বার্সার সঙ্গে ইন্টার-টটেনহাম

রাফায়েল বেনিতেজের স্বস্তি ফিরে পাওয়া আর ওয়েইন রুনির আনন্দময় মাঠে ফেরা। লিওনেল মেসির আরেকটা কেতাদুরস্ত পারফরম্যান্সের সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগ অভিষেকেই টটেনহামের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে উত্তরণ। এই হলো পরশু রাতের চ্যাম্পিয়নস লিগ সারসংক্ষেপ।
অনুপুঙ্খ বর্ণনায় গেলে ইন্টার মিলানের জয়টিকে বলতে হবে কষ্টসাধ্য। নিজেদের মাঠে এফসি টোয়েন্টেকে ন্যূনতম ব্যবধানে হারিয়ে নকআউট পর্বে উঠেছে রাফায়েল বেনিতেজের দল। জয়সূচক গোলটি করেছেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার এস্তেবান ক্যাম্বিয়াসো। সিরি ‘আ’তে গত দু-তিনটি বাজে সপ্তাহের পর এই জয়টা স্বস্তির বাতাসই নিয়ে এসেছে চ্যাম্পিয়ন ইন্টার মিলানের কাছে।
বিশেষ করে কোচ বেনিতেজের মনে যে অস্বস্তি আর শঙ্কার কালো মেঘ জমেছিল, তা একেবারেই উধাও। ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ক্লাব সভাপতির মানসিক অবস্থা নিয়ে তিনি যা বলেছেন, তাতেই সব স্পষ্ট, ‘ম্যাচের শেষে তার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে এসেছেন তিনি এবং সবকিছু ঠিক আছে।’
সবকিছু ঠিক আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ইংলিশ স্ট্রাইকার ওয়েইন রুনিরও। অ্যাঙ্কেলের চোট আর পারিবারিক ঝামেলা কাটিয়ে প্রায় দুই মাস পর মাঠে ফিরেছেন, কিন্তু মানসিক শক্তিটা ঠিক আগের মতোই আছে রুনির। ৮৭ মিনিটে তাঁর পেনাল্টি গোলেই রেঞ্জার্সকে হারিয়ে শেষ ষোলোয় উঠে গেছে ম্যানইউ।
কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসন আবার রুনির প্রশংসায় পঞ্চমুখ, ‘পেনাল্টি নিতে অনেক সাহস লাগে। ওর জন্য রাতটি সহজ ছিল না। এর আগে দু-তিনটি সুযোগও মিস করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওর মানসিক শক্তিই জয়ী হয়েছে।’
পরশু গোলের অনেক সুযোগ নষ্ট করেছেন মেসিও। তবে মিস-টিসের পরও আসল কাজটা ঠিকই করেছেন আর্জেন্টাইন চ্যাম্পিয়ন। নিজে গোল করেছেন আর ৩-০ গোলের জয়ে পেদ্রোর জোড়া গোলের একটিতে রেখেছেন অবদান। টানা ১০ ম্যাচে গোল করার কীর্তি গড়া মেসি ছুঁয়েছেন একটি ব্যক্তিগত মাইলফলকও। বার্সার জার্সি গায়ে পরশু তিনি করলেন ১৫০তম গোল। মেসির প্রশংসা না করে আর উপায় কী! কোচ পেপ গার্দিওলা এদিনও ম্যাচ শেষে নিয়মে পরিণত হয়ে যাওয়া কাজটি করলেন, ‘মেসি সত্যিই অসাধারণ। গোল করা আর করানো, দুটিতেই ওর সমান মনোযোগ।’
তবে পরশুর রাতটি সবচেয়ে আনন্দের গেছে টটেনহাম হটস্পারেরই। কাবুল, মরডিচ ও ক্রাউচের গোলে জার্মান ক্লাব ভেরডার ব্রেমেনকে ৩-০-তে হারিয়ে নকআউটে উঠে গেছে তারা। এই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলতে এসেই শেষ ষোলোয় ইংলিশ ক্লাবটি। স্পারদের আনন্দ যেন থামতেই চায় না। সবার মনের কথারই যেন প্রতিফলন কোচ হ্যারি রেডনাপের কণ্ঠে, ‘এটা আমাদের জন্য আরেকটা বড় রাত। আমি নিশ্চিত, সমর্থকদের এটা খুব ভালো লেগেছে।’

No comments

Powered by Blogger.