মুক্তিযুদ্ধ- আমাদের আকাশ থেকে নক্ষত্র কেড়ে নিয়েছিল যারা... by আনিসুল হক

খন বিজয়ানন্দে হাসছে আমার বাংলাদেশ/লাল চেলী গায়ে, কী উদ্দাম। গমগমে/রাস্তাগুলো সারাক্ষণ উজ্জ্বল বুদ্বুদময়। শুধু আপনাকে,/ হ্যাঁ, আপনাকে মুনীর ভাই,/ডাইনে অথবা বাঁয়ে, কোথাও পাচ্ছি না খুঁজে আজ।/আপনার গলার চিহ্নিত স্বর কেন/এ শহরে প্রকাশ্য উৎসবে/শুনতে পাব না আর? সেই চেনা স্বর?
শামসুর রাহমান লিখেছিলেন এই কবিতা, রক্তাক্ত প্রান্তরে, ১৯৭২ সালে। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে যখন বিজয়ের আনন্দে ভাসছিল বাংলাদেশ,
তখন অন্য অনেকের সঙ্গে ঢাকার সবচেয়ে প্রাণবন্ত বাগ্মী, সবচেয়ে উজ্জ্বল পুরুষদের একজন মুনীর চৌধুরী পড়ে ছিলেন লাশ হয়ে। রক্তাক্ত প্রান্তর কিংবা কবর নাটকের রচয়িতা অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর কথা কেউ ভুলতে পারেননি—জীবনে একবার যাঁরা তাঁর সান্নিধ্যে এসেছিলেন, তাঁদের কারও পক্ষেই তাঁকে ভোলা অসম্ভব। আনিসুজ্জামান লিখেছেন, ‘তিনি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন তাঁর অপূর্ব বাগ্মিতা, সাহিত্যের রসগ্রাহিতা ও পড়াশোনার ব্যাপকতার জন্যে।’ ছাত্রদের প্রিয়জন, তরুণ লেখকদের ভরসার স্থল, প্রগতিশীল আন্দোলনের প্রেরণা। ১৯৭১ সালের ১১ কি ১২ ডিসেম্বরে ফোন করেছিলেন ভাই কবীর চৌধুরীকে, ‘তাহলে তো স্বাধীনতা দোরগোড়ায়, তাই না?’
স্বাধীনতা যখন দোরগোড়ায়, তখনই ঘাতকেরা তালিকা তৈরি করল। স্বাধীন বাংলাদেশের সবচেয়ে উজ্জ্বল, সবচেয়ে মেধাবী মানুষগুলোর তালিকা। শহীদুল্লা কায়সারের মতোন সাংবাদিক-সাহিত্যিক আমরা আর কোথায় পাব? কে আর আমাদের উপহার দিতে পারবেন সারেং বউ বাসংশপ্তক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী সাহিত্যভারতী খেতাব পেয়েছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। একই বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ার পাশার কবিতা ছাপা হয়েছিল বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত কবিতা পত্রিকায়। রাইফেল রুটি আওরাত নামের যে উপন্যাসটি তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলার সময়েই লিখে রেখে চলে গেছেন, তার কি কোনো তুলনা হয়? কাকে ছেড়ে কার কথা বলব? এঁরা ছিলেন আমাদের সবচেয়ে মেধাবী মানুষ, সবচেয়ে যোগ্য পেশাজীবী। কেউ চিকিৎসক, কেউ প্রকৌশলী, কেউ লেখক, কেউ সাংবাদিক। আলতাফ মাহমুদের মতো সুরকার, গণসংগীতশিল্পী, যিনি ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানের সুর দিয়েছিলেন, তাঁর বিকল্প কোথায় পাব আমরা? সমস্ত আকাশ ভেঙেচুরে ছেনে তছনছ করেও কি আলতাফ মাহমুদের মতো একটা সংগীত-নক্ষত্র আমরা খুঁজে আনতে পারব? কোথায় বিকল্প পাব দানবীর শিক্ষানুরাগী রণদাপ্রসাদ সাহার? জহির রায়হানের জীবন থেকে নেয়া ছবিটা যতবার দেখি, ততবার ভাবি, কী শূন্যতাই না সৃষ্টি হলো বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে, যা আমরা আজও পূরণ করতে পারলাম না? হূদেরাগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফজলে রাব্বী—ওই গুণী চিকিৎসককে ১৫ ডিসেম্বরে যখন আলবদররা ধরে নিয়ে যায়, জিপে তিনি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ছিলেন। গোবিন্দচন্দ্র দেব, ডা. আলীম চৌধুরী, সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, ডা. আজহারুল হক, অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, সাংবাদিক সেলিনা পারভীন, হাজারো নাম। একাত্তরে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, আর তাঁদের মধ্যে অনেককেই ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তালিকা ধরে, ডিসেম্বরে, বাড়ি বাড়ি গেছে ঘাতকেরা, নাম ধরে ডেকেছে, চোখ বেঁধেছে এই শ্রেষ্ঠ মানুষগুলোর, হাত বেঁধেছে পিঠমোড়া করে, তারপর জিপে তুলে নিয়ে গেছে রায়েরবাজার বা মিরপুরের জলার ধারে, গুলি করে মেরে রেখেছে। সবাই জানে, যারা ডেকে নিয়েছিল আমাদের জাতির এই সেরা মানুষগুলোকে, তারা বাঙালি ছিল, সবাই জানে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠনটির ক্যাডাররাই গঠন করেছিল আলবদর। যুদ্ধাপরাধ কিংবা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ কথাগুলো শুনতে ভীষণ ভারী শোনায়। আমার একটা ছোট্ট প্রশ্ন আছে, কেন এই মানুষগুলোর সন্তানেরা তাঁদের পিতা-মাতা হত্যার বিচার পাবেন না? কেন শহীদুল্লা কায়সারের মেয়ে শমী কায়সার তাঁর বাবার হত্যাকাণ্ডের বিচার পাবেন না? কেন মুনীর চৌধুরীর ছেলে মিশুক মুনীর তাঁর বাবার ঘাতকদের সাজা দেখবেন না? কেন জাহীদ রেজা নূর জানতে পারবেন না, কে তাঁর বাবা সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনকে হত্যা করেছিল, তাঁর হত্যার নির্দেশ পেছন থেকে কে দিয়েছিল?
কেন সেলিনা পারভীনের ছেলে তাঁর মায়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার পাবেন না? কেন নিশান তাঁর বাবা চিকিৎসক আজহারুল হকের ঘাতককে শাস্তি পেতে দেখবেন না?
২.
খুনিদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আসতে হবে। সেই বিচার হতে হবে ন্যায়বিচার, সেটাও আমরা চাই। ৪০ বছর আগের ডিসেম্বরে ঘটেছে যে হত্যাকাণ্ড, স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় থেকে সেসবের নথিপত্র প্রমাণ-সাক্ষ্য অনেক বিনষ্ট করে ফেলেছে, তাও সহজেই অনুমেয়। কিন্তু সত্যের ঘণ্টা কি শেষতক বেজে উঠবে না? সত্যের জয় হবে না?
সত্যের ঘণ্টা বাতাসে বাজে না। তাকে বাজানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ঘটেছে ৬৫ বছর আগে। এখনো তো নাৎসি যুদ্ধাপরাধীতে পাকড়াও করার ঘটনা ঘটছে। তাদের বিচারের সম্মুখে আনা হচ্ছে।
৩০ অক্টোবর ২০১০ সালে আমেরিকার জনপ্রিয় দৈনিক ইউএসএ টুডেতে ছাপা হয়েছে এমনই এক খবর। শিরোনাম হলো, ‘যুদ্ধাপরাধীদের জন্য অতীত আর আমেরিকার গোয়েন্দাদের হাত থেকে পালিয়ে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে।’
এই খবরের প্রথম অনুচ্ছেদটা হলো, ‘যখন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা গিলবার্তো জর্ডানকে পাকড়াও করে, তখন তিনি একটা নিখাদ আমেরিকান জীবন যাপন করছিলেন, ফ্লোরিডায় বাড়ি, শেফ হিসেবে একটা স্থায়ী চাকরি আর আইন মেনে চলা একজন নাগরিকের মতো নিষ্কলুষ রেকর্ড। ১৯৯০ সালে তিনি গুয়াতেমালা থেকে আমেরিকায় অভিবাসী হন।’
তারপর এ বছরের মে মাসের একটা দিনে তাঁর দরজার কড়া নাড়ল আমেরিকার পুলিশ। তাঁকে পাকড়াও করা হলো। তিনি স্বীকার করলেন, তিনি সেই সৈন্যদলের সদস্য ছিলেন, যারা গুয়াতেমালায় ১২০ জন নিরপরাধ সাধারণ নাগরিককে হত্যা করেছে। জর্ডান স্বীকার করেছেন, তিনি প্রথম যাকে মেরেছিলেন, সে ছিল একটা শিশু। তাকে সে কুয়ায় ছুড়ে মেরেছিলেন।
একই খবরের আরেকটা অংশে আছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নাৎসি যুদ্ধাপরাধীদের শনাক্ত করার জন্য এখনো সক্রিয় আমেরিকার তদন্ত-উদ্যোগের বর্ণনা।
আমেরিকান তদন্ত কর্তারা বলেন, কাজটা খুব কঠিন। কারণ, হাজার মাইল দূরে ঘটনা ঘটেছে, অনেক বছর আগে। আর যে দলিলপত্র পাওয়া যায়, তার ভাষাও ইংরেজি নয়। সাক্ষীরা মারা যাচ্ছেন, প্রমাণ লুপ্তপ্রায়। তবু এ বছর মে মাসে অ্যান্টন গেইসার নামের একজন নাজি যুদ্ধাপরাধীকে আমেরিকা থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া অন্যান্য দেশের যুদ্ধাপরাধীদের পেছনে লেগে থেকে আমেরিকার তদন্ত কর্তারা তাদের শনাক্ত করছেন আর বিচারের জন্য উৎস দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। এ বছরে এই রকম অনেক ঘটনাই ঘটেছে।
এই যে কঠিন কাজটা, সেটা তাঁরা করছেন কীভাবে? পেশাদারি উৎকর্ষ, রাজনৈতিক অঙ্গীকার, দিনের পর দিন একটা জিনিস নিয়ে লেগে থাকা, গবেষণা করা, গোয়েন্দাগিরি করার মাধ্যমে। এই তদন্ত কর্তারা টেলিভিশনের ক্যামেরা নিয়ে দল বেঁধে ঘোষণা দিয়ে তদন্ত করতে যাননি। আমরা ছোটবেলায় গল্প শুনতাম, এখনো কিছু বাংলা বই আছে, যা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারা লিখেছেন, তাতে দেখতে পাই, একজন গোয়েন্দা হয়তো কাজের ছেলের বেশে সন্দেহভাজন খুনির বাড়িতে ১২ বছর ধরে থেকেছেন, তারপর একদিন তার হাতে এসেছে খুনের প্রমাণ। আমাদের যুদ্ধাপরাধীদের অপরাধ শনাক্ত আর প্রমাণ করতে সেই রকমের একাগ্রতা, সেই রকমের দক্ষতা, সেই রকমের আয়োজন দরকার। সেটা কি আমরা করছি, নাকি আমরা শুধু টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে বিবৃতি দিচ্ছি?
এই ধরনের সূক্ষ্ম তদন্তের জন্য প্রশিক্ষণ দরকার, জনবল দরকার, সঠিক মানুষটিকে সঠিক জায়গায় নিয়োগ দেওয়া দরকার। আবার যদি প্রয়োজন হয়, বিদেশি বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। আমাদের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের নীলনকশা কারা কারা প্রণয়ন করেছিল, কার মাথা থেকে এই ভয়াবহ ধারণাটি বের হয়েছিল, কারা কারা তাতে অংশ নিয়েছিল থেকে শুরু করে কারা গুলি করেছিল, সবটা আমরা উন্মোচিত অবস্থায় দেখতে চাই। আমরা চাই না বিনা অপরাধে কেউ শাস্তি পাক, তেমনি চাই না এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের বিচার থেকে একজন অপরাধীও নিষ্কৃতি পাক।
৩.
আমাদের হাজারো বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী হারানোর ক্ষতি আমরা আজও অনুভব করি। আমাদের যে এতটা বছর লেগে যাচ্ছে উন্নতির সিঁড়িতে পা রাখতে, বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড তার জন্য কম দায়ী নয়।
আমাদের শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ একাত্তরের সব শহীদকে আজকের দিনে জানাই গভীর শ্রদ্ধা। সৈয়দ শামসুল হক ‘আমার শহর’ কবিতায় লিখেছেন,
‘আবার আমাকে দেখে অকস্মাৎ হাত নাড়ে
ওষুধের ঘ্রাণে লীন পুরাতন বিশ্ববিদ্যালয় শিরীষের হাত তুলে;
মনে হয় একটু এগোলে
মধুদাকে দেখা যাবে বারকোশ হাতে;
হয়তো বা গোবিন্দবাবুর জন্য আলুভাজা পাউরুটি নিয়ে
এখনো দুপুর দিয়ে মধুদা’র হেঁটে যাওয়া দর্শন বিভাগের দিকে;
একাত্তর অনেক পেছনে।
না,
এখানে তো নেই,
আর নেই।’
এখন সত্যি সত্যি এ শহরটাকে বড় বেশি ধূসর ধূসর বলে মনে হয়। এত মৃত্যু, এত বিচ্ছেদ। ভাবলে কেবল শূন্যতাই এসে ভর করে অস্তিত্বজুড়ে। সেই শূন্যতার ভেতর থেকে নির্মাণের দিকে যেতে চাইলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টা সর্বোচ্চ পেশাদারি দক্ষতা ও ন্যায়পরায়ণতা দিয়ে আমাদের ফয়সালা করতেই হবে।
==========================
মুক্তির মন্দির সোপান তলে  আবেগ ছেড়ে বুদ্ধির পথই ধরতে হবে  বছর শেষে অর্থনৈতিক সমীক্ষা পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশ  দুই কোরিয়ার একত্রিকরণ কি সম্ভব  গ্যাসের ওপর বিপজ্জনক বসবাস  উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা তুলতে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ  সময়ের দাবি জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি  জনসংখ্যা বনাম জনশক্তি  ব্যাংকের টাকা নয়ছয় হওয়া উচিত নয়  একটি পুরনো সম্পর্কের স্মৃতিচিত্র  পাটশিল্প ঘুরিয়ে দিতে পারে অর্থনীতির চাকা  ড. ইউনূসকে বিতর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে হবে  সুশিক্ষার পথে এখনও বাধা অনেক  ব্যক্তির স্বাধীনতা হরণ ও মর্যাদাহানির পরিণাম কখনই শুভ হয় না ঘুষ ও লুটপাট উভয়ের বিরুদ্ধে একই সাথে লড়তে হবে  সুনীতি ও সুশাসন  আমি কেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের পক্ষে  শ্রমিক অসন্তোষ বর্তমান প্রেক্ষিত  জীবন ব্যাকরণঃ দর্জির মুক্তিযুদ্ধ  তথ্যের অধিকার ও জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ  শালীন ও সংযত কথাবার্তা কি শুধু একতরফা হতে হবে?  একটি অসমাপ্ত গল্প  মুসলিম বিশ্বে সেক্যুলারিজমের বর্তমান ও ভবিষ্যত  চীন দেশের কথা  হিকমতে হুজ্জতেদের কথা  মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে বিশ্বসভায়  ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো  বধ্যভূমিতে গেয়ে গেল যাঁরা জীবনের জয়গান  ভিক্ষাবৃত্তির মুখোশ  লন্ডন ভ্রমণ এবং সুখ-দুঃখের দু'টি কথা  শিক্ষার মানোন্নয়নে চাই যথার্থ মনিটরিং  পান্থজনঃ কী পাই নি তারি হিসাব মিলাতে মন মোর নহে রাজী  বাঙালির বৌদ্ধিক ঐতিহ্য  ৭২-এর সংবিধানের আলোকে কি রূপকল্প বদল করা উচিত নয়?  জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ :নতুন যুগের বার্তাবাহক  প্রশাসনে জনগণের আস্থা অর্জন জরুরি  পরিবেশ সুরক্ষায় তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা  রাত যায় দিন আসে  শিক্ষা ছাড়া অর্থনৈতিক মুক্তি অসম্ভব  ভালবাসা নিভিয়ে দেয় হিংসার আগুন  মহান মুক্তিযুদ্ধঃ প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি


দৈনিক প্রথম আলো এর সৌজন্যে
লেখকঃ আনিসুল হক
সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।


এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.