জয় দিয়ে শুরু ভারতের

সেঞ্চুরিয়ান বিরাট কোহলিই শেষে জিতেছেন। তবে নিউজিল্যান্ড ইনিংসের ৩৫তম ওভারেই ম্যান অব দ্য ম্যাচ নিয়ে ধারাভাষ্যকক্ষের তুমুল আলোচনায় কোহলির সঙ্গে ৪২ রানের সঙ্গে ৩ উইকেট পাওয়া যুবরাজের পক্ষেও বাজি ছিল। ম্যাচে উত্তেজনার লেশমাত্র যে ছিল না তখন! ২৭৭ রান তাড়া করতে গিয়ে ১৬৯ রানেই ৮ উইকেট নেই নিউজিল্যান্ডের, ভারতের জয় তো নিশ্চিতই।
ক্রিকেটের মজাটাই এখানে, শেষের আগেই শেষ বলে দেওয়া কঠিন। গুয়াহাটির ওয়ানডেতে শেষ পর্যন্ত ৪০ রানের বড় ব্যবধানেই জিতেছে ভারত, তবে নাথান ম্যাককালাম ও কাইল মিলসের ৫৪ বলে ৬৭ রানের নবম উইকেট জুটিতে একটু অনিশ্চিয়তা ছড়িয়ে দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। অধিনায়কত্বের অভিষেকে বলের পেছন দিকে অনেকটা দৌড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়ে এই জুটি ভেঙেছেন গৌতম গম্ভীর, পরের বলেই কিউই ইনিংস শেষ করে দিয়েছেন শ্রীশান্ত।
ভারতের এক গাদা তারকাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল আগেই। ছোটখাটো চোট সমস্যায় নিউজিল্যান্ড দলে ছিলেন না ড্যানিয়েল ভেট্টোরি ও ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। টস জিতে রস টেলর ফিল্ডিং নিয়েছিলেন সকাল সাড়ে আটটায় শুরুর সুবিধাটা কাজে লাগাতে। তবে টেলরের আশা পূরণ হয়নি, ভারতকে ৭ ওভারে ৪৪ রানের উদ্বোধনী জুটি এনে দেন গম্ভীর-বিজয়। তৃতীয় উইকেটে ৮৮ রানের জুটি গড়েছেন কোহলি-যুবরাজ। প্রথমে ব্যাট করে প্রথম টানা দ্বিতীয় এবং সব মিলিয়ে চতুর্থ সেঞ্চুরিটা ছুঁয়েছেন বিরাট কোহলি ১০০ বলে। শেষ ৩১ বলে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোয় তিন শ হয়নি ভারতের। নিউজিল্যান্ড উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতে। শেষের ওই নাটকের আগে মাঝে একা লড়েছেন টেলর (৬৯ বলে ৬৬)।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ভারত: ৪৯ ওভারে ২৭৬ (কোহলি ১০৫, যুবরাজ ৪২, গম্ভীর ৩৮, বিজয় ২৯, পাঠান ২৯; ম্যাকাই ৪/৬২, মিলস ৩/৪২, টাফি ২/৫৬)। নিউজিল্যান্ড: ৪৫.২ ওভারে ২৩৬ (টেলর ৬৬, নাথান ম্যাককালাম ৩৫, মিলস ৩২, গাপটিল ৩০, উইলিয়ামসন ২৫; শ্রীশান্ত ৩/৩০, যুবরাজ ৩/৪৩, অশ্বিন ৩/৫০, নেহরা ১/৪৪)।

No comments

Powered by Blogger.