নেপালেরও গোল উৎসব

মাত্রই প্রথমার্ধ শেষ। মাঝমাঠ থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে আসছিলেন আফগানিস্তানের হাইলি ও সোফিয়া। ডাগ আউটে দাঁড়িয়ে থাকা কর্মকর্তারা যতই তাঁদের সান্ত্বনা দিতে থাকেন, ততই ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদেন তাঁরা। সত্যিই আফগান মেয়েদের নাকের জল, চোখের জল এক করে ছেড়েছে নেপাল। কাল ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জিতেছে ১৩-০ গোলে। কক্সবাজার জেলা স্টেডিয়ামে গ্রুপের অন্য ম্যাচে পাকিস্তান ২-১ গোলে হারায় মালদ্বীপকে।
টুর্নামেন্টের প্রথম তিন দিনের পাঁচ ম্যাচে ৪২ গোল। আগের দিন ফেবারিট ভারত ভুটানকে ১৮ গোল দিয়েছে। কাল নেপালও প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়াল ভারতের। প্রথমার্ধে ৭ গোল, দ্বিতীয়ার্ধে একটি কম। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন অনু লামা (৪)। হ্যাটট্রিক করেছেন যমুনাও (৪)। সাজানা ও প্রমীলার গোল দুটি করে। লক্ষ্মীর গোল ১টি। টানা দুই জয়ে সেমিফাইনালে হিমালয়ের দেশ। নেপালের মহিলা ফুটবলের সবচেয়ে বড় জয়ে খুশি কোচ ধ্রুব বাহাদুর, ‘আমি খুবই খুশি। মেয়েদের পাস, টেকনিক, সমন্বয় ছিল চমৎকার। আমরা ফাইনালের স্বপ্ন দেখছি।’
ইতিহাস গড়েছে পাকিস্তানও। পাঁচ বছর আগে মেয়েদের ফুটবলে যাত্রা শুরু করা পাকিস্তান কাল পেল আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রথম জয়। আয়শাথের গোলে প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল মালদ্বীপ। মেহউয়িশ গোল শোধ করার পর মালিকা পেনাল্টি থেকে করেন জয়সূচক গোলটি। অধিনায়ক সানা খেলা শেষে আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছিলেন না, ‘আমাদের জন্য এই জয় খুব তাৎপর্যপূর্ণ। আমরা তেমন সুযোগ-সুবিধা পাই না। অনুশীলন করি দেয়াল-ঘেরা মাঠে। এই জয় আমাদের আরও সামনে এগিয়ে নেবে।’
আজ বাংলাদেশ-ভুটান
ভারতের বিপক্ষে ভুটানের যে করুণ দশা দেখা গেছে, তাতে আজ বাংলাদেশের বড় ব্যবধানেই জেতার কথা। যেকোনো ব্যবধানে জিতলেই সেমিফাইনাল মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যাবে। তবে কোচ গোলাম রব্বানী খুব সতর্ক, ‘ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভুটানকে একটুও হালকাভাবে নিচ্ছি না।’
আজকের খেলা
ভারত-শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ-ভুটান
(শুরু ১১-০৫ মি. ও ২-৩০ মি., কক্সবাজার জেলা স্টেডিয়াম)

No comments

Powered by Blogger.