আরেকটা অস্ট্রেলীয় দিন

এবার ট্র্যাকে বেওয়ারিশ কুকুর ঢুকে পড়ার ঘটনা—দিল্লির কমনওয়েলথ গেমস নিয়ে বিতর্ক যেন শেষই হতে চায় না। শেষ হতে চায় না আরেকটা ব্যাপারও। অস্ট্রেলিয়ার আধিপত্য। আরেকটি দিন শেষ হলো পদক-তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার পতাকা শীর্ষে থেকেই।
২০ কিলোমিটার হাঁটায় ছেলে এবং মেয়েদের বিভাগে পদকও গেছে অস্ট্রেলিয়ার দখলে। ছেলেদের বিভাগে জারেড সোনা জিতেছেন। মেয়েদের বিভাগে ক্লেইরে। সম্পর্কে এঁরা আবার স্বামী-স্ত্রী! মেয়েদের সাঁতারেও অস্ট্রেলিয়ানদের জয়জয়কার। ব্যাঙ্গালোরে রিকি পন্টিং না পারলেও সব মিলিয়ে পদক-তালিকায় অস্ট্রেলিয়া কিন্তু এদিকে ঠিকই সেঞ্চুরি করে ফেলল। ৫০টি সোনা, ২৭টি রুপা ও ৩০টি ব্রোঞ্জ মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পদকসংখ্যা ১০৭।
সাইক্লিংয়ের পর অস্ট্রেলিয়ার সোনার খনি হয়ে উঠেছে সাঁতার। নির্দিষ্ট করে বললে অ্যালিসিয়া কাউটস আর লিজেল জোন্স। কাল ৪–১০০ মিটার মিডলেতে সোনা জিতে কাউটস এই কমনওয়েলথ গেমসে নিজের ব্যক্তিগত সোনার মেডেলের সংখ্যাটা নিয়ে গেছেন পাঁচে। সব মিলে কমনওয়েলথ গেমসে জোন্সের সোনা জয়ের সংখ্যাটাও গিয়ে দাঁড়িয়েছে দশে। কমনওয়েলথ গেমসে ১০টি সোনা জয়ের রেকর্ড আছে আর মাত্র দুজনের। সেই দুজনও অস্ট্রেলিয়ান সাঁতারু—সুসান ও’নিল আর ইয়ান থর্প।
শ্যুটিংয়ে অবশ্য স্বাগতিক ভারতেরই আধিপত্য। কাল ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনে সোনা জিতেছেন গগন নারাং। এ আসরে তাঁর চতুর্থ সোনা। জিমন্যাস্ট লরেন মিশেলও এই গেমসে জিতেছেন চারটি পদক। পদক-তালিকায় ভারতের সোনার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২। ইংল্যান্ডেরও। তবে মোট পদকের হিসাবে এগিয়ে থাকায় তালিকায় ভারতের ওপরে ইংল্যান্ড। নারাংয়ের সাফল্যের দিনে স্বাগতিকেরা একটু হয়তো বিষাদ-আক্রান্তও হয়েছে। সানিয়া মির্জা যে টেনিসে মেয়েদের এককের ফাইনালে উঠেও হেরে গেছেন।
চোখে পড়ার মতো তেমন কোনো পারফরম্যান্স নাইজেরিয়া-নিউজিল্যান্ডের মতো দেশগুলো করতে পারছে না। তবে মাঝেমধ্যে দু-একটা সোনা এসব দেশের অ্যাথলেটরাও জিতে নিচ্ছেন। কাল যেমন ফ্রি-স্টাইল সোনা কুস্তির ৯৬ কেজি ওজন শ্রেণীতে সোনা জিতেছেন নাইজেরিয়ার সিনভি বোল্টিক। আর মেয়েদের শটপুটের সোনা গেছে নিউজিল্যান্ডের অলিম্পিক ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভ্যালেরি অ্যাডামসের গলায়।

No comments

Powered by Blogger.