে। আমার মনে হয় তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে আজও অন্ধকারে। তাদের ধারণা নেই কিভাবে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা। আমি অনেক নতুন প্রজন্মকে জিজ্ঞেস করেছি, মুক্তিযু্দ্ধ সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা আছে কি নেই। তাদের বক্তব্য, 'বেশি কিছু জানে না, তবে এটুকু জানে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন।' আবার কেউ কেউ অত্যন্ত সচেতন। অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের নতুন নতুন ঘটনা শুনে তা নিয়ে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে তারা বলছে, 'প্রতিদিনের মতোই আজ সূর্য উঠেছে। তবে আজকের সূর্যোদয় অন্য দিনের চেয়ে একটু আলাদা। ১৯৭১ সালে মানবতার বিরুদ্ধে যে অপরাধ হয়েছিল, বাংলাদেশের কিছু মানুষ যারা রাজাকার, আলবদর, আলশামস নামে পাকিস্তানিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এ দেশের মানুষকে হত্যা করেছে, সম্পদ লুট করেছে, মা-বোনদের ওপর অত্যাচার করেছে, দীর্ঘদিন পর সেই অপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ ঘটনা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য স্বস্তির।' মুছে যাক গ্লানি...। আমরা চাই মুক্তিযুদ্ধের সুদীর্ঘ সঠিক ইতিহাসটি বিশ্বের সব নাগরিক জানুক। নতুন প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা প্রচুর, আশা অনেক, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তারা জানতে চায়। আর যে উদ্দেশ্য নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সেই অসামপ্রদায়িক, সন্ত্রাসমুক্ত, শোষণমুক্ত ও শ্রেণীহীন সমাজব্যবস্থা গঠনের জন্য তারা সদাজাগ্রত। এই লেখা শেষ করতে চাই বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মফিদুল হকের উক্তি দিয়ে, 'মুক্তিযুদ্ধ যেমন ছিল কঠিন ও কঠোর লড়াই, যার পেছনে ছিল দীর্ঘ সাধনা ও অধ্যবসায়, সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও নবায়নও তেমনি কঠিন ও কঠোর সাধনার বিষয়। এটা নিরন্তর পরিচালিত এক সংগ্রাম, যা এখন রূপ নিয়েছে নির্মাণ ও বিকাশের, ব্যাপকতর মানুষের জীবনে মুক্তি অর্থবহ করে তোলার বহুমুখী আয়োজন ও প্রয়াসের। আর তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের জন্য বিমূর্ত ধারণা নয়, অতীতের গৌরবের সঙ্গে বর্তমানের করণীয়ের তা বাস্তব সেতুবন্ধ, এই যোগসূত্র নিবিড়ভাবে ধারণ করার মধ্য দিয়ে আমরা পেতে পারি সুন্দর আগামী নির্মাণের প্রেরণা ও শক্তি।' আর এ প্রেরণার শক্তিই হলো আমাদের নতুন প্রজন্ম।
============================
খিলক্ষেতে আগুনঃ কয়েলের গুদামে রাতে কাজ হতো ঝুঁকিপূর্ণভাবে  ভারতে বিহার রাজ্যের নির্বাচন  স্বপ্ন সত্যি হওয়ার পথে  আমাদের আকাশ থেকে নক্ষত্র কেড়ে নিয়েছিল যারা...  মুক্তির মন্দির সোপান তলে  আবেগ ছেড়ে বুদ্ধির পথই ধরতে হবে  বছর শেষে অর্থনৈতিক সমীক্ষা পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশ  দুই কোরিয়ার একত্রিকরণ কি সম্ভব  গ্যাসের ওপর বিপজ্জনক বসবাস  উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা তুলতে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ  সময়ের দাবি জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি  জনসংখ্যা বনাম জনশক্তি  ব্যাংকের টাকা নয়ছয় হওয়া উচিত নয়  একটি পুরনো সম্পর্কের স্মৃতিচিত্র  পাটশিল্প ঘুরিয়ে দিতে পারে অর্থনীতির চাকা  ড. ইউনূসকে বিতর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে হবে  সুশিক্ষার পথে এখনও বাধা অনেক  ব্যক্তির স্বাধীনতা হরণ ও মর্যাদাহানির পরিণাম কখনই শুভ হয় না ঘুষ ও লুটপাট উভয়ের বিরুদ্ধে একই সাথে লড়তে হবে  সুনীতি ও সুশাসন  আমি কেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের পক্ষে  শ্রমিক অসন্তোষ বর্তমান প্রেক্ষিত  জীবন ব্যাকরণঃ দর্জির মুক্তিযুদ্ধ  তথ্যের অধিকার ও জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ  শালীন ও সংযত কথাবার্তা কি শুধু একতরফা হতে হবে?  একটি অসমাপ্ত গল্প  মুসলিম বিশ্বে সেক্যুলারিজমের বর্তমান ও ভবিষ্যত  চীন দেশের কথা  হিকমতে হুজ্জতেদের কথা  মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে বিশ্বসভায়  ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো  বধ্যভূমিতে গেয়ে গেল যাঁরা জীবনের জয়গান  ভিক্ষাবৃত্তির মুখোশ  লন্ডন ভ্রমণ এবং সুখ-দুঃখের দু'টি কথা  শিক্ষার মানোন্নয়নে চাই যথার্থ মনিটরিং  পান্থজনঃ কী পাই নি তারি হিসাব মিলাতে মন মোর নহে রাজী  বাঙালির বৌদ্ধিক ঐতিহ্য  ৭২-এর সংবিধানের আলোকে কি রূপকল্প বদল করা উচিত নয়?  জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ :নতুন যুগের বার্তাবাহক  প্রশাসনে জনগণের আস্থা অর্জন জরুরি  পরিবেশ সুরক্ষায় তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা


দৈনিক কালের কন্ঠ এর সৌজন্যে
লেখকঃ ডা. এম এ করীম
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট পরমাণু চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও মুক্তিযোদ্ধা


এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.