শিল্প-অর্থনীতি 'চরম দরিদ্রদের তালিকা প্রণয়ন করা হবে' by জাহাঙ্গীর শাহ

প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ের প্রভাবে বছরের পর বছর গরিব মানুষ হতদরিদ্র বা চরম দরিদ্রই থেকে যাচ্ছে। কেন এরা চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে, তা একটি কঠিন প্রশ্ন। এর উত্তর খুঁজতে গেলে রাষ্ট্রীয় উন্নয়ননীতির সীমাবদ্ধতা বা ব্যর্থতা থেকে আরম্ভ করে অনেক কিছুই বলা যেতে পারে। আর তাই দারিদ্র্য বিমোচনের বিভিন্ন সময় সরকারি বা রাষ্ট্রীয় উদ্যোগগুলো নিয়ে কম-বেশি প্রশ্ন উঠেছে।
বাংলাদেশে চরম দারিদ্র্যের একটি মাপকাঠি হলো, দৈনিক মাথাপিছু এক হাজার ৮০৫ কিলোক্যালরির কম খাদ্য গ্রহণ। অর্থাৎ যে মানুষগুলো প্রতিদিন এই পরিমাণের কম খাবার গ্রহণ করে থাকে, তাদেরই চরম দরিদ্র বলে গণ্য করা হয়। বলা যেতে পারে, এরা হলো গরিবের মধ্যে আরও গরিব। কারণ, দৈনিক মাথাপিছু দুই হাজার ১২২ কিলোক্যালরির কম খাদ্য গ্রহণ করে থাকে, এমন মানুষদের দরিদ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটাই বাংলাদেশের দারিদ্র্যসীমা। এটা হলো মাথা-গণনা অনুপাতে প্রত্যক্ষ ক্যালরি গ্রহণ পদ্ধতিতে নির্ণীত। ২০০৫ সালের খানা আয়-ব্যয় জরিপ অনুসারে এই পদ্ধতিতে দেশের ৪০ দশমিক ৪০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। আর এই গরিবদের মধ্যে যারা আরও গরিব, তারা হলো চরম দরিদ্র—এরা কিনা মোট জনগোষ্ঠীর সাড়ে ১৯ শতাংশ।
তবে দারিদ্র্য নির্ণয়ের আরেকটি হিসেবও করা হয়েছে। সেটি হলো মৌলিক চাহিদার ব্যয় পদ্ধতি। এ পদ্ধতি অধিকতর উন্নত হিসেবে বিবেচিত হয়। এ পদ্ধতি অনুসারে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৪০ শতাংশ দরিদ্র। আর ২৫ দশমিক ১০ শতাংশ হলো চরমভাবে দরিদ্র। তবে চরম বা হতদরিদ্রের এই চিত্রটি শহর ও গ্রামভেদে ভিন্ন হয়েছে সংগত কারণেই। শহরবাসী জনগোষ্ঠীর সাড়ে ১৪ শতাংশ চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। আর গ্রামের ক্ষেত্রে এই হার ২৮ দশমিক ৬০ শতাংশ।
দারিদ্র্য বিমোচন করতে তথা গরিব মানুষগুলোর অবস্থার উন্নতি ঘটাতে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থার (আইএমএফ) পরামর্শে দারিদ্র্য হ্রাসের কৌশলপত্রও (পিআরএসপি) গ্রহণ করা হয়েছে বাংলাদেশে। তাতেও তেমন কোনো ফল মেলেনি। ২০০৫ সালে যখন আনুষ্ঠানিকভাবে তিন বছরমেয়াদি পিআরএসপি অনুসরণ শুরু করা হয়, তখনই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল এর সীমাবদ্ধতা নিয়ে। আর সীমাবদ্ধতাগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল দারিদ্র্য-পরিস্থিতির হালনাগাদ পরিসংখ্যানের ঘাটতি। কারণ, তখন পর্যন্ত ২০০০ সালে পরিচালিত খানা আয়-ব্যয় জরিপ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দারিদ্র্যের হিসাব-নিকাশ করা হচ্ছিল। আবার আজকে ২০১০ সালে এসে যখন দারিদ্র্য-পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তখন ২০০৫ সালের খানা আয়-ব্যয় জরিপের তথ্য-উপাত্ত সামনে রেখেই চলতে হচ্ছে। আর ২০১০ সালের খানা আয়-ব্যয় জরিপ চালানো হচ্ছে। এর প্রতিবেদন পেতে বেশ সময় লাগবে।
অবশ্য দারিদ্র্য-পরিস্থিতির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানা-বোঝার জন্য একাধিক উৎস এখন হাতে রয়েছে। একটি হলো দারিদ্র্য মানচিত্র। এর প্রধান সীমাবদ্ধতা হলো, এটি ২০০৫ সালের খানা আয়-ব্যয় জরিপ এবং ২০০১ সালের আদমশুমারির তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা। এর চেয়ে ভালো প্রতিবেদন হলো, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘মৌলিক সুযোগ-সুবিধা পরিবীক্ষণ জরিপ: ২০০৯’। যেহেতু খানা আয়-ব্যয় জরিপ প্রতি পাঁচ বছর অন্তর পরিচালনা করা হয়, সেহেতু অন্তর্বর্তীকালীন দারিদ্র্য-পরিস্থিতি বোঝার জন্য এই মৌলিক সুযোগ-সুবিধা পরিবীক্ষণ জরিপ করা হয়েছে।
আর এ জরিপের তথ্য অনুসারে দেশে দারিদ্র্য বাড়ছে বলে প্রতীয়মান হয়। কারণ, জরিপে অংশগ্রহণকারী পরিবারগুলোর মধ্যে ৪১ দশমিক ২০ শতাংশ পরিবার দরিদ্র। আর সর্বশেষ খানা আয়-ব্যয় জরিপের (২০০৫) তথ্য অনুসারে দেশের ৪০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ মানুষ আবার চরমভাবে দরিদ্র।
তালিকা প্রণয়ন: সরকার চরমভাবে দরিদ্র বা হতদরিদ্র মানুষদের সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতায় রাখতে চায়। কাজটা কঠিন। বিশেষ করে, যাদের সত্যিকারভাবেই এই সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর সুবিধাগুলো যেন পায়, তা নিশ্চিত করা না গেলে দারিদ্র্য-পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানোর কাজটি অসম্পন্নই থেকে যাবে। তাই এসব হতদরিদ্র মানুষকে যথাসম্ভব সঠিকভাবে চিহ্নিত করা দরকার। এই প্রয়োজনের তাগিদ থেকেই আগামী জানুয়ারি মাস থেকে দেশে শুরু হচ্ছে অতি দরিদ্রদের তালিকা প্রণয়নের কার্যক্রম। এ কার্যক্রমের আওতায় প্রথমে অতি দরিদ্রদের চিহ্নিত করা হবে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রায় ৭৫ লাখ পরিবারের ওপর গণনা কার্যক্রম চালাবে। প্রায় পৌনে চার কোটি লোক এই কার্যক্রমের আওতায় আসবে বলে মনে করছে।
সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে সম্প্রতি অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর তালিকা প্রণয়নের উদ্দেশ্যে একটি ধারণাপত্র তৈরি করেছে বিবিএস। এই ধারণাপত্র অনুযায়ী পুরো প্রকল্পটির আওতায় সামাজিক নিরাপত্তাসুবিধা ভোগের আওতায় আনার উদ্দেশ্যে প্রকৃত অতি দরিদ্রদের চিহ্নিত করা হবে।
চিহ্নিতকরণের পর প্রায় ৭৫ লাখ অতি দরিদ্র পরিবারপ্রধানকে বায়োম্যাট্রিক্স কার্ড বা স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে। পুরো প্রকল্পটি পরিচালনা করবে বিবিএস।
বিবিএসের মহাপরিচালক শাহজাহান আলী মোল্লা এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে জানান, এ বছর এই অতি দরিদ্রদের গণনার কাজ শুরু করা সম্ভব হবে না। তবে আগামী বছরের শুরু থেকেই এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হতে পারে। এখন চলছে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রস্তুতির কাজ। তিনি আরও জানান, অতি দরিদ্রদের গণনা করা সম্ভব হলে সরকার গৃহীত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুফল প্রকৃত জনগোষ্ঠীর কাছে যাবে।
পরিসংখ্যান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পুরো প্রকল্পটিতে ব্যয় হবে ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বিবিএস। পুরো দুই বছর সময় নিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
স্বাধীনতার পর থেকেই অতি দরিদ্রদের জীবনমানের উন্নয়নে নানামুখী সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি গ্রহণ করে আসছে সরকার। প্রতিবছরই এই কর্মসূচি বাড়ছে। বর্তমানে খোলা বাজার কার্যক্রম (ওএমএস), কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা), কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা), টেস্ট রিলিফ (টিআর), বিধবাভাতা, বয়স্কভাতা, ভিজিএফ, ভিজিডিসহ ৬৭টি প্রকল্পের প্রায় ২৫ লাখ উপকারভোগী রয়েছে। কিন্তু উপকারভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। অভিযোগ রয়েছে, উপকারভোগী নির্বাচনে স্থানীয় সাংসদ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের প্রভাবশালীরা হস্তক্ষেপ করে থাকেন। এ কারণে প্রকৃত উপকারভোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
প্রাথমিকভাবে অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সরকার পরিচালিত কর্মসূচিগুলোর উপকারভোগীদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। পরে মাঠপর্যায়ে অতি দরিদ্রদের তালিকা প্রণয়ন করা হবে।
অতি দরিদ্রদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক তালিকা করা হবে। তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে হলে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে। তবে ১৮ বছরের নিচে বিভিন্ন সুবিধাভোগী (যেমন—উপবৃত্তি, প্রতিবন্ধী বৃত্তি ইত্যাদি) যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তাদের উপযুক্ত প্রমাণসাপেক্ষ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
পরে এই তালিকা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, হাটবাজার, উপাসনালয়ে টাঙিয়ে দেওয়া হবে। এরপর সভা ডেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে অনুমোদন নিয়ে তালিকাটি চূড়ান্ত করা হবে।
অতি দরিদ্র নির্বাচনে যেসব মানদণ্ড পরিমাপ করা হবে, সেগুলো হলো—বসতবাড়ির বিবরণ, মাথাপিছু দৈনিক আয়, জমির পরিমাণ বা ভূমিহীন, জীবিকা, খানাপ্রধান বয়স্ক মহিলা, খানায় কোনো উপার্জনকারী সদস্য না থাকা ইত্যাদি।
পরিসংখ্যান ব্যুরো সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যমান সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সঙ্গে সংগতি রেখে একটি বহুমাত্রিক তালিকা প্রণয়ন করা হবে। সংগ্রহ করা সব তথ্য-উপাত্ত সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে সংরক্ষিত থাকবে।
এর উদ্দেশ্য, যেকোনো কর্মসূচি চালু হলে এর প্রকৃত উপকারভোগী চিহ্নিত করা। প্রত্যেক উপকারভোগীকেই স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবমতে, বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর ২৫ শতাংশ অতি দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। সে হিসাবে এই জনগোষ্ঠীর আকার তিন কোটি ৭৫ লাখ। প্রতিটি পরিবারে সদস্যসংখ্যা গড়ে পাঁচজন ধরে ৭৫ লাখ পরিবারপ্রধানকে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হতে পারে।
স্মার্ট কার্ডে উপকারভোগীর হাতের আঙুলের ছাপ থাকবে, যাতে অন্য কেউ এই কার্ড ব্যবহার করতে না পারে। উপকারভোগী ওই ব্যক্তির কার্ডে তার পরিবারের সব তথ্য সন্নিবেশিত থাকবে। দুই বছর পর পর বায়োম্যাট্রিক্স কার্ডধারী এবং তার পরিবারের সদস্যদের জীবনমানের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। অতি দারিদ্র্যসীমার ওপরে উঠলেই স্মার্ট কার্ডের সুবিধা আর পাওয়া যাবে না।
অতি দরিদ্রদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি তাদের সব তথ্য-উপাত্ত পরিসংখ্যান ব্যুরোর কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডারে সংরক্ষণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে পরিসংখ্যান ব্যুরোর কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে জানান, অতি দরিদ্রদের কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডার তৈরি করা হলে সামজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির উপকারভোগী নির্বাচনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা সম্ভব হবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সুবিধাভোগী নির্বাচন করা যাবে। ফলে রাষ্ট্রীয় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা প্রকৃত অতি দরিদ্ররা পাবে।
=========================
বিশেষ রচনা- মেডির মিরাকল by মাসুদ রহমান  ভ্রমণ- 'ঘুরি দেশে দেশে' by মাহফুজ রহমান  প্রকৃতি- 'বিশ্বব্যাংক দিচ্ছে হাঁক, দ্বিগুণ হবে বনের বাঘ' by খসরু চৌধুরী  যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'সংসদীয় গণতন্ত্র, না ভানুমতির খেল' by সোহরাব হাসান  গল্পালোচনা- 'এই দীনতা ক্ষমা করো প্রভু...' by মুস্তাফা জামান আব্বাসী  ফিচার গল্প- ‘ইতালির রাস্তায় পুলিশ খুঁজতাম' by বাবুল আক্তার  খবর- মৃত ভেবে মাছুমার নিথর দেহ ওরা ফেলে দেয় মহাসড়কে  অদ্ভুত ফিচার- 'বাংলার বিস্ময়ঃ আশ্চর্য কুলাগিনা' by মেহরিন জাহান  স্মরণ- 'ডা. মিলনকে যেন না ভুলি' by পলাশ আহসান  রাজনৈতিক আলোচনা- 'যার যা কাজ' by আতাউস সামাদ  নিবন্ধ- 'অবলা বলে কেন না-বলা থাকবে' by মোস্তফা হোসেইন  ইতিহাস- সিপাহি বিদ্রোহঃ সে আগুন ছড়িয়ে গেল সবখানে  আন্তর্জাতিক- 'কোরিয়া সীমান্তে তুলকালাম' by দাউদ ইসলাম  আন্তর্জাতিক- 'চেচনিয়ার ‘যুদ্ধবাজ ইমাম’ by মিজান মল্লিক  আন্তর্জাতিক- আমি স্বাধীনতা চাই না: রমজান কাদিরভ  সাহিত্যালোচনা- 'মৃত্যুশতবার্ষিকীর তলস্তয়' by আন্দালিব রাশদী  গল্পসল্প- 'দুঃখটাকে ভাগাভাগি করি' by মুহম্মদ জাফর ইকবাল  গল্প- 'দাদার দোকানে শূন্য দশক' by সালাহউদ্দিন  শিল্পি- 'সফিউদ্দিন আহমেদের সৃষ্টিসমগ্র-অশেষ আলোর আলোর আধার' by সৈয়দ আজিজুল হক  নিবন্ধ- 'সব শিল্পই যাবে প্রকৃতির কাছে। by খান মিজান  গল্পসল্প- 'কাউন্ট লিও তলস্তয়' by আন্দালিব রাশদী  আলোচনা- 'সেই আমি এই আমি' by আতিকুল হক চৌঁধুর


দৈনিক প্রথম আলো এর সৌজন্যে
লেখকঃ জাহাঙ্গীর শাহ


এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.